ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি দেশে ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি বেশ আলোচনায় এসেছে। গাজীপুরের হায়দ্রাবাদ এলাকায় ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করার খবর সোশ্যাল মিডিয়াসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
এসবের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে—এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলার
ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা, ‘ভারত গরু দিচ্ছে না, বাংলাদেশিরা খিদেতে রাস্তায় ঘোড়ার মাংস খাচ্ছে।’
প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১ লাখ বার দেখা হয়েছে এবং এতে ১ হাজার ১০০ রিয়েকশন পড়েছে।
সত্যিই কি সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি কমে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে? আর এ কারণে দেশের মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে? এই প্রশ্ন সামনে রেখে প্রকৃত পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানি বন্ধের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ডয়েচে ভেলেতে ২০২২ সালের ৮ জুলাই তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ভারতীয় গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
তবে এর পরবর্তী সময়ে সরকারিভাবে ভারত থেকে দেশে গরু আমদানি করার তথ্য গুগলে সার্চ করলে সংবাদমাধ্যমগুলোতে পাওয়া যায়নি।
তবে বিগত সময়ের কোরবানির ঈদে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে গরু আসার প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
গরুর মাংসের দাম কি সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে?
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রথম আলোতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কর্মসূচিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
আজকের পত্রিকায় গত ৯ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রমজান মাস শুরুর সময় থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তবে দাম বাড়া সত্ত্বেও রোজায় মাংস কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। যার কারণে মাংসের দোকানগুলোতে গরুর মাংসের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, রোজার আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংসের দাম ৭৫০–৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গরুর মাংসের কেমন দাম ছিল, সে বিষয়ে অনুসন্ধানে সে বছরের ১১ মার্চ তারিখে বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরে একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময়ে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
২০২৪ সাল ও ২০২৫ সালের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দামের তুলনা করলে এই দুই বছরের বাজারে ৫০ টাকার পার্থক্য দেখা যায়। আবার কিছু বাজারের ক্ষেত্রে এ দুই বছরে দামের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি।
এরপর আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ আগের বছরগুলোর গরুর মাংসের দামের খোঁজ করে।
২০২৪ সালের ১৫ মার্চ বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক সেদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখতে পান, বেশির ভাগ জায়গায় গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচনের পর ঢাকায় গরুর মাংস ৫৯৫, ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
মাংসের এমন দামের তারতম্য হওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে মাংসের গুণগত মান, ব্যবসায়ীদের কেজি দরে মাংস কিনে এনে আবার বিক্রি ও সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিবিসি বাংলায় ২০২৩ সালের ২৯ মার্চের আরেকটি প্রতিবেদনে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরাতে উল্লেখিত বিগত বছরের গরুর মাংসের দাম সম্পর্কিত তথ্য জানা যায়।
২০২১ সালে গরুর মাংসের কেজিতে গড় দাম ছিল ৫৯৮ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ৬৮৮ টাকা এবং ২০২৩ সালে ছিল ৭৫০ টাকা।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির এক গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে গরু না পাঠানোর সিদ্ধান্তে দেশে গরুর মাংসের চাহিদা পূরণ বিশেষ করে কোরবানির সময় পশু পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী সময়ে ঢাকা শহরের চারপাশসহ বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে গরুর খামার তৈরি হতে থাকে। ধীরে ধীরে সারা বছরের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ২০১৪ সালে দেশে গরুর মাংস ২৭৫ টাকায় কেজিপ্রতি গড় দামে বিক্রি হতো। আর ২০১৮ সালে কেজিপ্রতি ৪৩০ টাকা, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫৫০ টাকা, ২০২২ সালে ৭০০ টাকা এবং ২০২৩ সালে প্রায় ৮০০ টাকা।
বাংলাদেশে গরুর মাংসের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের কোরবানির ঈদে দেশে গবাদিপশুর কোনো ঘাটতি পড়বে না এবং চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর বেশি জোগান আছে বলে জানান তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
২০২৪ সাল ছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যেমন: ২০২৩, ২০২২, ২০২১, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে গরু–ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ মর্মে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি কিছুটা সত্যতাও পাওয়া যায় কোরবানির ঈদের সময়। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, কোরবানির পশুর হাটে অনেক পশু অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, বছরে মাংসের চাহিদা ৭৬ লাখ টন। আর দেশের খামারে উৎপাদন হচ্ছে ৯২ লাখ টন।
কিন্তু এরপরও মাংসের দাম বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে খামারিরা বলছেন, পশুর খাবার ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মাংসের দাম কমছে না। আমদানিকারকেরা বলছেন, মাংস আমদানি করা হলে ৫০০ টাকা কেজিতে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমদানিতে আগ্রহী নয়। এ নিয়ে খামারিদেরও আপত্তি আছে।
তার মানে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ গরু–ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সুতরাং ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ হয়েছে বলে দেশে মাংসের সংকটে মানুষ ঘোড়ার মাংস খেতে শুরু করেছে এমন নয়।
তবে এটি সত্য যে, অভ্যন্তরীণ নানা কারণে দেশে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে, সেটি মাংসের দোকানগুলোর সামনে ভিড় দেখলে বোঝা যায়। ঘোড়ার মাংস খাওয়ার প্রচলন বাংলাদেশে কখনোই ছিল না। সম্প্রতি বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। গাজীপুরে প্রতি শুক্রবার তিন–চার সপ্তাহ ধরে শুধু একটি দোকানে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করা হচ্ছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ গিয়ে মাংস কিনতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরুতে বিনা মূল্যে ঘোড়ার মাংস দিয়েছেন বিক্রেতা। ধীরে ধীরে দাম বাড়ানো হয়েছে। অনেকে শখের বশে ঘোড়ার মাংস কিনেছেন। দেখা গেছে, ক্রেতাদের মধ্যে স্থানীয়দের চেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষই বেশি।
ঘোড়ার মাংস বিক্রির উদ্যোক্তা গাজীপুর মহানগরের হায়দ্রাবাদ এলাকার নুরুল্লাহ মামুন গণমাধ্যমকে জানান, দিন দিন চাহিদা বেড়েছে। শুরুতে একটু দুর্বল ঘোড়ার মাংস ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন, পরে ভালো মানের ঘোড়ার মাংসের দাম বাড়িয়েছেন।
এ নিয়ে ধর্মীয় বিতর্কও শুরু হয়েছে। পরে অবশ্য স্থানীয় প্রশাসন ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। বিক্রেতার লাইসেন্স নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তিনি সিটি করপোরেশন থেকে মাংস বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি।
সম্প্রতি দেশে ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি বেশ আলোচনায় এসেছে। গাজীপুরের হায়দ্রাবাদ এলাকায় ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করার খবর সোশ্যাল মিডিয়াসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
এসবের মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে—এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলার
ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির শিরোনামে লেখা, ‘ভারত গরু দিচ্ছে না, বাংলাদেশিরা খিদেতে রাস্তায় ঘোড়ার মাংস খাচ্ছে।’
প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১ লাখ বার দেখা হয়েছে এবং এতে ১ হাজার ১০০ রিয়েকশন পড়েছে।
সত্যিই কি সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি কমে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে? আর এ কারণে দেশের মানুষ ক্ষুধার তাড়নায় ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে? এই প্রশ্ন সামনে রেখে প্রকৃত পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানি বন্ধের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ডয়েচে ভেলেতে ২০২২ সালের ৮ জুলাই তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে ভারতীয় গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।
তবে এর পরবর্তী সময়ে সরকারিভাবে ভারত থেকে দেশে গরু আমদানি করার তথ্য গুগলে সার্চ করলে সংবাদমাধ্যমগুলোতে পাওয়া যায়নি।
তবে বিগত সময়ের কোরবানির ঈদে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে গরু আসার প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
গরুর মাংসের দাম কি সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে?
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রথম আলোতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১ থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই কর্মসূচিতে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
আজকের পত্রিকায় গত ৯ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রমজান মাস শুরুর সময় থেকেই রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। তবে দাম বাড়া সত্ত্বেও রোজায় মাংস কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। যার কারণে মাংসের দোকানগুলোতে গরুর মাংসের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, রোজার আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এখন অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংসের দাম ৭৫০–৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গরুর মাংসের কেমন দাম ছিল, সে বিষয়ে অনুসন্ধানে সে বছরের ১১ মার্চ তারিখে বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরে একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময়ে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
২০২৪ সাল ও ২০২৫ সালের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দামের তুলনা করলে এই দুই বছরের বাজারে ৫০ টাকার পার্থক্য দেখা যায়। আবার কিছু বাজারের ক্ষেত্রে এ দুই বছরে দামের তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি।
এরপর আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ আগের বছরগুলোর গরুর মাংসের দামের খোঁজ করে।
২০২৪ সালের ১৫ মার্চ বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই প্রতিবেদনের প্রতিবেদক সেদিন ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখতে পান, বেশির ভাগ জায়গায় গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচনের পর ঢাকায় গরুর মাংস ৫৯৫, ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
মাংসের এমন দামের তারতম্য হওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে মাংসের গুণগত মান, ব্যবসায়ীদের কেজি দরে মাংস কিনে এনে আবার বিক্রি ও সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করা হয়।
বিবিসি বাংলায় ২০২৩ সালের ২৯ মার্চের আরেকটি প্রতিবেদনে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরাতে উল্লেখিত বিগত বছরের গরুর মাংসের দাম সম্পর্কিত তথ্য জানা যায়।
২০২১ সালে গরুর মাংসের কেজিতে গড় দাম ছিল ৫৯৮ টাকা, ২০২২ সালে ছিল ৬৮৮ টাকা এবং ২০২৩ সালে ছিল ৭৫০ টাকা।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোরে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির এক গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালে ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে গরু না পাঠানোর সিদ্ধান্তে দেশে গরুর মাংসের চাহিদা পূরণ বিশেষ করে কোরবানির সময় পশু পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে এই সিদ্ধান্তের পরবর্তী সময়ে ঢাকা শহরের চারপাশসহ বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে গরুর খামার তৈরি হতে থাকে। ধীরে ধীরে সারা বছরের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ২০১৪ সালে দেশে গরুর মাংস ২৭৫ টাকায় কেজিপ্রতি গড় দামে বিক্রি হতো। আর ২০১৮ সালে কেজিপ্রতি ৪৩০ টাকা, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫৫০ টাকা, ২০২২ সালে ৭০০ টাকা এবং ২০২৩ সালে প্রায় ৮০০ টাকা।
বাংলাদেশে গরুর মাংসের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল দেশ রূপান্তরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের কোরবানির ঈদে দেশে গবাদিপশুর কোনো ঘাটতি পড়বে না এবং চাহিদার তুলনায় গবাদিপশুর বেশি জোগান আছে বলে জানান তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
২০২৪ সাল ছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যেমন: ২০২৩, ২০২২, ২০২১, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে গরু–ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ মর্মে সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি কিছুটা সত্যতাও পাওয়া যায় কোরবানির ঈদের সময়। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, কোরবানির পশুর হাটে অনেক পশু অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চলতি বছরের হিসাব অনুযায়ী, বছরে মাংসের চাহিদা ৭৬ লাখ টন। আর দেশের খামারে উৎপাদন হচ্ছে ৯২ লাখ টন।
কিন্তু এরপরও মাংসের দাম বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে খামারিরা বলছেন, পশুর খাবার ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মাংসের দাম কমছে না। আমদানিকারকেরা বলছেন, মাংস আমদানি করা হলে ৫০০ টাকা কেজিতে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আমদানিতে আগ্রহী নয়। এ নিয়ে খামারিদেরও আপত্তি আছে।
তার মানে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ গরু–ছাগলে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সুতরাং ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ হয়েছে বলে দেশে মাংসের সংকটে মানুষ ঘোড়ার মাংস খেতে শুরু করেছে এমন নয়।
তবে এটি সত্য যে, অভ্যন্তরীণ নানা কারণে দেশে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে, সেটি মাংসের দোকানগুলোর সামনে ভিড় দেখলে বোঝা যায়। ঘোড়ার মাংস খাওয়ার প্রচলন বাংলাদেশে কখনোই ছিল না। সম্প্রতি বিষয়টি ভাইরাল হয়েছে। গাজীপুরে প্রতি শুক্রবার তিন–চার সপ্তাহ ধরে শুধু একটি দোকানে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করা হচ্ছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক মানুষ গিয়ে মাংস কিনতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুরুতে বিনা মূল্যে ঘোড়ার মাংস দিয়েছেন বিক্রেতা। ধীরে ধীরে দাম বাড়ানো হয়েছে। অনেকে শখের বশে ঘোড়ার মাংস কিনেছেন। দেখা গেছে, ক্রেতাদের মধ্যে স্থানীয়দের চেয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষই বেশি।
ঘোড়ার মাংস বিক্রির উদ্যোক্তা গাজীপুর মহানগরের হায়দ্রাবাদ এলাকার নুরুল্লাহ মামুন গণমাধ্যমকে জানান, দিন দিন চাহিদা বেড়েছে। শুরুতে একটু দুর্বল ঘোড়ার মাংস ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন, পরে ভালো মানের ঘোড়ার মাংসের দাম বাড়িয়েছেন।
এ নিয়ে ধর্মীয় বিতর্কও শুরু হয়েছে। পরে অবশ্য স্থানীয় প্রশাসন ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। বিক্রেতার লাইসেন্স নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। তিনি সিটি করপোরেশন থেকে মাংস বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করেছেন বলে জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
২ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৭ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে— এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলায় সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৭ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে— এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলায় সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
২ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৭ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে— এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলায় সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
২ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরুর আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরুর মাংসের দাম বেড়ে গেছে এবং এ কারণে দেশের মানুষ ঘোড়ার মাংস খাওয়া শুরু করেছে— এমন দাবিতে একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলায় সোমবার (১৭ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
২ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৩ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৭ দিন আগে