ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ একাধিক সমন্বয়ক বক্তব্য দেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত ফটোকার্ডটি ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ৪১ মিনিটে ‘Subrina Eity’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৩৮টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২০।
‘Mizanur Rahman Khan’, ‘Khan M. Sohan’ এবং ‘Mohammad Sahadat Hussain’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও একই ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়েছে।
ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে ‘১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫’ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই তারিখে ফেসবুকসহ প্রথম আলোর অন্যান্য ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা অ্যাকাউন্টে এমন কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।
আবার ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফটোকার্ডে সাধারণত যে ফন্ট ব্যবহার করে তার সঙ্গে মিল নেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করলে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে গতকাল মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য দিয়েছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ দেশের অনেক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গত ১৬ বছর আপনাদের ব্যানার ধরার মানুষ ছিল না। এখন আপনাদের পেছনে শত শত মানুষ দাঁড়ায়। এটি যেই শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। গত ১৬ বছরের নির্যাতনের কথা ভুলে যাবেন না। আপনারা যদি ছাত্রলীগের রাজনীতি অনুসরণ করেন তবে ছাত্রলীগ যে পথে গেছে আপনারাও সে পথেই যাবেন।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনীতি করতে চাইলে আপনারা শিক্ষার্থীদের ভাষায় কথা বলুন। যদি চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, দখলদারি করতে চান তবে সাদ্দামের মতো পরিণতি হবে। আপনারা মজলুম ছিলেন, জালিম হইয়েন না। মজলুম যখন জালিম হয়ে উঠে তখন পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়।’
একই বিষয়ে সমকাল, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর, ইত্তেফাক, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদনের কোথাও হাসনাত আব্দুল্লাহর— ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’— এমন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর অনলাইন বিভাগের প্রধান শওকত হোসাইন মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ফটোকার্ডটি শেয়ার করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি ভুয়া। এমন কোনো ফটোকার্ড প্রথম আলো প্রকাশ করেনি।’
সুতরাং, ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’, হাসনাত আব্দুল্লাহ এমন বক্তব্য দেননি। প্রকৃতপক্ষে, প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত করে হাসনাত আব্দুল্লাহর নামে মনগড়া বক্তব্য জুড়ে দিয়ে ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ একাধিক সমন্বয়ক বক্তব্য দেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত ফটোকার্ডটি ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ৪১ মিনিটে ‘Subrina Eity’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৩৮টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ২০।
‘Mizanur Rahman Khan’, ‘Khan M. Sohan’ এবং ‘Mohammad Sahadat Hussain’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও একই ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়েছে।
ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন দাবিতে প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে ‘১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫’ তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই তারিখে ফেসবুকসহ প্রথম আলোর অন্যান্য ভেরিফায়েড সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা অ্যাকাউন্টে এমন কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।
আবার ফটোকার্ডে ব্যবহৃত ফন্টের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ফটোকার্ডে সাধারণত যে ফন্ট ব্যবহার করে তার সঙ্গে মিল নেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’ এমন বক্তব্য দিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে গুগলে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড সার্চ করলে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে গতকাল মঙ্গলবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্য দিয়েছেন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ দেশের অনেক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গতকাল হাসনাত আব্দুল্লাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘গত ১৬ বছর আপনাদের ব্যানার ধরার মানুষ ছিল না। এখন আপনাদের পেছনে শত শত মানুষ দাঁড়ায়। এটি যেই শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। গত ১৬ বছরের নির্যাতনের কথা ভুলে যাবেন না। আপনারা যদি ছাত্রলীগের রাজনীতি অনুসরণ করেন তবে ছাত্রলীগ যে পথে গেছে আপনারাও সে পথেই যাবেন।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য রাজনীতি করতে চাইলে আপনারা শিক্ষার্থীদের ভাষায় কথা বলুন। যদি চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য, দখলদারি করতে চান তবে সাদ্দামের মতো পরিণতি হবে। আপনারা মজলুম ছিলেন, জালিম হইয়েন না। মজলুম যখন জালিম হয়ে উঠে তখন পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়।’
একই বিষয়ে সমকাল, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর, ইত্তেফাক, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদনের কোথাও হাসনাত আব্দুল্লাহর— ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’— এমন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের পক্ষ থেকে প্রথম আলোর অনলাইন বিভাগের প্রধান শওকত হোসাইন মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ফটোকার্ডটি শেয়ার করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি ভুয়া। এমন কোনো ফটোকার্ড প্রথম আলো প্রকাশ করেনি।’
সুতরাং, ‘এবার সময় এসেছে সন্ত্রাসী ছাত্রদলের কবর রচনা করার, যেখানেই ছাত্রদল সেখানেই প্রতিরোধ’, হাসনাত আব্দুল্লাহ এমন বক্তব্য দেননি। প্রকৃতপক্ষে, প্রথম আলোর নাম ও লোগোযুক্ত করে হাসনাত আব্দুল্লাহর নামে মনগড়া বক্তব্য জুড়ে দিয়ে ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যবাসীরা স্থানীয় বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছ
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘক্ষণ পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকলে পায়ের রগ ফুলে যায়, অনেক সময় পা টনটন করে। অনেকে ধারণা করেন, এভাবে পা তুলে বসলে পায়ের শিরা স্থায়ীভাবে ফুলে যায়। আসলেই কি পায়ের ওপর পা তুলে বসলে এমন সমস্যা হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
৭ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির স্কেচ ও নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের দাবি, এই তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং সবাই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী.
২ দিন আগেচীনের একটি পোশাক কারখানা ইংরেজি ভাষায় ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে—এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে।
২ দিন আগে