ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। অডিও রেকর্ডটিতে আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়। রেকর্ডটিতে তিনি দাবি করেন, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
রেকর্ডটির ৩০ সেকেন্ড পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবু সাঈদ গুলি খাওয়ার পর তার সঙ্গী–সাথিরা যে তাকে টেনে নিয়ে গেল, কোথায় নিয়ে গেল? যার গুলি লাগবে, তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা। হাসপাতালে নিবে, অপারেশন করবে, বুলেট বের করবে, বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আবু সাঈদকে কিন্তু হাসপাতালে নেয় নাই। নিয়েছিল কিন্তু চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে। চার–পাঁচ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা যখন তাকে চিকিৎসা করে, তখন সে মৃত্যুবরণ করে।’

আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দাবি কতটুকু সত্য?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ওই দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ছবিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে আজকের পত্রিকার রংপুর প্রতিনিধির বরাতে ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই দিন কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বেরোবি এলাকা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৪টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলকে আবু সাঈদের লাশ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে বেরোবির দিকে যেতে দেখা যায়।

ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। ১৬ জুলাই বেলা ২টা ১৬ মিনিটে শুরু হওয়া লাইভটির ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের মাথায় আবু সাঈদকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরই আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে সেখান থেকে নিয়ে যান। এর আগে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে। প্রতিবেদনটিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুস আলীর বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আবু সাঈদের মরদেহ দেখেননি। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষতের চিহ্ন আছে।
দৈনিক প্রথম আলোয় ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন বেলা ২টার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের বাংলা সংস্করণে ৪টা ১৩ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যুর ব্যাপারে হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য দিয়ে লিখেছে, আবু সাঈদকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। দৈনিক কালের কণ্ঠে ৪টা ১৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

আরও খুঁজে নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসে ৩টা ৫৯ মিনিটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আবু সাঈদের মৃত্যুর প্রমাণপত্র পাওয়া যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া ওই প্রমাণপত্রে আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়েছে, তাঁকে মৃত অবস্থায় ১৬ জুলাই বেলা ৩টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়।
আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কী আছে?
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন একপর্যায়ে রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর প্রায় দেড় মাস পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবু সাঈদের দুই মাস আট দিন পর তাঁর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সাঈদের শরীরজুড়ে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। গুলি ঢুকে তাঁর শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরি করেছিল। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। তা ছাড়া, তাঁর খাদ্যনালি ও ঊরুর রক্তনালিতেও জখমের কারণে রক্তজমাট বেঁধে গিয়েছিল।

আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ডা. রাজিবুল ইসলাম যমুনা টিভিকে বলেন, ‘ফরেনসিক টার্মে ছররা গুলি ১০ থেকে ৩০ মিটার দূর থেকে করা হলে সেটাকে আমরা লেথাল বলি। ১০ মিটারের দূর থেকে গুলি করায় তার শরীরের ভেতরের কিছু অঙ্গ ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় তার।’
সরকার পতনের আগে ১৭ জুলাই রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানায় আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়। তবে ওই ঘটনায় এসআই বিভূতি ভূষণ রায় আগের রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ (৩টা ৫ মিনিটে) ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয়, বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৬ জুলাই বেলা সোয়া ২টার দিকে আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃত্যুসনদে সময় উল্লেখ করা হয় ৩টা ৫ মিনিট এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
অর্থাৎ আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবিটি সঠিক নয়। আবু সাঈদ আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আহত হওয়ার ঘণ্টাখানেকে মধ্যেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। অডিও রেকর্ডটিতে আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়। রেকর্ডটিতে তিনি দাবি করেন, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
রেকর্ডটির ৩০ সেকেন্ড পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবু সাঈদ গুলি খাওয়ার পর তার সঙ্গী–সাথিরা যে তাকে টেনে নিয়ে গেল, কোথায় নিয়ে গেল? যার গুলি লাগবে, তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা। হাসপাতালে নিবে, অপারেশন করবে, বুলেট বের করবে, বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আবু সাঈদকে কিন্তু হাসপাতালে নেয় নাই। নিয়েছিল কিন্তু চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে। চার–পাঁচ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা যখন তাকে চিকিৎসা করে, তখন সে মৃত্যুবরণ করে।’

আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দাবি কতটুকু সত্য?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ওই দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ছবিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে আজকের পত্রিকার রংপুর প্রতিনিধির বরাতে ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই দিন কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বেরোবি এলাকা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৪টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলকে আবু সাঈদের লাশ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে বেরোবির দিকে যেতে দেখা যায়।

ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। ১৬ জুলাই বেলা ২টা ১৬ মিনিটে শুরু হওয়া লাইভটির ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের মাথায় আবু সাঈদকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরই আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে সেখান থেকে নিয়ে যান। এর আগে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে। প্রতিবেদনটিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুস আলীর বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আবু সাঈদের মরদেহ দেখেননি। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষতের চিহ্ন আছে।
দৈনিক প্রথম আলোয় ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন বেলা ২টার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের বাংলা সংস্করণে ৪টা ১৩ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যুর ব্যাপারে হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য দিয়ে লিখেছে, আবু সাঈদকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। দৈনিক কালের কণ্ঠে ৪টা ১৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

আরও খুঁজে নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসে ৩টা ৫৯ মিনিটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আবু সাঈদের মৃত্যুর প্রমাণপত্র পাওয়া যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া ওই প্রমাণপত্রে আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়েছে, তাঁকে মৃত অবস্থায় ১৬ জুলাই বেলা ৩টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়।
আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কী আছে?
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন একপর্যায়ে রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর প্রায় দেড় মাস পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবু সাঈদের দুই মাস আট দিন পর তাঁর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সাঈদের শরীরজুড়ে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। গুলি ঢুকে তাঁর শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরি করেছিল। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। তা ছাড়া, তাঁর খাদ্যনালি ও ঊরুর রক্তনালিতেও জখমের কারণে রক্তজমাট বেঁধে গিয়েছিল।

আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ডা. রাজিবুল ইসলাম যমুনা টিভিকে বলেন, ‘ফরেনসিক টার্মে ছররা গুলি ১০ থেকে ৩০ মিটার দূর থেকে করা হলে সেটাকে আমরা লেথাল বলি। ১০ মিটারের দূর থেকে গুলি করায় তার শরীরের ভেতরের কিছু অঙ্গ ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় তার।’
সরকার পতনের আগে ১৭ জুলাই রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানায় আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়। তবে ওই ঘটনায় এসআই বিভূতি ভূষণ রায় আগের রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ (৩টা ৫ মিনিটে) ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয়, বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৬ জুলাই বেলা সোয়া ২টার দিকে আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃত্যুসনদে সময় উল্লেখ করা হয় ৩টা ৫ মিনিট এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
অর্থাৎ আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবিটি সঠিক নয়। আবু সাঈদ আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আহত হওয়ার ঘণ্টাখানেকে মধ্যেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। অডিও রেকর্ডটিতে আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়। রেকর্ডটিতে তিনি দাবি করেন, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
রেকর্ডটির ৩০ সেকেন্ড পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবু সাঈদ গুলি খাওয়ার পর তার সঙ্গী–সাথিরা যে তাকে টেনে নিয়ে গেল, কোথায় নিয়ে গেল? যার গুলি লাগবে, তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা। হাসপাতালে নিবে, অপারেশন করবে, বুলেট বের করবে, বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আবু সাঈদকে কিন্তু হাসপাতালে নেয় নাই। নিয়েছিল কিন্তু চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে। চার–পাঁচ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা যখন তাকে চিকিৎসা করে, তখন সে মৃত্যুবরণ করে।’

আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দাবি কতটুকু সত্য?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ওই দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ছবিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে আজকের পত্রিকার রংপুর প্রতিনিধির বরাতে ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই দিন কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বেরোবি এলাকা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৪টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলকে আবু সাঈদের লাশ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে বেরোবির দিকে যেতে দেখা যায়।

ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। ১৬ জুলাই বেলা ২টা ১৬ মিনিটে শুরু হওয়া লাইভটির ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের মাথায় আবু সাঈদকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরই আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে সেখান থেকে নিয়ে যান। এর আগে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে। প্রতিবেদনটিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুস আলীর বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আবু সাঈদের মরদেহ দেখেননি। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষতের চিহ্ন আছে।
দৈনিক প্রথম আলোয় ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন বেলা ২টার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের বাংলা সংস্করণে ৪টা ১৩ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যুর ব্যাপারে হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য দিয়ে লিখেছে, আবু সাঈদকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। দৈনিক কালের কণ্ঠে ৪টা ১৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

আরও খুঁজে নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসে ৩টা ৫৯ মিনিটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আবু সাঈদের মৃত্যুর প্রমাণপত্র পাওয়া যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া ওই প্রমাণপত্রে আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়েছে, তাঁকে মৃত অবস্থায় ১৬ জুলাই বেলা ৩টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়।
আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কী আছে?
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন একপর্যায়ে রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর প্রায় দেড় মাস পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবু সাঈদের দুই মাস আট দিন পর তাঁর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সাঈদের শরীরজুড়ে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। গুলি ঢুকে তাঁর শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরি করেছিল। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। তা ছাড়া, তাঁর খাদ্যনালি ও ঊরুর রক্তনালিতেও জখমের কারণে রক্তজমাট বেঁধে গিয়েছিল।

আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ডা. রাজিবুল ইসলাম যমুনা টিভিকে বলেন, ‘ফরেনসিক টার্মে ছররা গুলি ১০ থেকে ৩০ মিটার দূর থেকে করা হলে সেটাকে আমরা লেথাল বলি। ১০ মিটারের দূর থেকে গুলি করায় তার শরীরের ভেতরের কিছু অঙ্গ ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় তার।’
সরকার পতনের আগে ১৭ জুলাই রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানায় আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়। তবে ওই ঘটনায় এসআই বিভূতি ভূষণ রায় আগের রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ (৩টা ৫ মিনিটে) ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয়, বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৬ জুলাই বেলা সোয়া ২টার দিকে আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃত্যুসনদে সময় উল্লেখ করা হয় ৩টা ৫ মিনিট এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
অর্থাৎ আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবিটি সঠিক নয়। আবু সাঈদ আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আহত হওয়ার ঘণ্টাখানেকে মধ্যেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। অডিও রেকর্ডটিতে আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়। রেকর্ডটিতে তিনি দাবি করেন, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
রেকর্ডটির ৩০ সেকেন্ড পরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আবু সাঈদ গুলি খাওয়ার পর তার সঙ্গী–সাথিরা যে তাকে টেনে নিয়ে গেল, কোথায় নিয়ে গেল? যার গুলি লাগবে, তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা। হাসপাতালে নিবে, অপারেশন করবে, বুলেট বের করবে, বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আবু সাঈদকে কিন্তু হাসপাতালে নেয় নাই। নিয়েছিল কিন্তু চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে। চার–পাঁচ ঘণ্টা পর হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা যখন তাকে চিকিৎসা করে, তখন সে মৃত্যুবরণ করে।’

আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ দাবি কতটুকু সত্য?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ১৬ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ওই দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ও ছবিতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে আজকের পত্রিকার রংপুর প্রতিনিধির বরাতে ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই দিন কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বেরোবি এলাকা। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫) নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত (বিকেল পৌনে ৪টা) বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলকে আবু সাঈদের লাশ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে বেরোবির দিকে যেতে দেখা যায়।

ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে একটি লাইভ ভিডিও পাওয়া যায়। ১৬ জুলাই বেলা ২টা ১৬ মিনিটে শুরু হওয়া লাইভটির ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের মাথায় আবু সাঈদকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। এরপরই আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে সেখান থেকে নিয়ে যান। এর আগে তাকে লক্ষ্য করে পুলিশকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ১৬ জুলাই বিকেল ৪টা ১ মিনিটে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই দিন বেলা আড়াইটার দিকে। প্রতিবেদনটিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুস আলীর বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আবু সাঈদের মরদেহ দেখেননি। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষতের চিহ্ন আছে।
দৈনিক প্রথম আলোয় ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দিন বেলা ২টার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের বাংলা সংস্করণে ৪টা ১৩ মিনিটে আবু সাঈদের মৃত্যুর ব্যাপারে হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটের তথ্য দিয়ে লিখেছে, আবু সাঈদকে বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। দৈনিক কালের কণ্ঠে ৪টা ১৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুসনদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আবু সাঈদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

আরও খুঁজে নিউজ পোর্টাল ডেইলি ক্যাম্পাসে ৩টা ৫৯ মিনিটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আবু সাঈদের মৃত্যুর প্রমাণপত্র পাওয়া যায়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে দেওয়া ওই প্রমাণপত্রে আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়েছে, তাঁকে মৃত অবস্থায় ১৬ জুলাই বেলা ৩টা ৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়।
আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কী আছে?
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলন একপর্যায়ে রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর প্রায় দেড় মাস পর সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আবু সাঈদের দুই মাস আট দিন পর তাঁর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, সাঈদের শরীরজুড়ে ছররা গুলির চিহ্ন ছিল। গুলি ঢুকে তাঁর শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশে গর্ত তৈরি করেছিল। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। তা ছাড়া, তাঁর খাদ্যনালি ও ঊরুর রক্তনালিতেও জখমের কারণে রক্তজমাট বেঁধে গিয়েছিল।

আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে ডা. রাজিবুল ইসলাম যমুনা টিভিকে বলেন, ‘ফরেনসিক টার্মে ছররা গুলি ১০ থেকে ৩০ মিটার দূর থেকে করা হলে সেটাকে আমরা লেথাল বলি। ১০ মিটারের দূর থেকে গুলি করায় তার শরীরের ভেতরের কিছু অঙ্গ ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয় তার।’
সরকার পতনের আগে ১৭ জুলাই রংপুর মেট্রোপলিটনের তাজহাট থানায় আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়। তবে ওই ঘটনায় এসআই বিভূতি ভূষণ রায় আগের রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু ১৭ জুলাই তারিখে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে একজন শিক্ষার্থীকে পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন তার সহপাঠীরা তাকে ধরাধরি করে জরুরি চিকিৎসার জন্য বিকেল ১৫.০৫ (৩টা ৫ মিনিটে) ঘটিকার সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।’
আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয়, বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে ১৬ জুলাই বেলা সোয়া ২টার দিকে আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। পরে হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃত্যুসনদে সময় উল্লেখ করা হয় ৩টা ৫ মিনিট এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
অর্থাৎ আহত হওয়ার পর চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাপারে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাবিটি সঠিক নয়। আবু সাঈদ আহত হওয়ার পরপরই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আহত হওয়ার ঘণ্টাখানেকে মধ্যেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
২৩ নভেম্বর ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৪ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
৯ দিন আগে