ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সম্প্রতি ফেসবুকে StopNCII নামে একটি ওয়েবসাইটের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যদি কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা ফটোশপ দিয়ে কারও ছবি এডিট করে ন্যুড ছবি তৈরি করে, তাহলে StopNCII ওয়েবসাইটে গিয়ে আসল ছবি ও এডিটেড ছবি জমা দিতে হবে। পরে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের যত জায়গায় এই এডিটেড ছবি আছে তা সরিয়ে দিবে। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে কারও সঙ্গে সরাসরি কথা বলা লাগবে না। নিজের পরিচয় ও গোপন থাকবে।’
‘বিজ্ঞানবলয়’ নামের ৩৮ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ২৪ মার্চ (শনিবার) এসব তথ্য উল্লেখ করে একটি পোস্ট করা হয়। ‘সায়েন্স গ্যালাক্সি (Science Galaxy) ’ নামের একটি ফেসবুক ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া পোস্টটি আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে ১৭ হাজারের বেশি।
StopNCII কী ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে আপত্তিকর ছবি সরিয়ে দিতে পারে? ওয়েবসাইটটি কী নির্ভরযোগ্য? কীভাবে কাজ করে ওয়েবসাইটটি?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ওপি ইন্ডিয়াতে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে StopNCII সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, StopNCII হল যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি উদ্যোগ, যা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করা দাতব্য সংস্থা সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিং (এসডাব্লিউজিএফএল) এর অংশ। এটি সংস্থাটির রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্পলাইন (আরপিএইচ) দ্বারা পরিচালিত হয়। আরপিএইচের যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে অ-সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ ছবি অপব্যবহারের ফলে ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় StopNCII এর যাত্রা। আরপিএইচের দাবি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির অ-সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ ছবি সরানোর হার শতকরা ৯০ ভাগ এবং তারা ২ লাখের বেশি ছবি সরিয়েছে। তবে StopNCII ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে আপত্তিকর বা বিকৃত ছবি সরাতে পারে না, যেমনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটটি কেবল এদের অংশী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট যেমন, মেটা, টিকটক থেকে ছবি সরাতে পারে।
২০২৩ সালে ভারতের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসাররা StopNCII নিয়ে কনটেন্ট বানিয়ে দাবি করে, ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে আপত্তিকর ছবি সরিয়ে ফেলতে পারে। এ প্রসঙ্গে ওপি ইন্ডিয়া ভারতের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আকাঞ্চা শ্রীবাস্তবের বরাত দিয়ে জানায়, এটি পুরোপুরি মিথ্যা। কেউ ইন্টারনেটের সব উৎস কোনো কিছু চিরতরে মুছে ফেলতে পারবে না।
StopNCII এর ওয়েবসাইট ঘুরেও এসব তথ্যের সত্যতা মেলে। ওয়েবসাইটটির ব্যবহার সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে জানা যায়, ওয়েবসাইটটি ব্যবহারের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো হলো:
প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে আরও জানা যায়, StopNCII এর ওয়েবসাইটে অন্য কারও পক্ষ থেকে ছবি শেয়ার করার কোনো সুযোগ নেই। কেবল ভুক্তভোগী ব্যক্তিই এখানে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটি কারও ছবি গ্রহণ করে না। এরা অংশী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ছবি সরানোর ক্ষেত্রে অন ডিভাইস হ্যাশিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ওয়েবসাইটটির শুরুতেও একই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। এখানে ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, প্রকৃত StopNCII কখনো কারও ছবি বা ভিডিও পোস্ট করতে বলে না। অ-সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ ছবি সরানোর ক্ষেত্রে StopNCII কীভাবে কাজ করে সেটির একটি ভিডিওচিত্রও ওয়েবসাইটটিতে যুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওয়েবসাইটে আবেদন করার পর এরা ওই ছবির বা ভিডিওয়ের একটি হ্যাশ বা ডিজিটাল বারকোড তৈরি করে। যা StopNCII এর হ্যাশব্যাংকে সংরক্ষিত থাকে এবং এই কোড StopNCII এর অংশী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অংশী প্রতিষ্ঠানগুলো এই হ্যাশের ভিত্তিতেই ছবি বা ভিডিও শনাক্ত করে এদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত দাবিগুলোর অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ে StopNCII এর মূল প্রতিষ্ঠান সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিংয়ের (এসডাব্লিউজিএফএল) প্রেস অফিসে মেইল করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। প্রেস অফিস মেইলের উত্তরে জানায়, StopNCII ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে ছবি সরানোর ক্ষেত্রে কাজ করে না। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, রেড্ডিট, থ্রেডস, স্ন্যাপ, ব্যাম্বল, অনলি ফ্যানস, আইলো এবং নিয়ান্টিকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। অর্থাৎ কেবল এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট থেকেই কেবল তারা আপত্তিকর ছবি সরাতে পারে।
সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিংয়ের (এসডব্লিউজিএফএল) প্রেস অফিস আরও জানায়, এরা কখনো ভুক্তভোগীকে ওয়েবসাইটে ছবি পোস্ট করতে বলে না। StopNCII-এর ওয়েবসাইটে মূলত আপত্তিকর ছবিগুলোকে হ্যাশে পরিণত করা হয় এবং ছবি ভুক্তভোগীর ফোনেই থেকে যায়।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট, StopNCII ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে ছবি সরাতে কাজ করে না। এটি কেবল নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আপত্তিকর ছবি সরাতে কাজ করে এবং এসব ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটি সরাসরি ভুক্তভোগীর ছবি ব্যবহার করে না বরং আপত্তিকর ছবিটিকে অন ডিভাইস হ্যাশিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেয়। অর্থাৎ StopNCII ফেসবুকে ভাইরাল দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

সম্প্রতি ফেসবুকে StopNCII নামে একটি ওয়েবসাইটের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যদি কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা ফটোশপ দিয়ে কারও ছবি এডিট করে ন্যুড ছবি তৈরি করে, তাহলে StopNCII ওয়েবসাইটে গিয়ে আসল ছবি ও এডিটেড ছবি জমা দিতে হবে। পরে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের যত জায়গায় এই এডিটেড ছবি আছে তা সরিয়ে দিবে। এর জন্য ওই ব্যক্তিকে কারও সঙ্গে সরাসরি কথা বলা লাগবে না। নিজের পরিচয় ও গোপন থাকবে।’
‘বিজ্ঞানবলয়’ নামের ৩৮ হাজার সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ২৪ মার্চ (শনিবার) এসব তথ্য উল্লেখ করে একটি পোস্ট করা হয়। ‘সায়েন্স গ্যালাক্সি (Science Galaxy) ’ নামের একটি ফেসবুক ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া পোস্টটি আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। এতে রিয়েকশন পড়েছে ১৭ হাজারের বেশি।
StopNCII কী ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে আপত্তিকর ছবি সরিয়ে দিতে পারে? ওয়েবসাইটটি কী নির্ভরযোগ্য? কীভাবে কাজ করে ওয়েবসাইটটি?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ওপি ইন্ডিয়াতে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে StopNCII সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, StopNCII হল যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি উদ্যোগ, যা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করা দাতব্য সংস্থা সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিং (এসডাব্লিউজিএফএল) এর অংশ। এটি সংস্থাটির রিভেঞ্জ পর্ণ হেল্পলাইন (আরপিএইচ) দ্বারা পরিচালিত হয়। আরপিএইচের যাত্রা শুরু হয় ২০১৮ সালে অ-সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ ছবি অপব্যবহারের ফলে ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে। এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় StopNCII এর যাত্রা। আরপিএইচের দাবি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির অ-সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ ছবি সরানোর হার শতকরা ৯০ ভাগ এবং তারা ২ লাখের বেশি ছবি সরিয়েছে। তবে StopNCII ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে আপত্তিকর বা বিকৃত ছবি সরাতে পারে না, যেমনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটটি কেবল এদের অংশী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট যেমন, মেটা, টিকটক থেকে ছবি সরাতে পারে।
২০২৩ সালে ভারতের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসাররা StopNCII নিয়ে কনটেন্ট বানিয়ে দাবি করে, ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে আপত্তিকর ছবি সরিয়ে ফেলতে পারে। এ প্রসঙ্গে ওপি ইন্ডিয়া ভারতের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আকাঞ্চা শ্রীবাস্তবের বরাত দিয়ে জানায়, এটি পুরোপুরি মিথ্যা। কেউ ইন্টারনেটের সব উৎস কোনো কিছু চিরতরে মুছে ফেলতে পারবে না।
StopNCII এর ওয়েবসাইট ঘুরেও এসব তথ্যের সত্যতা মেলে। ওয়েবসাইটটির ব্যবহার সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে জানা যায়, ওয়েবসাইটটি ব্যবহারের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো হলো:
প্রশ্নোত্তর পর্ব থেকে আরও জানা যায়, StopNCII এর ওয়েবসাইটে অন্য কারও পক্ষ থেকে ছবি শেয়ার করার কোনো সুযোগ নেই। কেবল ভুক্তভোগী ব্যক্তিই এখানে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটি কারও ছবি গ্রহণ করে না। এরা অংশী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ছবি সরানোর ক্ষেত্রে অন ডিভাইস হ্যাশিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ওয়েবসাইটটির শুরুতেও একই তথ্যের উল্লেখ রয়েছে। এখানে ওয়েবসাইটটির ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, প্রকৃত StopNCII কখনো কারও ছবি বা ভিডিও পোস্ট করতে বলে না। অ-সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ ছবি সরানোর ক্ষেত্রে StopNCII কীভাবে কাজ করে সেটির একটি ভিডিওচিত্রও ওয়েবসাইটটিতে যুক্ত করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ওয়েবসাইটে আবেদন করার পর এরা ওই ছবির বা ভিডিওয়ের একটি হ্যাশ বা ডিজিটাল বারকোড তৈরি করে। যা StopNCII এর হ্যাশব্যাংকে সংরক্ষিত থাকে এবং এই কোড StopNCII এর অংশী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অংশী প্রতিষ্ঠানগুলো এই হ্যাশের ভিত্তিতেই ছবি বা ভিডিও শনাক্ত করে এদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত দাবিগুলোর অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ে StopNCII এর মূল প্রতিষ্ঠান সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিংয়ের (এসডাব্লিউজিএফএল) প্রেস অফিসে মেইল করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। প্রেস অফিস মেইলের উত্তরে জানায়, StopNCII ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে ছবি সরানোর ক্ষেত্রে কাজ করে না। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, রেড্ডিট, থ্রেডস, স্ন্যাপ, ব্যাম্বল, অনলি ফ্যানস, আইলো এবং নিয়ান্টিকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। অর্থাৎ কেবল এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট থেকেই কেবল তারা আপত্তিকর ছবি সরাতে পারে।
সাউথ ওয়েস্ট গ্রিড ফর লার্নিংয়ের (এসডব্লিউজিএফএল) প্রেস অফিস আরও জানায়, এরা কখনো ভুক্তভোগীকে ওয়েবসাইটে ছবি পোস্ট করতে বলে না। StopNCII-এর ওয়েবসাইটে মূলত আপত্তিকর ছবিগুলোকে হ্যাশে পরিণত করা হয় এবং ছবি ভুক্তভোগীর ফোনেই থেকে যায়।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট, StopNCII ইন্টারনেটের সব উৎস থেকে ছবি সরাতে কাজ করে না। এটি কেবল নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আপত্তিকর ছবি সরাতে কাজ করে এবং এসব ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটি সরাসরি ভুক্তভোগীর ছবি ব্যবহার করে না বরং আপত্তিকর ছবিটিকে অন ডিভাইস হ্যাশিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দেয়। অর্থাৎ StopNCII ফেসবুকে ভাইরাল দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি ফেসবুকে StopNCII নামে একটি ওয়েবসাইটের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যদি কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা ফটোশপ দিয়ে কারও ছবি এডিট করে ন্যুড ছবি তৈরি করে, তাহলে StopNCII ওয়েবসাইটে গিয়ে আসল ছবি ও এডিটেড ছবি জমা দিতে হবে। পরে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের যত জায়গায় এই এডিটেড ছবি আছে তা সরিয়ে দিব
২৮ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সম্প্রতি ফেসবুকে StopNCII নামে একটি ওয়েবসাইটের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যদি কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা ফটোশপ দিয়ে কারও ছবি এডিট করে ন্যুড ছবি তৈরি করে, তাহলে StopNCII ওয়েবসাইটে গিয়ে আসল ছবি ও এডিটেড ছবি জমা দিতে হবে। পরে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের যত জায়গায় এই এডিটেড ছবি আছে তা সরিয়ে দিব
২৮ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

সম্প্রতি ফেসবুকে StopNCII নামে একটি ওয়েবসাইটের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যদি কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা ফটোশপ দিয়ে কারও ছবি এডিট করে ন্যুড ছবি তৈরি করে, তাহলে StopNCII ওয়েবসাইটে গিয়ে আসল ছবি ও এডিটেড ছবি জমা দিতে হবে। পরে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের যত জায়গায় এই এডিটেড ছবি আছে তা সরিয়ে দিব
২৮ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

সম্প্রতি ফেসবুকে StopNCII নামে একটি ওয়েবসাইটের পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলা হচ্ছে, ‘যদি কেউ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা ফটোশপ দিয়ে কারও ছবি এডিট করে ন্যুড ছবি তৈরি করে, তাহলে StopNCII ওয়েবসাইটে গিয়ে আসল ছবি ও এডিটেড ছবি জমা দিতে হবে। পরে ওয়েবসাইটটি ইন্টারনেটের যত জায়গায় এই এডিটেড ছবি আছে তা সরিয়ে দিব
২৮ মার্চ ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫