অধ্যাপক ডা. ইমনুল ইসলাম ইমন
গিরায় সংক্রমণ বা সেপটিক আর্থ্রাইটিস একটি সংক্রমণজনিত রোগ। এটি দ্রুত শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা করা না হলে বিভিন্ন জটিলতায় শিশু আক্রান্ত হতে পারে। রোগটি ব্যাপকভাবে দেখা না গেলেও এটির দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। এটি নবজাতক থেকে শুরু করে কিশোর বয়স পর্যন্ত হতে পারে। তবে সাধারণত রোগটি ২ বছর থেকে ৫ বছরের শিশুদের হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাসের তো বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।
ছেলেশিশুদের গিরায় সংক্রমণ মেয়েশিশুদের তুলনায় বেশি হয়। বড়দের তুলনায় শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। রোগটি সাধারণত একটি গিরায় হয়ে থাকে। তবে নবজাতকের বেলায় একসঙ্গে অনেকগুলো গিরায় আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হাঁটু, গোড়ালি, নিতম্বে এটি হয়ে থাকে। তবে কবজি ও কাঁধও আক্রান্ত হতে পারে।
কারণ
» রক্তের জীবাণু গিরায় প্রবেশ করা
» হাড়ের সংক্রমণ গিরা আক্রান্ত করা
» আঘাত বা হাড় ভাঙা
» সংক্রমণজনিত চামড়ার ক্ষত
» শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার দুর্বলতা।
লক্ষণ
» গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা
» ব্যথার কারণে খুঁড়িয়ে হাঁটা
» আক্রান্ত গিরা ফুলে লাল হয়ে যাওয়া
» গিরার তাপমাত্রা বেড়ে যায়
» জ্বর
নবজাতকের ক্ষেত্রে অনেক সময় এই লক্ষণগুলো না-ও থাকতে পারে। তবে দেখা যায়, নবজাতক আক্রান্ত হলে হাত বা পায়ের নড়াচড়া কমে যায়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
রক্তের পরীক্ষা, যেমন রক্তকণিকার পরিমাণ, ইএসআর, সিআরপি, রক্তের কালচার পরীক্ষা করে এ রোগের ধারণা পাওয়া যায়। তবে গিরায় পানি থাকলে সে পানি নিয়ে পরীক্ষা করলেও এ রোগ প্রমাণ করা যায়। এ ছাড়া এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করেও রোগটি শনাক্ত করা যায়।
চিকিৎসা
এ রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক দুই থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেওয়া হয়। যার প্রথম দুই সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি করে শিরাপথে প্রয়োগ করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক মুখ দিয়ে দিতে হয়। কখনো কখনো নিতম্ব এবং কাঁধের গিরা আক্রান্ত হলে অপারেশন করে পুঁজ বের করে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আবার কখনো স্প্লিন্ট ব্যবহার করেও এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
জটিলতা
» দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে তার ফল ভালো পাওয়া যায়। চিকিৎসা না করলে বা দেরিতে করলে
» আক্রান্ত গিরার কার্যক্ষমতা কমে যায়
» শিশুর পা ছোট বড় হতে পারে
» স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে
» হাড়ের সংক্রমণ হতে পারে
» সেলুলাইটিস হতে পারে
» রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে
লেখক: অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
গিরায় সংক্রমণ বা সেপটিক আর্থ্রাইটিস একটি সংক্রমণজনিত রোগ। এটি দ্রুত শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা করা না হলে বিভিন্ন জটিলতায় শিশু আক্রান্ত হতে পারে। রোগটি ব্যাপকভাবে দেখা না গেলেও এটির দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। এটি নবজাতক থেকে শুরু করে কিশোর বয়স পর্যন্ত হতে পারে। তবে সাধারণত রোগটি ২ বছর থেকে ৫ বছরের শিশুদের হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাসের তো বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে।
ছেলেশিশুদের গিরায় সংক্রমণ মেয়েশিশুদের তুলনায় বেশি হয়। বড়দের তুলনায় শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। রোগটি সাধারণত একটি গিরায় হয়ে থাকে। তবে নবজাতকের বেলায় একসঙ্গে অনেকগুলো গিরায় আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হাঁটু, গোড়ালি, নিতম্বে এটি হয়ে থাকে। তবে কবজি ও কাঁধও আক্রান্ত হতে পারে।
কারণ
» রক্তের জীবাণু গিরায় প্রবেশ করা
» হাড়ের সংক্রমণ গিরা আক্রান্ত করা
» আঘাত বা হাড় ভাঙা
» সংক্রমণজনিত চামড়ার ক্ষত
» শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার দুর্বলতা।
লক্ষণ
» গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা
» ব্যথার কারণে খুঁড়িয়ে হাঁটা
» আক্রান্ত গিরা ফুলে লাল হয়ে যাওয়া
» গিরার তাপমাত্রা বেড়ে যায়
» জ্বর
নবজাতকের ক্ষেত্রে অনেক সময় এই লক্ষণগুলো না-ও থাকতে পারে। তবে দেখা যায়, নবজাতক আক্রান্ত হলে হাত বা পায়ের নড়াচড়া কমে যায়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
রক্তের পরীক্ষা, যেমন রক্তকণিকার পরিমাণ, ইএসআর, সিআরপি, রক্তের কালচার পরীক্ষা করে এ রোগের ধারণা পাওয়া যায়। তবে গিরায় পানি থাকলে সে পানি নিয়ে পরীক্ষা করলেও এ রোগ প্রমাণ করা যায়। এ ছাড়া এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করেও রোগটি শনাক্ত করা যায়।
চিকিৎসা
এ রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক দুই থেকে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দেওয়া হয়। যার প্রথম দুই সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি করে শিরাপথে প্রয়োগ করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক মুখ দিয়ে দিতে হয়। কখনো কখনো নিতম্ব এবং কাঁধের গিরা আক্রান্ত হলে অপারেশন করে পুঁজ বের করে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। আবার কখনো স্প্লিন্ট ব্যবহার করেও এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
জটিলতা
» দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলে তার ফল ভালো পাওয়া যায়। চিকিৎসা না করলে বা দেরিতে করলে
» আক্রান্ত গিরার কার্যক্ষমতা কমে যায়
» শিশুর পা ছোট বড় হতে পারে
» স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ হতে পারে
» হাড়ের সংক্রমণ হতে পারে
» সেলুলাইটিস হতে পারে
» রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে
লেখক: অধ্যাপক, শিশু বিভাগ, আলোক হেলথ কেয়ার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা
গত পাঁচ দিনের প্রতিদিনই তিন শতাধিক ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবারের তথ্য অনুযায়ী আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় ৩২৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় বলে জানা গেছে। এই সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে প্যারাসিটামলের মতো ব্যথানাশক ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। গবেষকেরা এমনই এক অভিনব উপায় খুঁজে পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে টেকসই উপায়ে এসব ওষুধ উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১২ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) আরও ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১ দিন আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯৪ জন সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হিসাব পাওয়া গেছে।
১ দিন আগে