ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের মারামারির দৃশ্য এটি।
‘আওয়ামী লীগ পরিবার’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আজ বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘বাংলাদেশের সুনাম ধন্য এক বাহিনীর নাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছিল। সেই সেনাবাহিনী সম্মান মাটির সাথে গেছে অবৈধ সরকার ইউনূস গং এবং সমন্বয়ক নামের কুলাঙ্গারদের পৃষ্ঠপোষকতায়।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি প্রায় ৮৪ হাজারবার দেখা হয়েছে এবং এতে ৫৮৪টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এ ছাড়া পোস্টটি ৪৩৯টি শেয়ার হয়েছে এবং এতে ৯০টি কমেন্ট পড়েছে। এসব কমেন্টে অনেকে এটিকে অন্য দেশের ভিডিও বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ বাংলাদেশের লিখেও মন্তব্য করেছেন। মো. চুন্নু (Md Chunnu) নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘দেশ টা কোথায় গিয়াছে সেনাবাহিনীর গায়ে হাত।’ (বানান অপরিবর্তিত)
‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ নামের একটি পেজ থেকে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ নামের গ্রুপ এবং মো. মিজানুর রহমান (MD Mezanur Rohoman) এবং নাসিম ইকবাল চৌধুরী (Nasim Iqbal Chowdhury) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনবে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘စစ်ရူံးဘဘမင်းအောင်လိူင်’ নামে বার্মিজ ভাষার একটি ইউটিউব চ্যানেলে একই ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিওটি মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওটির শিরোনামে ইংরেজি ভাষায় হ্যাশটেগ দিয়ে ‘আর্মি’, ‘মিলিটারি’ এবং ‘মিয়ানমার’ লেখা। পাশাপাশি বার্মিজ ভাষায় আরও কিছু লেখা দেখতে পাওয়া যায়। গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে এটিকে বাংলায় ভাষান্তর করে জানা যায়, ‘প্রথম পর্ব: একে অপরের সঙ্গে লড়াই।’ তবে ভিডিওর ডেসক্রিপশনে এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে একই দিন প্রকাশিত ‘২য় পর্ব’–এর ভিডিও পাওয়া যায়।
এই ভিডিওটির শিরোনামও বার্মিজ ভাষায় লেখা এবং ইংরেজি ভাষায় হ্যাশট্যাগ আর্মি, মিলিটারি এবং মিয়ানমার লেখা। ভিডিওর শিরোনাম গুগল ট্রান্সলেট করে দেখা যায় এতে লেখা, ‘পার্ট ২: কেআইএ এবং টিএনএলএ আঞ্চলিক বিরোধ।’
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে কি–ওয়ার্ড সার্চ করে ‘မှိုင်းဝေ (စစ်သတင်းများ)’ নামে আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত একই ভিডিও পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ‘Arakha Youtube Channel’ নামে ইউটিউব চ্যানেলে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত ভিন্ন দিক থেকে ধারণ করা একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
সবগুলো ভিডিওর শিরোনামে কেআইএ (KIA) এবং টিএনএলএ (TNLA)— এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টির উল্লেখ পাওয়া যায়।
কেআইএ (KIA) এবং টিএনএলএ (TNLA) কি–ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করলে, মিয়ানমারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম মিয়ানমার নাও (Mayanmar Now)–এর একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
আজ বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) হচ্ছে মিয়ানমারের দুটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সংঘর্ষের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দুই গ্রুপের কয়েকজন সদস্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ঘটনাটি উত্তর শান রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে ঘটেছে।
সুতরাং, ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, এটি মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) নামে দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির দৃশ্য।
সামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের মারামারির দৃশ্য এটি।
‘আওয়ামী লীগ পরিবার’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আজ বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘বাংলাদেশের সুনাম ধন্য এক বাহিনীর নাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছিল। সেই সেনাবাহিনী সম্মান মাটির সাথে গেছে অবৈধ সরকার ইউনূস গং এবং সমন্বয়ক নামের কুলাঙ্গারদের পৃষ্ঠপোষকতায়।’ (বানান অপরিবর্তিত)
আজ সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই ভিডিওটি প্রায় ৮৪ হাজারবার দেখা হয়েছে এবং এতে ৫৮৪টি রিঅ্যাকশন পড়েছে। এ ছাড়া পোস্টটি ৪৩৯টি শেয়ার হয়েছে এবং এতে ৯০টি কমেন্ট পড়েছে। এসব কমেন্টে অনেকে এটিকে অন্য দেশের ভিডিও বলে উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ বাংলাদেশের লিখেও মন্তব্য করেছেন। মো. চুন্নু (Md Chunnu) নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘দেশ টা কোথায় গিয়াছে সেনাবাহিনীর গায়ে হাত।’ (বানান অপরিবর্তিত)
‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ নামের একটি পেজ থেকে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ নামের গ্রুপ এবং মো. মিজানুর রহমান (MD Mezanur Rohoman) এবং নাসিম ইকবাল চৌধুরী (Nasim Iqbal Chowdhury) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনবে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।
ভিডিওটির কিছু কি–ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘စစ်ရူံးဘဘမင်းအောင်လိူင်’ নামে বার্মিজ ভাষার একটি ইউটিউব চ্যানেলে একই ভিডিও পাওয়া যায়। এই ভিডিওটি মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওটির শিরোনামে ইংরেজি ভাষায় হ্যাশটেগ দিয়ে ‘আর্মি’, ‘মিলিটারি’ এবং ‘মিয়ানমার’ লেখা। পাশাপাশি বার্মিজ ভাষায় আরও কিছু লেখা দেখতে পাওয়া যায়। গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে এটিকে বাংলায় ভাষান্তর করে জানা যায়, ‘প্রথম পর্ব: একে অপরের সঙ্গে লড়াই।’ তবে ভিডিওর ডেসক্রিপশনে এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
ইউটিউব চ্যানেলটি পর্যবেক্ষণ করে একই দিন প্রকাশিত ‘২য় পর্ব’–এর ভিডিও পাওয়া যায়।
এই ভিডিওটির শিরোনামও বার্মিজ ভাষায় লেখা এবং ইংরেজি ভাষায় হ্যাশট্যাগ আর্মি, মিলিটারি এবং মিয়ানমার লেখা। ভিডিওর শিরোনাম গুগল ট্রান্সলেট করে দেখা যায় এতে লেখা, ‘পার্ট ২: কেআইএ এবং টিএনএলএ আঞ্চলিক বিরোধ।’
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে কি–ওয়ার্ড সার্চ করে ‘မှိုင်းဝေ (စစ်သတင်းများ)’ নামে আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত একই ভিডিও পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ‘Arakha Youtube Channel’ নামে ইউটিউব চ্যানেলে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত ভিন্ন দিক থেকে ধারণ করা একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
সবগুলো ভিডিওর শিরোনামে কেআইএ (KIA) এবং টিএনএলএ (TNLA)— এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়টির উল্লেখ পাওয়া যায়।
কেআইএ (KIA) এবং টিএনএলএ (TNLA) কি–ওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করলে, মিয়ানমারের স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম মিয়ানমার নাও (Mayanmar Now)–এর একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
আজ বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) হচ্ছে মিয়ানমারের দুটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সংঘর্ষের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। দুই গ্রুপের কয়েকজন সদস্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ঘটনাটি উত্তর শান রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে ঘটেছে।
সুতরাং, ভিডিওটির সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, এটি মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) নামে দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতির দৃশ্য।
গত ২৭ এপ্রিল (রোববার) রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যবাসীরা স্থানীয় বাঙালিদের ওপর হামলা চালিয়েছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একই ক্যাপশনে ছ
১২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘক্ষণ পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকলে পায়ের রগ ফুলে যায়, অনেক সময় পা টনটন করে। অনেকে ধারণা করেন, এভাবে পা তুলে বসলে পায়ের শিরা স্থায়ীভাবে ফুলে যায়। আসলেই কি পায়ের ওপর পা তুলে বসলে এমন সমস্যা হয়? চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
১৮ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগাম পর্যটন এলাকায় গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন ব্যক্তির স্কেচ ও নাম প্রকাশ করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাদের দাবি, এই তিনজনের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক এবং সবাই পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী.
২ দিন আগেচীনের একটি পোশাক কারখানা ইংরেজি ভাষায় ‘বয়কট চায়না’ লেখাসহ ১ লাখ টি-শার্ট এবং ক্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেছে—এমন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে।
৩ দিন আগে