নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এই রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে দেশে চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ১৯২ জনে দাঁড়াল। এ বছর গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের।
কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ছয় শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এ বছর জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, ১০ হাজার ৬৮৪ জন। মৃত্যুও বেশি জুলাই মাসে, ৪১ জন। আগস্টে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ জন। গত মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। চলতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জুলাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চোখরাঙানি দিচ্ছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এনএস-১ পরীক্ষা করতে হবে এবং কিটের জন্য সিএমএসডি বা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ভর্তি রোগীদের জন্য সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তি রোগীদের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড বা কক্ষে রাখার পাশাপাশি মেডিসিন, শিশু ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। ওই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল অফিসার, রেসিডেন্ট ও প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকদের নিয়ে একটি আলাদা দল কাজ করবে, যারা কেবল ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসা করবেন।
বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে, তাদের জন্য আলাদা কক্ষে বিশেষজ্ঞ বোর্ডের অধীনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিইউ-সুবিধা থাকলে ডেঙ্গু রোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। রোগীর তথ্য সংরক্ষণ ও পাঠানোর জন্য একজন নার্সকে দায়িত্ব দিতে হবে। কোনো রোগী মারা গেলে ৬ ঘণ্টার মধ্যে সংক্ষিপ্ত তথ্য এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া হাসপাতাল এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশকনিধন কার্যক্রম চালাতে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দিতে হবে। প্রতি শনিবার সকালে হাসপাতালের পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক বা সিভিল সার্জনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। প্রয়োজনে অন্যান্য জেলা হাসপাতালও এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারবে।
গতকাল বিকেলে ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্দেশনাগুলো দেখে হয়তো মনে হবে, সব আগের মতোই আছে। তবে বাস্তবতা হলো, এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে একটি বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এই রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে দেশে চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ১৯২ জনে দাঁড়াল। এ বছর গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের।
কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন ছয় শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৭১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এ বছর জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, ১০ হাজার ৬৮৪ জন। মৃত্যুও বেশি জুলাই মাসে, ৪১ জন। আগস্টে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৬ জন। গত মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। চলতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জুলাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চোখরাঙানি দিচ্ছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এনএস-১ পরীক্ষা করতে হবে এবং কিটের জন্য সিএমএসডি বা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ভর্তি রোগীদের জন্য সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তি রোগীদের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড বা কক্ষে রাখার পাশাপাশি মেডিসিন, শিশু ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। ওই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল অফিসার, রেসিডেন্ট ও প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকদের নিয়ে একটি আলাদা দল কাজ করবে, যারা কেবল ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসা করবেন।
বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে, তাদের জন্য আলাদা কক্ষে বিশেষজ্ঞ বোর্ডের অধীনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিইউ-সুবিধা থাকলে ডেঙ্গু রোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। রোগীর তথ্য সংরক্ষণ ও পাঠানোর জন্য একজন নার্সকে দায়িত্ব দিতে হবে। কোনো রোগী মারা গেলে ৬ ঘণ্টার মধ্যে সংক্ষিপ্ত তথ্য এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়া হাসপাতাল এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশকনিধন কার্যক্রম চালাতে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দিতে হবে। প্রতি শনিবার সকালে হাসপাতালের পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক বা সিভিল সার্জনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। প্রয়োজনে অন্যান্য জেলা হাসপাতালও এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারবে।
গতকাল বিকেলে ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নির্দেশনাগুলো দেখে হয়তো মনে হবে, সব আগের মতোই আছে। তবে বাস্তবতা হলো, এখন ডেঙ্গুর চিকিৎসা একটি হাসপাতালে একটি বিশেষজ্ঞ দলের অধীনে হবে। একই ওয়ার্ডে বা একই স্থানে একই চিকিৎসক দল চিকিৎসা করবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে গত এক দিনে ৬৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ১৩ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে।
৮ ঘণ্টা আগেদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকায় মশাবাহিত এ রোগের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশ
১১ ঘণ্টা আগেলাইন ডিরেক্টর (এলডি), প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পিএম), ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ডিপিএম) বিলুপ্ত করে সেসব পদ ব্যবহার না করার নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
১ দিন আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ দিন আগে