রাশেদ রাব্বি, ঢাকা

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও একই পরিস্থিতিতে পড়েন রোগী।
হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের একটি অচল থাকায় সিরিয়াল পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসব পরীক্ষা করানোর জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটতে হয় তাঁকে।
শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের অতিপরিচিত দৃশ্য এটি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতালেও রোগীকে এমআরআই মেশিন নষ্ট বলে শুনতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গেলেই দেখা যায় মেশিন নষ্ট, নয়তো সিরিয়াল পেতে অস্বাভাবিক অপেক্ষা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ডায়াগনস্টি সেন্টারে যেতে হয় রোগীদের। এতে বেড়ে যায় চিকিৎসা খরচ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে যেসব সিটি স্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র রয়েছে,
তার প্রায় অর্ধেকই অচল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে ৩১টি, এর মধ্যে ১১টিই অচল। বাকি যে ২০টি সচল আছে ভাগ্য ভালো হলে সেখান থেকে পরীক্ষা করাতে পারেন ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় এমআরআই করাতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এমআরআই যন্ত্র আছে ২৪টি, এর মধ্যে ১০টিই অচল। মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দড়ি টানাটানিতে সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা ১৮টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রেরও। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৭টি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মধ্যে ৭টি অচল, আর ৯টি এমআরআই যন্ত্রের মধ্যে ৪টি অচল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬১টি জেলা সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে ১টি নষ্ট। আর এমআরআই যন্ত্র আছে মাত্র ৫টি, যার ২টি অচল। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সচল দেখানো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনাকালে। এখন সেটির কোনো ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালও সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারছে না।
চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের
জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার সুবিধা থাকলে রোগীদের সাশ্রয় হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যন্ত্র বিকল থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসব পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হয় তাঁদের।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সিটি স্ক্যান করাতে ২ হাজার টাকার মতো ফি দিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার টাকায় চেস্ট সিটি করানো যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ছয় থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। একইভাবে ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে সরকারিতে লাগে ২ হাজার, বেসরকারিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্ত্রের পূর্ণ সিটি করাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৪ হাজার, বেসরকারিতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে কোনো রোগীর যদি কন্ট্রাস্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে স্পাইন, ব্রেন, নি-জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা ৩ হাজার টাকায় হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪ হাজার টাকায় হোল অ্যাবডোমিন এমআরআই করানো গেলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ১৪ হাজার টাকা।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি সিটি স্ক্যান বা এমআরআই যন্ত্রে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পরীক্ষা হয়। কিন্তু অর্ধেক যন্ত্র নষ্ট থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নষ্ট যন্ত্র সচলে জটিলতা কোথায়
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, অচল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা আর কখনোই সচল হবে না। অন্যদিকে কিছু আছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব। অচল যন্ত্রের অর্ধেকই মেরামত-অযোগ্য। যদিও মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলোর সচল না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এসব যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ (ওয়ারেন্টি পিরিয়ড) আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এসব যন্ত্র কেনার সময় নিয়মানুযায়ী সরকার এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ চুক্তি হয়ে থাকে, যা কমপ্রিহেন্সিভ মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট (সিএমসি) নামে পরিচিত। সেই চুক্তির আলোকে বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি করতে রাজি হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যন্ত্রের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে সিএমসি। কিন্তু যন্ত্রগুলো পুরোনো হওয়ায় এবং যন্ত্র কেনার সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত হারে সিএমসি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে যন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে বাড়ছে শুধু রোগী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, মেরামত উপযোগী যন্ত্রগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিএমসির জন্য আলোচনা চলছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দাবি করছে। মেরামতের ব্যয়ে যদি নতুন যন্ত্র কেনা যায়, তাহলে সে রকম সিদ্ধান্তই নিতে হবে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও একই পরিস্থিতিতে পড়েন রোগী।
হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের একটি অচল থাকায় সিরিয়াল পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসব পরীক্ষা করানোর জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটতে হয় তাঁকে।
শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের অতিপরিচিত দৃশ্য এটি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতালেও রোগীকে এমআরআই মেশিন নষ্ট বলে শুনতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গেলেই দেখা যায় মেশিন নষ্ট, নয়তো সিরিয়াল পেতে অস্বাভাবিক অপেক্ষা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ডায়াগনস্টি সেন্টারে যেতে হয় রোগীদের। এতে বেড়ে যায় চিকিৎসা খরচ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে যেসব সিটি স্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র রয়েছে,
তার প্রায় অর্ধেকই অচল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে ৩১টি, এর মধ্যে ১১টিই অচল। বাকি যে ২০টি সচল আছে ভাগ্য ভালো হলে সেখান থেকে পরীক্ষা করাতে পারেন ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় এমআরআই করাতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এমআরআই যন্ত্র আছে ২৪টি, এর মধ্যে ১০টিই অচল। মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দড়ি টানাটানিতে সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা ১৮টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রেরও। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৭টি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মধ্যে ৭টি অচল, আর ৯টি এমআরআই যন্ত্রের মধ্যে ৪টি অচল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬১টি জেলা সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে ১টি নষ্ট। আর এমআরআই যন্ত্র আছে মাত্র ৫টি, যার ২টি অচল। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সচল দেখানো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনাকালে। এখন সেটির কোনো ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালও সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারছে না।
চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের
জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার সুবিধা থাকলে রোগীদের সাশ্রয় হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যন্ত্র বিকল থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসব পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হয় তাঁদের।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সিটি স্ক্যান করাতে ২ হাজার টাকার মতো ফি দিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার টাকায় চেস্ট সিটি করানো যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ছয় থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। একইভাবে ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে সরকারিতে লাগে ২ হাজার, বেসরকারিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্ত্রের পূর্ণ সিটি করাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৪ হাজার, বেসরকারিতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে কোনো রোগীর যদি কন্ট্রাস্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে স্পাইন, ব্রেন, নি-জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা ৩ হাজার টাকায় হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪ হাজার টাকায় হোল অ্যাবডোমিন এমআরআই করানো গেলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ১৪ হাজার টাকা।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি সিটি স্ক্যান বা এমআরআই যন্ত্রে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পরীক্ষা হয়। কিন্তু অর্ধেক যন্ত্র নষ্ট থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নষ্ট যন্ত্র সচলে জটিলতা কোথায়
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, অচল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা আর কখনোই সচল হবে না। অন্যদিকে কিছু আছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব। অচল যন্ত্রের অর্ধেকই মেরামত-অযোগ্য। যদিও মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলোর সচল না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এসব যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ (ওয়ারেন্টি পিরিয়ড) আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এসব যন্ত্র কেনার সময় নিয়মানুযায়ী সরকার এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ চুক্তি হয়ে থাকে, যা কমপ্রিহেন্সিভ মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট (সিএমসি) নামে পরিচিত। সেই চুক্তির আলোকে বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি করতে রাজি হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যন্ত্রের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে সিএমসি। কিন্তু যন্ত্রগুলো পুরোনো হওয়ায় এবং যন্ত্র কেনার সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত হারে সিএমসি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে যন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে বাড়ছে শুধু রোগী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, মেরামত উপযোগী যন্ত্রগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিএমসির জন্য আলোচনা চলছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দাবি করছে। মেরামতের ব্যয়ে যদি নতুন যন্ত্র কেনা যায়, তাহলে সে রকম সিদ্ধান্তই নিতে হবে।
রাশেদ রাব্বি, ঢাকা

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও একই পরিস্থিতিতে পড়েন রোগী।
হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের একটি অচল থাকায় সিরিয়াল পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসব পরীক্ষা করানোর জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটতে হয় তাঁকে।
শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের অতিপরিচিত দৃশ্য এটি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতালেও রোগীকে এমআরআই মেশিন নষ্ট বলে শুনতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গেলেই দেখা যায় মেশিন নষ্ট, নয়তো সিরিয়াল পেতে অস্বাভাবিক অপেক্ষা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ডায়াগনস্টি সেন্টারে যেতে হয় রোগীদের। এতে বেড়ে যায় চিকিৎসা খরচ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে যেসব সিটি স্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র রয়েছে,
তার প্রায় অর্ধেকই অচল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে ৩১টি, এর মধ্যে ১১টিই অচল। বাকি যে ২০টি সচল আছে ভাগ্য ভালো হলে সেখান থেকে পরীক্ষা করাতে পারেন ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় এমআরআই করাতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এমআরআই যন্ত্র আছে ২৪টি, এর মধ্যে ১০টিই অচল। মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দড়ি টানাটানিতে সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা ১৮টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রেরও। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৭টি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মধ্যে ৭টি অচল, আর ৯টি এমআরআই যন্ত্রের মধ্যে ৪টি অচল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬১টি জেলা সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে ১টি নষ্ট। আর এমআরআই যন্ত্র আছে মাত্র ৫টি, যার ২টি অচল। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সচল দেখানো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনাকালে। এখন সেটির কোনো ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালও সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারছে না।
চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের
জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার সুবিধা থাকলে রোগীদের সাশ্রয় হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যন্ত্র বিকল থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসব পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হয় তাঁদের।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সিটি স্ক্যান করাতে ২ হাজার টাকার মতো ফি দিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার টাকায় চেস্ট সিটি করানো যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ছয় থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। একইভাবে ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে সরকারিতে লাগে ২ হাজার, বেসরকারিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্ত্রের পূর্ণ সিটি করাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৪ হাজার, বেসরকারিতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে কোনো রোগীর যদি কন্ট্রাস্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে স্পাইন, ব্রেন, নি-জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা ৩ হাজার টাকায় হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪ হাজার টাকায় হোল অ্যাবডোমিন এমআরআই করানো গেলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ১৪ হাজার টাকা।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি সিটি স্ক্যান বা এমআরআই যন্ত্রে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পরীক্ষা হয়। কিন্তু অর্ধেক যন্ত্র নষ্ট থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নষ্ট যন্ত্র সচলে জটিলতা কোথায়
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, অচল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা আর কখনোই সচল হবে না। অন্যদিকে কিছু আছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব। অচল যন্ত্রের অর্ধেকই মেরামত-অযোগ্য। যদিও মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলোর সচল না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এসব যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ (ওয়ারেন্টি পিরিয়ড) আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এসব যন্ত্র কেনার সময় নিয়মানুযায়ী সরকার এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ চুক্তি হয়ে থাকে, যা কমপ্রিহেন্সিভ মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট (সিএমসি) নামে পরিচিত। সেই চুক্তির আলোকে বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি করতে রাজি হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যন্ত্রের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে সিএমসি। কিন্তু যন্ত্রগুলো পুরোনো হওয়ায় এবং যন্ত্র কেনার সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত হারে সিএমসি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে যন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে বাড়ছে শুধু রোগী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, মেরামত উপযোগী যন্ত্রগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিএমসির জন্য আলোচনা চলছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দাবি করছে। মেরামতের ব্যয়ে যদি নতুন যন্ত্র কেনা যায়, তাহলে সে রকম সিদ্ধান্তই নিতে হবে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও একই পরিস্থিতিতে পড়েন রোগী।
হাসপাতালের দুটি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের একটি অচল থাকায় সিরিয়াল পাননি তিনি। বাধ্য হয়ে এসব পরীক্ষা করানোর জন্য বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটতে হয় তাঁকে।
শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, দেশের প্রায় সব সরকারি হাসপাতালের অতিপরিচিত দৃশ্য এটি। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতালেও রোগীকে এমআরআই মেশিন নষ্ট বলে শুনতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে এমআরআই বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে গেলেই দেখা যায় মেশিন নষ্ট, নয়তো সিরিয়াল পেতে অস্বাভাবিক অপেক্ষা। ফলে ভোগান্তি এড়াতে বেসরকারি ডায়াগনস্টি সেন্টারে যেতে হয় রোগীদের। এতে বেড়ে যায় চিকিৎসা খরচ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে যেসব সিটি স্ক্যান ও এমআরআই যন্ত্র রয়েছে,
তার প্রায় অর্ধেকই অচল। অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে ৩১টি, এর মধ্যে ১১টিই অচল। বাকি যে ২০টি সচল আছে ভাগ্য ভালো হলে সেখান থেকে পরীক্ষা করাতে পারেন ভর্তি না হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় এমআরআই করাতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এমআরআই যন্ত্র আছে ২৪টি, এর মধ্যে ১০টিই অচল। মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দড়ি টানাটানিতে সেগুলো সচল করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একই অবস্থা ১৮টি বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রেরও। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৭টি সিটি স্ক্যান যন্ত্রের মধ্যে ৭টি অচল, আর ৯টি এমআরআই যন্ত্রের মধ্যে ৪টি অচল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের ৬১টি জেলা সদর হাসপাতালে সিটি স্ক্যান যন্ত্র আছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে ১টি নষ্ট। আর এমআরআই যন্ত্র আছে মাত্র ৫টি, যার ২টি অচল। তবে প্রকৃত তথ্য হলো, সচল দেখানো যন্ত্রগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বেশির ভাগ সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা একমাত্র সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনাকালে। এখন সেটির কোনো ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে কিডনি হাসপাতালও সিটি স্ক্যান পরীক্ষা করাতে পারছে না।
চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে রোগীদের
জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে এসব পরীক্ষার সুবিধা থাকলে রোগীদের সাশ্রয় হয়। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে যন্ত্র বিকল থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এসব পরীক্ষা করাতে দুই থেকে আড়াই গুণ অর্থ বেশি খরচ করতে হয় তাঁদের।
সরকারি হাসপাতালগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে সিটি স্ক্যান করাতে ২ হাজার টাকার মতো ফি দিতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে খরচ হয় ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার টাকায় চেস্ট সিটি করানো যায়। বেসরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার জন্য ছয় থেকে ৮ হাজার টাকা লাগে। একইভাবে ব্রেনের সিটি স্ক্যান করাতে সরকারিতে লাগে ২ হাজার, বেসরকারিতে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অন্ত্রের পূর্ণ সিটি করাতে সরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৪ হাজার, বেসরকারিতে গুনতে হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তবে কোনো রোগীর যদি কন্ট্রাস্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে এর সঙ্গে আরও ২ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে স্পাইন, ব্রেন, নি-জয়েন্ট ইত্যাদি পরীক্ষা ৩ হাজার টাকায় হলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা।
সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৪ হাজার টাকায় হোল অ্যাবডোমিন এমআরআই করানো গেলেও বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় হয় ১৪ হাজার টাকা।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি সিটি স্ক্যান বা এমআরআই যন্ত্রে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর পরীক্ষা হয়। কিন্তু অর্ধেক যন্ত্র নষ্ট থাকায় বিপুলসংখ্যক রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
নষ্ট যন্ত্র সচলে জটিলতা কোথায়
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, অচল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু আছে, যা আর কখনোই সচল হবে না। অন্যদিকে কিছু আছে, সেগুলো মেরামত করে পুনরায় সচল করা সম্ভব। অচল যন্ত্রের অর্ধেকই মেরামত-অযোগ্য। যদিও মেরামতযোগ্য যন্ত্রগুলোর সচল না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এসব যন্ত্রের বিক্রয়োত্তর সেবার মেয়াদ (ওয়ারেন্টি পিরিয়ড) আগেই শেষ হয়ে গেছে।
এসব যন্ত্র কেনার সময় নিয়মানুযায়ী সরকার এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ চুক্তি হয়ে থাকে, যা কমপ্রিহেন্সিভ মেইনটেন্যান্স কন্ট্রাক্ট (সিএমসি) নামে পরিচিত। সেই চুক্তির আলোকে বিক্রেতা বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোনো সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি করতে রাজি হচ্ছে না। কারণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে যন্ত্রের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে সিএমসি। কিন্তু যন্ত্রগুলো পুরোনো হওয়ায় এবং যন্ত্র কেনার সময়ের তুলনায় বর্তমানে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত হারে সিএমসি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও বিক্রেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে যন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে, এতে বাড়ছে শুধু রোগী দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল ও লাইন ডাইরেক্টর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসএম) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, মেরামত উপযোগী যন্ত্রগুলো মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। সিএমসির জন্য আলোচনা চলছে। তবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয় নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি দাবি করছে। মেরামতের ব্যয়ে যদি নতুন যন্ত্র কেনা যায়, তাহলে সে রকম সিদ্ধান্তই নিতে হবে।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ১০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দুটি বেসরকারি কলেজে আসন বাড়ানো হয়েছে এবং একটি কলেজের নতুন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ১৪০টি থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ৯৫টি থেকে ৪৫টি, ফরিদপুরে ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ৪০টি, গাজীপুরে সিটি মেডিকেল কলেজে ৮০ থেকে ৩০টি, রাজধানীতে মার্কস মেডিকেল কলেজে ৭০ থেকে ২০টি, ডেলটা মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ৯০ থেকে ১৫টি, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ১০০ থেকে ৫০টি এবং এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজে ১১৫ থেকে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে। এই ১০টি মেডিকেল কলেজ থেকে আসন কমানো হয়েছে ২৬০টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ৬০টির সঙ্গে নতুন করে ২০টি আসন এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে পাঁচটি বাড়িয়ে ৫৫টি করা হয়েছে। এতে মোট আসন বাড়ানো হয়েছে ২৫টি।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ওই দুই মেডিকেল হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ৫৭ ও মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ৫০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বেসরকারি কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে। নতুন ওই কলেজের আসনসংখ্যা ৫০। আজ রাতে অনুমোদনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
চলতি অর্থবছরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস শিক্ষার্থী ভর্তির আসন ৬ হাজার ২৯৩টি। আগামী শিক্ষাবর্ষে দুটি মেডিকেল কলেজে (১০৭টি আসন) ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ও ১০টি মেডিকেলে কলেজে ২৬০টি আসন কমানোয় আসন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯২৬টি। একই সঙ্গে ২৫টি আসন বাড়ায় ও নতুন করে ৫০টি আসন নিয়ে একটি কলেজের অনুমোদন হওয়ায় আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার একটি।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সঞ্জীব দাশ।
বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ৩৮০টি থেকে কমিয়ে ৫ হাজার ১০০টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৮০টি আসন কমানো হয়েছে। আর তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন বেড়েছে ৭৫টি।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস কোর্সের বিদ্যমান আসন পুনর্বিন্যাস করা হলো।
চিঠি অনুযায়ী, দেশের প্রথম সারির পুরোনো আটটি মেডিকেল থেকে ২৫টি করে আসন কমানো হয়েছে। ২৫০ থেকে কমে এই আট প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৫-এ। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট এম এ জি ওসমানী, বরিশাল শেরেবাংলা, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ। এ ছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজেও ২৩০ থেকে পাঁচটি কমিয়ে ২২৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ৫০টি এবং নেত্রকোনা, নীলফামারী, নওগাঁ, মাগুরা ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে ২৫টি করে কমিয়ে ৫০টি করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আসনসংখ্যা বাড়ানো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে—গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ। এর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন ও টাঙ্গাইল মেডিকেলে ২৫ করে বাড়িয়ে আসন দাঁড়িয়েছে ১২৫টি আর পটুয়াখালী মেডিকেলে ২৫ বাড়িয়ে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০টি। অর্থাৎ তিন প্রতিষ্ঠানে মোট আসন ৭৫টি বেড়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কুমিল্লা, খুলনা, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান, ফরিদপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা ২০০ করে। আর ১০০ করে এই ডিগ্রির জন্য আসন রয়েছে পাবনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া, জামালপুর ও মুগদা মেডিকেল কলেজে।
অপর দিকে ১২৫টি করে আসন রয়েছে গোপালগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। আর রাঙামাটি ও নীলফামারী মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৭৫টি করে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন। তবে তিনি কলেজ দুটির নাম তাৎক্ষণিক জানাননি।
অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার একাধিক কর্মকর্তা জানান, গতকাল রোববার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় এই দুই মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা কমানো হলেও আরও একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এই মেডিকেল কলেজের নাম ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ। রাজধানীতে এই মেডিকেল কলেজে কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কয়েক বছর আগে ৭০টির বেশি ছিল। পরে ২০২৩ সালে ছয়টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েকটির অনুমোদনও বাতিল করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। নতুন করে আরও একটি কলেজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, ৬৭টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে দুটি কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ তারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। তবে বিদ্যমান শিক্ষাবর্ষের একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। এই হিসাবে দেশে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬টিতে।
চিকিৎসাশিক্ষার মান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে সরকার কেন নতুন করে একটি কলেজের অনুমোদন দিয়েছে—এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন অনুযায়ী শর্ত মেনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তির আসন কমানো হলেও বেসরকারি কলেজের আসন কমানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে আসন পুনর্বিন্যাস বলছি। সরকারিতেই শুধু নয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যেও যেসব কলেজ বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তাদেরও কমানো হয়েছে। শিগগির প্রকাশ করা হবে।’
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন মেডিকেল কলেজ অনুমোদনসহ আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নানা বিষয়ে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন এই মেডিকেল কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই মেডিকেলের কার্যক্রম শুরু হবে।

শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে সম্প্রতি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান জাকিয়া বেগম (ছদ্মনাম)। এই রোগীকে দেখার পর তাঁকে এমআরআই করাতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এবার চিকিৎসক তাঁকে এমআরআইয়ের পরিবর্তে সিটি স্ক্যান করাতে বলেন। এখানেও
০২ এপ্রিল ২০২৪
সরকারি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেও এমবিবিএস ডিগ্রিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানো হয়েছে। মোট ৩৬৭টি আসন কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্রে আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা পুনর্বিন্যাস করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য থেকে ১৪টিতে আসন কমানো হয়েছে আর বাড়ানো হয়েছে তিনটিতে। অন্যান্য মেডিকেলের আসনসংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসাশিক্ষা) অধ্যাপক...
৮ ঘণ্টা আগে