ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় নজিরবিহীন বন্যায় সরকারি হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ পরিবার। ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় বিপর্যস্ত এই অঞ্চলের জনজীবন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে— এমন দাবিতে দুটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছবি দুটির একটিতে দেখা যায়, কোমর সমান পানির মধ্যেই চেয়ার পেতে বসে আছেন বর–কনে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, বর–কনের মুখে বাটা হলুদ মাখছেন কয়েকজন নারী।
আজ সোমবার ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন হেল্পলাইন ২০২৪–২৫’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ছবি দুটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘দেশে যাই হয়ে যাক বিয়ে করতেই হবে।’ আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, থইথই পানিতে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের ছবি দুটি পুরোনো।
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৪ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবি দুটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ঘটনাটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কলাউপাড়া গ্রামের। এটি লালুয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকিরের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল।
মহিউদ্দিন ফকির ওই বছরের ২৯ জুলাই বিয়ে করেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামে। ২০ আগস্ট তিনি নববধূকে বাড়িতে আনেন। ২২ আগস্ট দুপুরে জোয়ারের পানির মধ্যেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। জোয়ারের পানিতে যখন চারদিক থই থই, তখন বাড়ির উঠানে চেয়ার পেতে বর–কনেকে হলুদ দেওয়া হয়। এতে স্বজনেরা অংশ নেন। লালুয়া ইউনিয়নটির পূর্বদিকে রাবনাবাদ চ্যানেল, পশ্চিমে টিয়াখালী নদী, উত্তরে আন্ধারমানিক নদী, দক্ষিণে বালিয়াতলী ইউনিয়ন ও রাবনাবাদ চ্যানেল। এই রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর অবস্থিত।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, ওই সময় কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের সুরক্ষার জন্য কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছিল না। ফলে ইউনিয়নটির ১২–১৩টি গ্রাম দৈনিক দুই দফা জোয়ারের পানিতে গ্রাম প্লাবিত হতো।
আজকের পত্রিকার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ইউনিয়নটিতে স্থায়ী কোনো বাঁধ নেই। ফলে জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নটির গ্রামগুলো এখনো নিয়মিত প্লাবিত হয়।
দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় নজিরবিহীন বন্যায় সরকারি হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ পরিবার। ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে সৃষ্ট এই বন্যায় বিপর্যস্ত এই অঞ্চলের জনজীবন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে— এমন দাবিতে দুটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ছবি দুটির একটিতে দেখা যায়, কোমর সমান পানির মধ্যেই চেয়ার পেতে বসে আছেন বর–কনে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, বর–কনের মুখে বাটা হলুদ মাখছেন কয়েকজন নারী।
আজ সোমবার ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন হেল্পলাইন ২০২৪–২৫’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ছবি দুটি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘দেশে যাই হয়ে যাক বিয়ে করতেই হবে।’ আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, থইথই পানিতে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের ছবি দুটি পুরোনো।
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২৪ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ছবি দুটি পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ঘটনাটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কলাউপাড়া গ্রামের। এটি লালুয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ফকিরের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল।
মহিউদ্দিন ফকির ওই বছরের ২৯ জুলাই বিয়ে করেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামে। ২০ আগস্ট তিনি নববধূকে বাড়িতে আনেন। ২২ আগস্ট দুপুরে জোয়ারের পানির মধ্যেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। জোয়ারের পানিতে যখন চারদিক থই থই, তখন বাড়ির উঠানে চেয়ার পেতে বর–কনেকে হলুদ দেওয়া হয়। এতে স্বজনেরা অংশ নেন। লালুয়া ইউনিয়নটির পূর্বদিকে রাবনাবাদ চ্যানেল, পশ্চিমে টিয়াখালী নদী, উত্তরে আন্ধারমানিক নদী, দক্ষিণে বালিয়াতলী ইউনিয়ন ও রাবনাবাদ চ্যানেল। এই রাবনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর অবস্থিত।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, ওই সময় কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের সুরক্ষার জন্য কোনো বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছিল না। ফলে ইউনিয়নটির ১২–১৩টি গ্রাম দৈনিক দুই দফা জোয়ারের পানিতে গ্রাম প্লাবিত হতো।
আজকের পত্রিকার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ইউনিয়নটিতে স্থায়ী কোনো বাঁধ নেই। ফলে জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নটির গ্রামগুলো এখনো নিয়মিত প্লাবিত হয়।
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আ
৩ দিন আগেগোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫