ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

ফেসবুকে তিনটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে—ছবিগুলো এডওয়ার্ড মরডেক নামের ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন দুমুখো মানুষের।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে—‘১৯শ শতকে জন্ম নেওয়া মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরডেক। ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যার আগ পর্যন্ত যিনি ডাক্তারদের কাছে অনুনয় করতেন, যেন পেছনের মুখটি সরিয়ে দেওয়া যায়। শ্রুতি আছে, মরডেকের পেছনের মুখটা হাসতে পারত, কাঁদতে পারত, ফিসফিস করে কথা বলতে পারত, এমনকি কোনো জিনিস ধরতেও পারত। মূলত ফিসফিসিয়ে বলা কথাই তাঁর জীবনটা দুর্বিষহ করে তুলেছিল।’
এ রকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে। এসব পোস্টের মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনা পাওয়া যায়। একজন পাঠক লিখেছেন—‘আর কারও যেন এমন না হয়, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা করি।’
ফ্যাক্টচেক
এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ওই লোকগাথা লেখেন। তবে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবি তিনটির কোনোটিই ওই নিবন্ধে পাওয়া যায়নি।
লোকগাথাটি এ রকম—১৯ শতকের ইংরেজ অভিজাত মানুষ এডওয়ার্ড মরডেক। উনিশ শতকে জন্ম নেওয়া একজন হতভাগ্য মানুষ, যিনি দুটি মাথা নিয়ে জন্মেছিলেন। সাধারণ মানুষের চেহারা কেবল সামনের দিকেই থাকে। অথচ এই মানুষটির মাথার পেছনেও আর একটি চেহারার অস্তিত্ব ছিল। সেই অস্তিত্বটা হাসত, কাঁদত, আর উদ্ভট উদ্ভট শব্দ করত এবং ওই মাথার ওপর এডওয়ার্ডের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না! এডওয়ার্ডের ধারণা ছিল—এটা ‘শয়তানের মাথা’।
রাতে যখন এডওয়ার্ড ঘুমাতে যেতেন, তখন ওই বাড়তি জিনিসটা নাকি ফিসফিস করে কিছু একটা বলত তাঁকে! চিকিৎসকদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল বাড়তি মাথাটা কেটে ফেলার জন্য, কিন্তু কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এডওয়ার্ড আত্মহত্যা করে বসেন!
বোস্টন পোস্টে প্রকাশিত ওই কিংবদন্তির সূত্র ধরে ১৮৯৬ সালে ডা. জর্জ এম গোল্ড ও ওয়াল্টার এল পাইল তাঁদের ‘অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিওসিটিস মেডিসিনি’ নামের মেডিকেল কেস স্টাডি বিষয়ক নিবন্ধে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখেন। এরপর অনেক নাটক, প্রবন্ধ ও গানের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় মরডেক নামের কাল্পনিক চরিত্রটি। টম ওয়েটস তাঁর অ্যালাইস নামের অ্যালবামে এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে একটি গান প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম হলো, ‘পুওর এডওয়ার্ড’।
২০২০ সালের ৯ জুলাই ডিয়াবোলিকো নামের একটি স্পেনীয় ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা ওই তিন ছবি ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আইডি থেকে শেয়ার হয়। ওই পোস্টে স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ক্যাপশন গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করলে বাংলাদেশে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টগুলোর ক্যাপশনের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো সত্যিকারের কোনো মানুষের নয়, বরং এগুলো মোমের তৈরি শিল্পকর্ম। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরের জন্য নির্মিত একটি প্রচারণামূলক ইউটিউব ভিডিওতে শিল্পকর্মটির ছবি পাওয়া যায়।
পানোপটিকাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিওর ১ মিনিট ৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড পর্যন্ত যে শিল্পকর্মটি দেখা যাচ্ছে, তারই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে এডওয়ার্ড মরডেক নামে দুমুখো মানুষ হিসেবে।
গত ৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা এএফপিতে এ–সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে জাদুঘরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুসান ফায়েরবার নিশ্চিত করেছেন, ছবিটি তাঁদের একটি প্রদর্শনী থেকে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘রঙিন ছবিটি আমাদের একটি প্রদর্শনী থেকে তোলা হয়। এই শিল্পকর্মগুলো আমরা তৈরি করিনি। আমরা এগুলো রাশিয়া থেকে কিনেছি।’ সাদাকালো ছবিটিও ইউটিউব ভিডিওটির দৃশ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
জাদুঘরে শিল্পকর্মটির সঙ্গে সংযুক্ত জার্মান ভাষায় লেখা ফলকে সাম্প্রতিক ফেসবুকে লেখা তথ্যগুলোর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সেখানে স্পষ্ট বলা আছে—এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র। তবে সেখানে এডওয়ার্ড মরডেকের আত্মহত্যার বয়স ৩৩ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্টে অবশ্য লেখা হচ্ছে—মরডেক ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
মাথার খুলির যে ছবি ওই পোস্টগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে, তা মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছবিটি আপলোড করেন। কুবলার নিজেকে অদ্ভুত ও অবাস্তব জিনিসের শিল্পী (Sculptor of the Bizarre) বলে দাবি করেন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডিতে অদ্ভুত ধরনের অসংখ্য ভাস্কর্যের ছবির দেখা পাওয়া যায়।
অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবসাইট ইটসি-তে কুবলারের শিল্পকর্মটির ছবি দিয়ে সেটিকে দুমুখো মানুষের মাথার খুলির অনুরূপ একটি ভাস্কর্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি হাতে তৈরি এবং উচ্চতা ১৬ ইঞ্চি। তবে এরই মধ্যে পণ্যটি বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
স্নোপস ও ইউএসএ টুডে ফ্যাক্টচেক বিভাগও এ–সংক্রান্ত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সিদ্ধান্ত
দুমুখো মানুষ হিসেবে প্রচারিত এডওয়ার্ড মরডেকের কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। এটি একটি লোকগাথা। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ১৮৯৫ সালে বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় ফিকশন চরিত্র হিসেবে এডয়ার্ড মরডেককে উপস্থাপন করেন। ফেসবুকে যে তিনটি ছবিকে মরডেকের বলে দাবি করা হচ্ছে, তার দুটি মূলত জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরে থাকা মোমের তৈরি একটি ভাস্কর্য। আর মাথার খুলিটি মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের হাতে তৈরি একটি ভাস্কর্য।

ফেসবুকে তিনটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে—ছবিগুলো এডওয়ার্ড মরডেক নামের ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন দুমুখো মানুষের।
পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে—‘১৯শ শতকে জন্ম নেওয়া মানুষটির নাম এডওয়ার্ড মরডেক। ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যার আগ পর্যন্ত যিনি ডাক্তারদের কাছে অনুনয় করতেন, যেন পেছনের মুখটি সরিয়ে দেওয়া যায়। শ্রুতি আছে, মরডেকের পেছনের মুখটা হাসতে পারত, কাঁদতে পারত, ফিসফিস করে কথা বলতে পারত, এমনকি কোনো জিনিস ধরতেও পারত। মূলত ফিসফিসিয়ে বলা কথাই তাঁর জীবনটা দুর্বিষহ করে তুলেছিল।’
এ রকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে। এসব পোস্টের মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করলে পাঠকের বিভ্রান্ত হওয়ার নমুনা পাওয়া যায়। একজন পাঠক লিখেছেন—‘আর কারও যেন এমন না হয়, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা করি।’
ফ্যাক্টচেক
এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ওই লোকগাথা লেখেন। তবে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবি তিনটির কোনোটিই ওই নিবন্ধে পাওয়া যায়নি।
লোকগাথাটি এ রকম—১৯ শতকের ইংরেজ অভিজাত মানুষ এডওয়ার্ড মরডেক। উনিশ শতকে জন্ম নেওয়া একজন হতভাগ্য মানুষ, যিনি দুটি মাথা নিয়ে জন্মেছিলেন। সাধারণ মানুষের চেহারা কেবল সামনের দিকেই থাকে। অথচ এই মানুষটির মাথার পেছনেও আর একটি চেহারার অস্তিত্ব ছিল। সেই অস্তিত্বটা হাসত, কাঁদত, আর উদ্ভট উদ্ভট শব্দ করত এবং ওই মাথার ওপর এডওয়ার্ডের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না! এডওয়ার্ডের ধারণা ছিল—এটা ‘শয়তানের মাথা’।
রাতে যখন এডওয়ার্ড ঘুমাতে যেতেন, তখন ওই বাড়তি জিনিসটা নাকি ফিসফিস করে কিছু একটা বলত তাঁকে! চিকিৎসকদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল বাড়তি মাথাটা কেটে ফেলার জন্য, কিন্তু কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এডওয়ার্ড আত্মহত্যা করে বসেন!
বোস্টন পোস্টে প্রকাশিত ওই কিংবদন্তির সূত্র ধরে ১৮৯৬ সালে ডা. জর্জ এম গোল্ড ও ওয়াল্টার এল পাইল তাঁদের ‘অ্যানোমালিস অ্যান্ড কিউরিওসিটিস মেডিসিনি’ নামের মেডিকেল কেস স্টাডি বিষয়ক নিবন্ধে এ নিয়ে বিস্তারিত লেখেন। এরপর অনেক নাটক, প্রবন্ধ ও গানের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয় মরডেক নামের কাল্পনিক চরিত্রটি। টম ওয়েটস তাঁর অ্যালাইস নামের অ্যালবামে এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে একটি গান প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম হলো, ‘পুওর এডওয়ার্ড’।
২০২০ সালের ৯ জুলাই ডিয়াবোলিকো নামের একটি স্পেনীয় ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা ওই তিন ছবি ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি আইডি থেকে শেয়ার হয়। ওই পোস্টে স্প্যানিশ ভাষায় লেখা ক্যাপশন গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে অনুবাদ করলে বাংলাদেশে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টগুলোর ক্যাপশনের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ছবিগুলো সত্যিকারের কোনো মানুষের নয়, বরং এগুলো মোমের তৈরি শিল্পকর্ম। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরের জন্য নির্মিত একটি প্রচারণামূলক ইউটিউব ভিডিওতে শিল্পকর্মটির ছবি পাওয়া যায়।
পানোপটিকাম নামের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালের ১৫ জুন প্রকাশিত একটি ভিডিওর ১ মিনিট ৫ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড পর্যন্ত যে শিল্পকর্মটি দেখা যাচ্ছে, তারই ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে এডওয়ার্ড মরডেক নামে দুমুখো মানুষ হিসেবে।
গত ৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা এএফপিতে এ–সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনে জাদুঘরটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুসান ফায়েরবার নিশ্চিত করেছেন, ছবিটি তাঁদের একটি প্রদর্শনী থেকে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘রঙিন ছবিটি আমাদের একটি প্রদর্শনী থেকে তোলা হয়। এই শিল্পকর্মগুলো আমরা তৈরি করিনি। আমরা এগুলো রাশিয়া থেকে কিনেছি।’ সাদাকালো ছবিটিও ইউটিউব ভিডিওটির দৃশ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
জাদুঘরে শিল্পকর্মটির সঙ্গে সংযুক্ত জার্মান ভাষায় লেখা ফলকে সাম্প্রতিক ফেসবুকে লেখা তথ্যগুলোর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সেখানে স্পষ্ট বলা আছে—এটি একটি কাল্পনিক চরিত্র। তবে সেখানে এডওয়ার্ড মরডেকের আত্মহত্যার বয়স ৩৩ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া পোস্টে অবশ্য লেখা হচ্ছে—মরডেক ২৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন।
মাথার খুলির যে ছবি ওই পোস্টগুলোতে যুক্ত করা হয়েছে, তা মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পাওয়া যায়। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রামে ছবিটি আপলোড করেন। কুবলার নিজেকে অদ্ভুত ও অবাস্তব জিনিসের শিল্পী (Sculptor of the Bizarre) বলে দাবি করেন। তাঁর ইনস্টাগ্রাম আইডিতে অদ্ভুত ধরনের অসংখ্য ভাস্কর্যের ছবির দেখা পাওয়া যায়।
অনলাইন বেচাকেনার ওয়েবসাইট ইটসি-তে কুবলারের শিল্পকর্মটির ছবি দিয়ে সেটিকে দুমুখো মানুষের মাথার খুলির অনুরূপ একটি ভাস্কর্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি হাতে তৈরি এবং উচ্চতা ১৬ ইঞ্চি। তবে এরই মধ্যে পণ্যটি বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানানো হয়েছে।
স্নোপস ও ইউএসএ টুডে ফ্যাক্টচেক বিভাগও এ–সংক্রান্ত ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সিদ্ধান্ত
দুমুখো মানুষ হিসেবে প্রচারিত এডওয়ার্ড মরডেকের কোনো বাস্তব অস্তিত্ব নেই। এটি একটি লোকগাথা। মার্কিন ফিকশন লেখক চার্লস লটিন হিলড্রেক ১৮৯৫ সালে বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় ফিকশন চরিত্র হিসেবে এডয়ার্ড মরডেককে উপস্থাপন করেন। ফেসবুকে যে তিনটি ছবিকে মরডেকের বলে দাবি করা হচ্ছে, তার দুটি মূলত জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত পানোপটিকাম মোম জাদুঘরে থাকা মোমের তৈরি একটি ভাস্কর্য। আর মাথার খুলিটি মার্কিন ভাস্কর টস কুবলারের হাতে তৈরি একটি ভাস্কর্য।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়
০৮ আগস্ট ২০২১
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়
০৮ আগস্ট ২০২১
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়
০৮ আগস্ট ২০২১
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

এডওয়ার্ড মরডেক নামের দুমুখো মানুষ দাবি করা গল্পটি দেশে সম্প্রতি ভাইরাল হলেও এর সূত্রপাত কিন্তু প্রায় ১২৫ বছর আগেই। এডওয়ার্ড মরডেককে নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তিটি ১৮৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়
০৮ আগস্ট ২০২১
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
৯ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
৯ দিন আগে
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
১৪ দিন আগে