ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

আর কদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা। যদিও ইতিমধ্যে দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে তাঁরা। বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় আশঙ্কা আছে হোয়াইটওয়াশের।
টাইগারদের এমন পারফরম্যান্সে সমালোচনায় সয়লাব সংবাদমাধ্যমসহ দেশের সোশ্যাল মিডিয়া। এর মধ্যেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারা প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে। স্বাভাবিকভাবেই তারা আমাদের চেয়ে বেশি দোয়া পায়।’
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নাজমুল হাসান শান্তর কথিত এই বক্তব্য সমালোচনার পালে দিয়েছে নতুন হাওয়া। তাঁর বক্তব্যের কথিত ফটোকার্ডটি শেয়ার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজেদের মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছেন। যেমন—মনিরা রওনক বুবলি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘টিম থেকে এগুলারে বাদ দিলে পরে যদি ক্রিকেট দলের কিছু হয়। নিজের ব্যর্থতাও আল্লাহর ঘাড়ে চাপাবে এই অপদার্থগুলা। ট্যাক্সের টাকায় এইসব অপদার্থ পুষতে চাই না আমরা।’
জান্নাতুল আরিফ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘দোয়া না, তোমাদেরকে জুতা দেওয়া দরকার!! জনগণের টাকার দাম নাই!! ছাগলের দল!!’ নিও হ্যাপি চাকমা লিখেছেন, ‘অকৃতকার্যতার দায় দেশবাসীর, দোয়া ক্যান কম করছেন?’
আবার কথিত এই বক্তব্য নিয়ে করা অনেক পোস্টের কমেন্ট বক্সেও টাইগারদের প্রতি নিজেদের রাগ, হতাশা উগরে দিয়েছেন সমর্থকেরা। যেমন—ভাইরাল এক পোস্টের কমেন্ট বক্সে ফয়সাল আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম সব সময় মানুষের দোয়া দিয়ে জিততে চায়। নিজেদের কোনো যোগ্যতা নাই। সব সময় মানুষের দোয়া দিয়ে জিততে চায়।’ মুহাম্মদ কাউসার নামে আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, এমন কথা একজন অধিনায়ক বলতে পারে, এটা অবিশ্বাস্য!
একইভাবে কথিত বক্তব্যটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ইফতেখায়রুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এই কথা কি সত্যিই বলছে? উত্তর “হ্যাঁ” হলে, মিয়া খেলা খেলতে শেখো আগে, পটর পটর কথা তো বাচ্চা পোলাপানও কয়! বেফাঁস কথা বেশি বের হলে মিডিয়া ম্যানেজার দিয়ে কথা বলান জনাবে আলী। ফালতু যত সব! উত্তর “না” হলে আমার ওপরের বলার জন্য দুঃখিত হে জনাবে আলী!
নাজমুল হাসান শান্ত কি দোয়া চেয়ে সত্যিই এমন কিছু বলেছেন?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান সিরিজের হারের কারণ হিসেবে দেশটির খেলোয়াড়দের বেশি দোয়া পাওয়াসংক্রান্ত নাজমুল হাসান শান্তর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই শান্ত এমন বক্তব্য দিলে সেটি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতো।
পরে দাবিটির উৎস যাচাইয়ে ফেসবুকে খুঁজে ‘Rashat Rahman Zico’ নামের জনপ্রিয় ফেসবুক পেজে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫১ মিনিটে কথিত বক্তব্যটি নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টের ক্যাপশনে ‘কৌশিক অর্ণব’ নামের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে লেখা হয়, শান্ত এমন কিছু বলেন নাই। ‘কৌশিক অর্ণব’ এটি বানিয়েছেন। পরে ‘কৌশিক অর্ণব’-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে আজ বেলা ১১টা ৯ মিনিটে দেওয়া সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায়। পোস্টটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘তা ছাড়া শুধু আমেরিকার জনসংখ্যাই তো আমাদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।’
পোস্টটির কমেন্ট বক্সে কৌশিক অর্ণব নিজেও একাধিক কমেন্টের উত্তরে জানান, নাজমুল হাসান শান্ত দোয়া নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া কমেন্টে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘সার্কাজম অ্যালার্ট’ অর্থাৎ এটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন। সার্কাজম পোস্ট থেকে বক্তব্যটি বাস্তব দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অর্থাৎ আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে। স্বাভাবিকভাবেই, তারা আমাদের চেয়ে বেশি দোয়া পায়’ শীর্ষক বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর ভাইরাল মন্তব্যটি বানোয়াট।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘দোয়া সংস্কৃতি’
চলমান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ ঘিরে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর বক্তব্যটি বানোয়াট হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটে দোয়া চাওয়ার সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল টাইগার শিবির। ওই সময় দেশের এক সাংবাদিকের সঙ্গে ইন্টারভিউতে বিশ্বকাপ দলের সদস্য শেখ মেহেদি নিজেদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে এখন সমর্থকদের দোয়ার ওপর ভরসা করে বলেন, ‘দোয়া করা ছাড়া আর কোনো অপশন নাই।’
একই বিশ্বকাপে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে যেন টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে পারেন, সে জন্য দোয়া চেয়ে ওই সময়ের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘দোয়া করেন, যেন টসে জিতি।’
আবার গত ২১ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে বিশেষ রানিং টেস্টের আয়োজন করে বিসিবি। সেখানে ছিলেন তিন ফরম্যাট—টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা। ওই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাজমুল হাসান শান্ত। একপর্যায়ে নিজের ও দলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্তও।
খেলায় মনোযোগ না থাকা, বাজে পারফরম্যান্স, দলের অভ্যন্তরে নানা কোন্দলের মধ্যে দর্শক-সমর্থকদের কাছে বারবার এভাবে দোয়া চাওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মায়ের দোয়া ক্রিকেট দল’ নামে ব্যঙ্গ করা হয়।

আর কদিন পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের ছোট সংস্করণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা। যদিও ইতিমধ্যে দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে তাঁরা। বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় আশঙ্কা আছে হোয়াইটওয়াশের।
টাইগারদের এমন পারফরম্যান্সে সমালোচনায় সয়লাব সংবাদমাধ্যমসহ দেশের সোশ্যাল মিডিয়া। এর মধ্যেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারা প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে। স্বাভাবিকভাবেই তারা আমাদের চেয়ে বেশি দোয়া পায়।’
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নাজমুল হাসান শান্তর কথিত এই বক্তব্য সমালোচনার পালে দিয়েছে নতুন হাওয়া। তাঁর বক্তব্যের কথিত ফটোকার্ডটি শেয়ার করে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজেদের মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছেন। যেমন—মনিরা রওনক বুবলি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘টিম থেকে এগুলারে বাদ দিলে পরে যদি ক্রিকেট দলের কিছু হয়। নিজের ব্যর্থতাও আল্লাহর ঘাড়ে চাপাবে এই অপদার্থগুলা। ট্যাক্সের টাকায় এইসব অপদার্থ পুষতে চাই না আমরা।’
জান্নাতুল আরিফ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘দোয়া না, তোমাদেরকে জুতা দেওয়া দরকার!! জনগণের টাকার দাম নাই!! ছাগলের দল!!’ নিও হ্যাপি চাকমা লিখেছেন, ‘অকৃতকার্যতার দায় দেশবাসীর, দোয়া ক্যান কম করছেন?’
আবার কথিত এই বক্তব্য নিয়ে করা অনেক পোস্টের কমেন্ট বক্সেও টাইগারদের প্রতি নিজেদের রাগ, হতাশা উগরে দিয়েছেন সমর্থকেরা। যেমন—ভাইরাল এক পোস্টের কমেন্ট বক্সে ফয়সাল আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘মায়ের দোয়া ক্রিকেট টিম সব সময় মানুষের দোয়া দিয়ে জিততে চায়। নিজেদের কোনো যোগ্যতা নাই। সব সময় মানুষের দোয়া দিয়ে জিততে চায়।’ মুহাম্মদ কাউসার নামে আরেকজন বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, এমন কথা একজন অধিনায়ক বলতে পারে, এটা অবিশ্বাস্য!
একইভাবে কথিত বক্তব্যটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ইফতেখায়রুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এই কথা কি সত্যিই বলছে? উত্তর “হ্যাঁ” হলে, মিয়া খেলা খেলতে শেখো আগে, পটর পটর কথা তো বাচ্চা পোলাপানও কয়! বেফাঁস কথা বেশি বের হলে মিডিয়া ম্যানেজার দিয়ে কথা বলান জনাবে আলী। ফালতু যত সব! উত্তর “না” হলে আমার ওপরের বলার জন্য দুঃখিত হে জনাবে আলী!
নাজমুল হাসান শান্ত কি দোয়া চেয়ে সত্যিই এমন কিছু বলেছেন?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান সিরিজের হারের কারণ হিসেবে দেশটির খেলোয়াড়দের বেশি দোয়া পাওয়াসংক্রান্ত নাজমুল হাসান শান্তর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বভাবতই শান্ত এমন বক্তব্য দিলে সেটি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতো।
পরে দাবিটির উৎস যাচাইয়ে ফেসবুকে খুঁজে ‘Rashat Rahman Zico’ নামের জনপ্রিয় ফেসবুক পেজে আজ শুক্রবার বেলা ১১টা ৫১ মিনিটে কথিত বক্তব্যটি নিয়ে দেওয়া একটি পোস্ট পাওয়া যায়। পোস্টের ক্যাপশনে ‘কৌশিক অর্ণব’ নামের আরেকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে লেখা হয়, শান্ত এমন কিছু বলেন নাই। ‘কৌশিক অর্ণব’ এটি বানিয়েছেন। পরে ‘কৌশিক অর্ণব’-এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে আজ বেলা ১১টা ৯ মিনিটে দেওয়া সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায়। পোস্টটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘তা ছাড়া শুধু আমেরিকার জনসংখ্যাই তো আমাদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।’
পোস্টটির কমেন্ট বক্সে কৌশিক অর্ণব নিজেও একাধিক কমেন্টের উত্তরে জানান, নাজমুল হাসান শান্ত দোয়া নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া কমেন্টে তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘সার্কাজম অ্যালার্ট’ অর্থাৎ এটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন। সার্কাজম পোস্ট থেকে বক্তব্যটি বাস্তব দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অর্থাৎ আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে। স্বাভাবিকভাবেই, তারা আমাদের চেয়ে বেশি দোয়া পায়’ শীর্ষক বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর ভাইরাল মন্তব্যটি বানোয়াট।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘দোয়া সংস্কৃতি’
চলমান বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ ঘিরে অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর বক্তব্যটি বানোয়াট হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটে দোয়া চাওয়ার সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল টাইগার শিবির। ওই সময় দেশের এক সাংবাদিকের সঙ্গে ইন্টারভিউতে বিশ্বকাপ দলের সদস্য শেখ মেহেদি নিজেদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে এখন সমর্থকদের দোয়ার ওপর ভরসা করে বলেন, ‘দোয়া করা ছাড়া আর কোনো অপশন নাই।’
একই বিশ্বকাপে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হওয়ার আগে যেন টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে পারেন, সে জন্য দোয়া চেয়ে ওই সময়ের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘দোয়া করেন, যেন টসে জিতি।’
আবার গত ২১ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে বিশেষ রানিং টেস্টের আয়োজন করে বিসিবি। সেখানে ছিলেন তিন ফরম্যাট—টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটাররা। ওই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নাজমুল হাসান শান্ত। একপর্যায়ে নিজের ও দলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন নাজমুল হাসান শান্তও।
খেলায় মনোযোগ না থাকা, বাজে পারফরম্যান্স, দলের অভ্যন্তরে নানা কোন্দলের মধ্যে দর্শক-সমর্থকদের কাছে বারবার এভাবে দোয়া চাওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মায়ের দোয়া ক্রিকেট দল’ নামে ব্যঙ্গ করা হয়।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৭ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৭ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১২ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারা প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে।
২৪ মে ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৭ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১২ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারা প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে।
২৪ মে ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৭ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১২ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারা প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে।
২৪ মে ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৭ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৭ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একটি বক্তব্য ফটোকার্ড আকারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হারা প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘আমেরিকার টিমে ছয়টা দেশ থেকে আসা প্লেয়াররা খেলে। তারা যখন খেলে, ওই ছয় দেশের মানুষই তাদের জন্য দোয়া করে।
২৪ মে ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৭ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৭ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১২ দিন আগে