ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

মাথার খুলি একটা, সামনে ও পেছনে মুখ দুইটা- এমন এক ব্যক্তির ধারণা একশতকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে। ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় এমন একজনের গল্প ছাপা হয়েছে। এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে টেলিভিশন সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দুমুখো মানুষ এডওয়ার্ড মরড্রেক ইন্টারনেটেও জায়গা করে নিয়েছে।
তাকে ঘিরে গল্পটি এরকম- উনিশ শতকে পৃথিবীর মুখ দেখেছিলেন এই ব্যক্তি। কিন্তু সবার মতো তার মুখ একটি ছিল না, বরং উভয় দিকে- মাথার সামনে ও পিছনের দিকে ছিল। তাঁর মুখ ছিল দুটি। তাঁর নিজের ধারণা ছিল, পেছনের মুখটি শয়তানের মুখ। কারণ, সেটি নাকি রাতের বেলায় ঘুমোতে দিতো না, কানের কাছে ফিস ফিস করতো। তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিলনা সে মুখের ওপর। অনেক সুত্র অনুযায়ী, অবাঞ্ছিত মুখটি খাওয়া-দাওয়া করতে পারতো না। এডওয়ার্ড যখন খুশি থাকতেন, তখন অন্য মুখটি নাকি কাঁদতো, আর তিনি যখন কাঁদতেন তখন অন্যটি আনন্দে হাসতো। তার মানে, আবেগ-অনুভূতি সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে তিনি অতিষ্ট হয়ে অনেক ডক্টরকে অস্ত্রোপচার করে তার পেছনের মুখটি কেটে ফেলার অনুরোধ করেন, কিন্তু কেউ সাহস করেনি। প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এই দাবি করে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্ট ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ হাজার প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৭০ বার। এতে মন্তব্য পড়েছে ৮৬টি। এসব মন্তব্যের অধিকাংশেই নেটিজেনরা ঘটনাটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ আবার ঘটনাটি মিথ্যা বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে বাস্তবে দুমুখো কোনো মানুষের অস্তিত্ব ছিল না- এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র, যার স্রষ্টা আমেরিকান লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক। দ্য বোস্টন সানডে পোস্ট পত্রিকায় ১৮৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর এডওয়ার্ড মরড্রেক নিয়ে তার গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল।
এডওয়ার্ড মরডেককে যেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল
কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে জনপ্রিয় মিথ-বাস্টিং ওয়েবসাইট মিউজিয়াম অব হোয়াক্সেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে এডওয়ার্ড মরড্রেকের ঘটনার সত্যতা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান তুলে ধরা হয়। এতে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৮৯৬ সালের অক্টোবরে জর্জ এম গৌলাদ ও ওয়াল্টার এল পাইল নামে দুজন চিকিৎসক অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিসিটিস অব মেডিসিন নামে বই লেখেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্ভট সব ঘটনা নিয়ে লেখা বইটিতে মরড্রেকের ঘটনার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।
জর্জ এম গৌলাদ ও ওয়াল্টার এল পাইল তাদের বইয়ে মরড্রেকের ঘটনাটির কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করেননি। তবে মিউজিয়াম অব হোয়াক্সেসের ইতিহাসবিদ এবং কিউরেটর অ্যালেক্স বোয়েস উল্লিখিত ঘটনাটি দ্য বোস্টন সানডে পোস্ট পত্রিকায় খুঁজে পান। ১৮৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পত্রিকাটিতে ঘটনাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটিতে মরড্রেকের ঘটনাটি লিখেছিলেন কবি চার্লস লোটিন হিলড্রেথ। কিছুদিন পরে যুক্তরাষ্ট্রের পার্সনস ডেইলি সান, দ্যা ডেকাটুর হেরাল্ডসহ অন্যান্য পত্রিকাতেও ওই ঘটনা প্রকাশিত হয়।
মরড্রেকের ঘটনা নিয়ে চার্লস লোটিন হিলড্রেথ লেখেন, সম্ভ্রান্ত ইংরেজ পরিবারে জন্মগ্রহণ নিয়েছিলেন মরড্রেক। তিনি বুদ্ধিমান, সংগীতে প্রতিভাধর এবং সুদর্শন ছিলেন। কিন্তু বিরল রোগে ভুগছিলেন– মাথার পেছনে দ্বিতীয় মুখ নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। অন্যদের কাছে মুখ প্রকাশ করতে ভয় পেয়ে এবং কোনো চিকিৎসা না পেয়ে ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেন।
এ ঘটনার সূত্র হিসেবে রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটির নাম উল্লেখ করেছেন চার্লস লোটিন হিলড্রেথ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে মরড্রেকের ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধান করে বলছে, চার্লস লোটিন হিলড্রেথ রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটিকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করলেও এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটি নামে একমাত্র যে প্রতিষ্ঠানটি পাওয়া যায়, সেটির প্রতিষ্ঠা ১৯৭০ সালে। বিপরীতে মরড্রেকের ঘটনা ১৮৯৫ সালের। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানেও ১৯৭০ সালের আগে প্রতিষ্ঠিত রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটি নামে কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মরড্রেকের ঘটনাটির লেখক চার্লস লোটিন হিলড্রেথ সম্পর্কে মিউজিয়াম অফ হোয়াক্সেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার্লস লোটিন হিলড্রেথ কেবল কবিই ছিলেন না, তিনি কল্পকাহিনীও লিখতেন। অনেক ছোটগল্প সে সময়ে সংবাদপত্রে ছাপা হতো। সেসব ছোটগল্প এখনকার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সঙ্গে তুলনীয়। এমনকি তার কবিতাগুলো পরাবস্তাব ঘটনার ওপর লেখা হতো। এসব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে প্রতীয়মান হয়, এডওয়ার্ড মরড্রেক একটি কল্পচরিত্র, যার স্রষ্টা চার্লস লোটিন হিলড্রেথ নিজেই।
মরড্রেক দাবি করে প্রচারিত ছবিগুলো সম্পর্কে যা জানা যায়
মরড্রেক দাবি করে প্রচারিত ছবিগুলোর রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্যানোপটিকাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত দুই মিনিটের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, ভিডিওটি জার্মানির হামবুর্গ শহরে প্যানোপটিকাম জাদুঘর থেকে ধারণ করা। এখানে মোমের তৈরি ভাস্কর্য রয়েছে। এসব ভাস্কর্যের মধ্যে মরড্রেকের দুই মাথার ছবি ছিল।
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
টম কুয়েবলার নামে একজন ভাস্কর মরড্রেকের মাথার খুলি দাবি করে প্রচারিত ওই ভাস্কর্যের নির্মাতা। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর তার ইনস্টাগ্রামে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
অনুরূপভাবে মরড্রেক দাবি করে প্রচারিত আরেকটি ছবি চেক রিপাবলিকের একটি ওয়েবসাইটে মিউজিয়াম অব এবনরমাল পিপল, ওয়াক্স ওয়ার্ক বা মোমের কাজ হিসেবেও খুঁজে পাওয়া যায়।
মরড্রেকের ঘটনার ভিন্নরূপ: টেলিভিশন শো, সাহিত্যকর্ম
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে ২০২০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মরড্রেকের পেছনের মুখটি এক সুন্দরী তরুণীর ছিল দাবি করে আরেকটি সংস্করণ পাওয়া যায়। ২০০১ সালে স্প্যানিশ লেখক আইরিন গ্রেস মরড্রেক ও লা কন্দিসিওঁ দে ইনফেম নামে এক উপন্যাস লেখেন। আমেরিকান সংগীতশিল্পী টম ওয়েটস ২০০২ সালে ‘পুওর এডওয়ার্ড’ নামে তার একটি এলবামের জন্য গান লেখেন। ২০১৪ সালে এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে আমেরিকায় দুই পর্বের একটি হরর টেলিভিশন শো মুক্তি পায়। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘এডওয়ার্ড দ্য ড্যামড’ নামে একটি মিস্ট্রি থ্রিলার। এডওয়ার্ড মরড্রেককে নিয়ে ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় রাশিয়ান লেখক হেলগা রোয়েস্টনের উপন্যাস ‘দ্য টু ফেসড আউটকাস্ট’।
চিকিৎসাবিজ্ঞান যা বলে
মরড্রেকের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিপ্রোসোপাস (Diprosopus) নামে একটি পরিভাষা খুঁজে পাওয়া যায়। এই গ্রীক শব্দের অর্থ দ্বৈত মুখ। এর ফলে পুরো মুখ কিংবা মুখমণ্ডলের অংশবিশেষের প্রতিলিপি তৈরি হয়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর গলার নিচ থেকে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একই, তবে মুখের অংশ থাকে দুটি। এখন পর্যন্ত এমন ৩৫টি শিশু জন্মের রেকর্ড পাওয়া যায়। তবে মাথার খুলির পেছনে দ্বিতীয় মুখের অস্তিত্বের খোঁজ এখনো মেলেনি।
ডিপ্রোসোপাস সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন এখানে।
সিদ্ধান্ত
এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে মাথার পেছনে দ্বিতীয় মুখওয়ালা দুমুখো মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই। ১৮৯৫ সালে আমেরিকান কবি ও কল্পকাহিনী লেখক চার্লস লোটিন হিলড্রেথের লেখায় তাঁর জন্ম। ঘটনাটি কোনো সূত্র ছাড়া চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্ভট সব ঘটনা নিয়ে দুজন চিকিৎসকের লেখা অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিসিটিস অব মেডিসিন নামের বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকেই এটি বাস্তব দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে মোম ও ভাস্করের তৈরি বিভিন্ন ভাস্কর্যের ছবি।

মাথার খুলি একটা, সামনে ও পেছনে মুখ দুইটা- এমন এক ব্যক্তির ধারণা একশতকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে। ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকায় এমন একজনের গল্প ছাপা হয়েছে। এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে টেলিভিশন সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দুমুখো মানুষ এডওয়ার্ড মরড্রেক ইন্টারনেটেও জায়গা করে নিয়েছে।
তাকে ঘিরে গল্পটি এরকম- উনিশ শতকে পৃথিবীর মুখ দেখেছিলেন এই ব্যক্তি। কিন্তু সবার মতো তার মুখ একটি ছিল না, বরং উভয় দিকে- মাথার সামনে ও পিছনের দিকে ছিল। তাঁর মুখ ছিল দুটি। তাঁর নিজের ধারণা ছিল, পেছনের মুখটি শয়তানের মুখ। কারণ, সেটি নাকি রাতের বেলায় ঘুমোতে দিতো না, কানের কাছে ফিস ফিস করতো। তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিলনা সে মুখের ওপর। অনেক সুত্র অনুযায়ী, অবাঞ্ছিত মুখটি খাওয়া-দাওয়া করতে পারতো না। এডওয়ার্ড যখন খুশি থাকতেন, তখন অন্য মুখটি নাকি কাঁদতো, আর তিনি যখন কাঁদতেন তখন অন্যটি আনন্দে হাসতো। তার মানে, আবেগ-অনুভূতি সম্পূর্ণ বিপরীত। এতে তিনি অতিষ্ট হয়ে অনেক ডক্টরকে অস্ত্রোপচার করে তার পেছনের মুখটি কেটে ফেলার অনুরোধ করেন, কিন্তু কেউ সাহস করেনি। প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এই দাবি করে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্ট ঘুরে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ হাজার প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। এটি শেয়ার হয়েছে প্রায় ৭০ বার। এতে মন্তব্য পড়েছে ৮৬টি। এসব মন্তব্যের অধিকাংশেই নেটিজেনরা ঘটনাটির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ আবার ঘটনাটি মিথ্যা বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে বাস্তবে দুমুখো কোনো মানুষের অস্তিত্ব ছিল না- এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র, যার স্রষ্টা আমেরিকান লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক। দ্য বোস্টন সানডে পোস্ট পত্রিকায় ১৮৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর এডওয়ার্ড মরড্রেক নিয়ে তার গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল।
এডওয়ার্ড মরডেককে যেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল
কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে জনপ্রিয় মিথ-বাস্টিং ওয়েবসাইট মিউজিয়াম অব হোয়াক্সেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে এডওয়ার্ড মরড্রেকের ঘটনার সত্যতা নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান তুলে ধরা হয়। এতে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৮৯৬ সালের অক্টোবরে জর্জ এম গৌলাদ ও ওয়াল্টার এল পাইল নামে দুজন চিকিৎসক অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিসিটিস অব মেডিসিন নামে বই লেখেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্ভট সব ঘটনা নিয়ে লেখা বইটিতে মরড্রেকের ঘটনার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।
জর্জ এম গৌলাদ ও ওয়াল্টার এল পাইল তাদের বইয়ে মরড্রেকের ঘটনাটির কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করেননি। তবে মিউজিয়াম অব হোয়াক্সেসের ইতিহাসবিদ এবং কিউরেটর অ্যালেক্স বোয়েস উল্লিখিত ঘটনাটি দ্য বোস্টন সানডে পোস্ট পত্রিকায় খুঁজে পান। ১৮৯৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পত্রিকাটিতে ঘটনাটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটিতে মরড্রেকের ঘটনাটি লিখেছিলেন কবি চার্লস লোটিন হিলড্রেথ। কিছুদিন পরে যুক্তরাষ্ট্রের পার্সনস ডেইলি সান, দ্যা ডেকাটুর হেরাল্ডসহ অন্যান্য পত্রিকাতেও ওই ঘটনা প্রকাশিত হয়।
মরড্রেকের ঘটনা নিয়ে চার্লস লোটিন হিলড্রেথ লেখেন, সম্ভ্রান্ত ইংরেজ পরিবারে জন্মগ্রহণ নিয়েছিলেন মরড্রেক। তিনি বুদ্ধিমান, সংগীতে প্রতিভাধর এবং সুদর্শন ছিলেন। কিন্তু বিরল রোগে ভুগছিলেন– মাথার পেছনে দ্বিতীয় মুখ নিয়ে জন্মেছিলেন তিনি। অন্যদের কাছে মুখ প্রকাশ করতে ভয় পেয়ে এবং কোনো চিকিৎসা না পেয়ে ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেন।
এ ঘটনার সূত্র হিসেবে রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটির নাম উল্লেখ করেছেন চার্লস লোটিন হিলড্রেথ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডে মরড্রেকের ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধান করে বলছে, চার্লস লোটিন হিলড্রেথ রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটিকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করলেও এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ, রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটি নামে একমাত্র যে প্রতিষ্ঠানটি পাওয়া যায়, সেটির প্রতিষ্ঠা ১৯৭০ সালে। বিপরীতে মরড্রেকের ঘটনা ১৮৯৫ সালের। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানেও ১৯৭০ সালের আগে প্রতিষ্ঠিত রয়্যাল সায়েন্টিফিক সোসাইটি নামে কোনো প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মরড্রেকের ঘটনাটির লেখক চার্লস লোটিন হিলড্রেথ সম্পর্কে মিউজিয়াম অফ হোয়াক্সেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার্লস লোটিন হিলড্রেথ কেবল কবিই ছিলেন না, তিনি কল্পকাহিনীও লিখতেন। অনেক ছোটগল্প সে সময়ে সংবাদপত্রে ছাপা হতো। সেসব ছোটগল্প এখনকার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সঙ্গে তুলনীয়। এমনকি তার কবিতাগুলো পরাবস্তাব ঘটনার ওপর লেখা হতো। এসব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে প্রতীয়মান হয়, এডওয়ার্ড মরড্রেক একটি কল্পচরিত্র, যার স্রষ্টা চার্লস লোটিন হিলড্রেথ নিজেই।
মরড্রেক দাবি করে প্রচারিত ছবিগুলো সম্পর্কে যা জানা যায়
মরড্রেক দাবি করে প্রচারিত ছবিগুলোর রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্যানোপটিকাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত দুই মিনিটের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেটির শিরোনাম থেকে জানা যায়, ভিডিওটি জার্মানির হামবুর্গ শহরে প্যানোপটিকাম জাদুঘর থেকে ধারণ করা। এখানে মোমের তৈরি ভাস্কর্য রয়েছে। এসব ভাস্কর্যের মধ্যে মরড্রেকের দুই মাথার ছবি ছিল।
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
টম কুয়েবলার নামে একজন ভাস্কর মরড্রেকের মাথার খুলি দাবি করে প্রচারিত ওই ভাস্কর্যের নির্মাতা। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর তার ইনস্টাগ্রামে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
অনুরূপভাবে মরড্রেক দাবি করে প্রচারিত আরেকটি ছবি চেক রিপাবলিকের একটি ওয়েবসাইটে মিউজিয়াম অব এবনরমাল পিপল, ওয়াক্স ওয়ার্ক বা মোমের কাজ হিসেবেও খুঁজে পাওয়া যায়।
মরড্রেকের ঘটনার ভিন্নরূপ: টেলিভিশন শো, সাহিত্যকর্ম
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে ২০২০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মরড্রেকের পেছনের মুখটি এক সুন্দরী তরুণীর ছিল দাবি করে আরেকটি সংস্করণ পাওয়া যায়। ২০০১ সালে স্প্যানিশ লেখক আইরিন গ্রেস মরড্রেক ও লা কন্দিসিওঁ দে ইনফেম নামে এক উপন্যাস লেখেন। আমেরিকান সংগীতশিল্পী টম ওয়েটস ২০০২ সালে ‘পুওর এডওয়ার্ড’ নামে তার একটি এলবামের জন্য গান লেখেন। ২০১৪ সালে এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে আমেরিকায় দুই পর্বের একটি হরর টেলিভিশন শো মুক্তি পায়। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘এডওয়ার্ড দ্য ড্যামড’ নামে একটি মিস্ট্রি থ্রিলার। এডওয়ার্ড মরড্রেককে নিয়ে ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় রাশিয়ান লেখক হেলগা রোয়েস্টনের উপন্যাস ‘দ্য টু ফেসড আউটকাস্ট’।
চিকিৎসাবিজ্ঞান যা বলে
মরড্রেকের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিপ্রোসোপাস (Diprosopus) নামে একটি পরিভাষা খুঁজে পাওয়া যায়। এই গ্রীক শব্দের অর্থ দ্বৈত মুখ। এর ফলে পুরো মুখ কিংবা মুখমণ্ডলের অংশবিশেষের প্রতিলিপি তৈরি হয়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুর গলার নিচ থেকে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একই, তবে মুখের অংশ থাকে দুটি। এখন পর্যন্ত এমন ৩৫টি শিশু জন্মের রেকর্ড পাওয়া যায়। তবে মাথার খুলির পেছনে দ্বিতীয় মুখের অস্তিত্বের খোঁজ এখনো মেলেনি।
ডিপ্রোসোপাস সম্পর্কে জানতে আরও পড়ুন এখানে।
সিদ্ধান্ত
এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে মাথার পেছনে দ্বিতীয় মুখওয়ালা দুমুখো মানুষের কোনো অস্তিত্ব নেই। ১৮৯৫ সালে আমেরিকান কবি ও কল্পকাহিনী লেখক চার্লস লোটিন হিলড্রেথের লেখায় তাঁর জন্ম। ঘটনাটি কোনো সূত্র ছাড়া চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্ভট সব ঘটনা নিয়ে দুজন চিকিৎসকের লেখা অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিসিটিস অব মেডিসিন নামের বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকেই এটি বাস্তব দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে মোম ও ভাস্করের তৈরি বিভিন্ন ভাস্কর্যের ছবি।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

মাথার খুলি একটা, সামনে ও পেছনে মুখ দুইটা- এমন এক ব্যক্তির ধারণা একশতকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে। এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে টেলিভিশন সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দুমুখো মানুষ এডওয়ার্ড মরড্রেক ইন্টারনেটেও জায়গা করে নিয়েছে। বাস্তবে মাথার পেছনে দ্
১৭ নভেম্বর ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

মাথার খুলি একটা, সামনে ও পেছনে মুখ দুইটা- এমন এক ব্যক্তির ধারণা একশতকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে। এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে টেলিভিশন সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দুমুখো মানুষ এডওয়ার্ড মরড্রেক ইন্টারনেটেও জায়গা করে নিয়েছে। বাস্তবে মাথার পেছনে দ্
১৭ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

মাথার খুলি একটা, সামনে ও পেছনে মুখ দুইটা- এমন এক ব্যক্তির ধারণা একশতকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে। এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে টেলিভিশন সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দুমুখো মানুষ এডওয়ার্ড মরড্রেক ইন্টারনেটেও জায়গা করে নিয়েছে। বাস্তবে মাথার পেছনে দ্
১৭ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

মাথার খুলি একটা, সামনে ও পেছনে মুখ দুইটা- এমন এক ব্যক্তির ধারণা একশতকের বেশি সময় ধরে গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছে। এডওয়ার্ড মরড্রেক নামে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে টেলিভিশন সিরিজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দুমুখো মানুষ এডওয়ার্ড মরড্রেক ইন্টারনেটেও জায়গা করে নিয়েছে। বাস্তবে মাথার পেছনে দ্
১৭ নভেম্বর ২০২৩
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে