মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে ইটভাটা। এসব ইটভাটার বেশির ভাগ কৃষিজমি, বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে। এতে বায়ুদূষণের কারণে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইট তৈরি করা হচ্ছে। তাই উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে ফসলি জমি। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮১টি ইটভাটা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্রের ভিত্তিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ ইটভাটার সংখ্যা মাত্র ৮২। স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, ভাটার মালিকেরা বছরের পর বছর ধরে আইন লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ ইটভাটার তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮১টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্রের ভিত্তিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ ইটভাটার সংখ্যা মাত্র ৮২। লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ৯৯টি। এর বাইরে বাকি ৩০টি ইটভাটা বিভিন্ন কারণে বন্ধ বা পরিত্যক্ত রয়েছে। তবে তালিকার বাইরে জেলায় আরও ইটভাটা রয়েছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা চালানো যাবে না। এ ছাড়া ভাটা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই, স্থানীয় ভূমি অফিস, কৃষি অফিসসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। এসব নিয়ম কাগজে থাকলেও তা মানছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইটভাটার মালিকেরা।
জেলার প্রতিটি ইটভাটাই ফসলি জমির মাঝখানে স্থাপন করা। প্রতিটি ভাটার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জনবসতিসহ ঘরবাড়ি রয়েছে। রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, ভাটার মালিকেরা বছরের পর বছর ধরে আইন লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন। ইট প্রস্তুতের মৌসুম শুরুর আগে ভাটার মালিকেরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ইটভাটার মালিকেরা কোনো নির্দেশনা মানেন না। তাঁরা তাঁদের মতো করে চলেন। কিছু বললে উল্টো হুমকি দেন।
নাসিরনগরের বাসিন্দা আয়েত আলী নামের এক কৃষক বলেন, প্রশাসন কৃষিজমির পাশে কীভাবে ইটভাটার অনুমোদন দেয়, তা বুঝে আসছে
না। ধোঁয়ায় প্রতি মৌসুমে ধানের ফলন কম হচ্ছে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মো. নাসির মিয়া বলেন, জমির উর্বরতা শক্তি মাটির উপরিভাগের ১২ থেকে ২০ ইঞ্চির মধ্যে থাকে। তাই ওপরের মাটি বিক্রি করায় জমির উর্বরতা শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। একশ্রেণির দালাল দরিদ্র কৃষকদের অভাবের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৃষিজমি থেকে ২-৩ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই মাটি ইট তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি থেকে মাটি কাটায় উর্বরতা শক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত মাটি দিয়ে ইট তৈরির অনুমতি আছে। এরপর মাটি দিয়ে আর ইট বানানো যাবে না। হঠাৎ করে ইটের ভাটা ভেঙে দিলে মানুষের কষ্ট হবে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে প্রশাসনের উচিত, যেসব ভাটা পরিবেশের তেমন বেশি ক্ষতি করছে না, তাদের ব্যাপারে সহনশীল হওয়া। আর যেগুলো পরিবেশের বেশি ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে আগামী ৩ বছরের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল আমিন বলেন, গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪১টি ইটভাটাকে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং সেগুলো আংশিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২৯টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর ৫টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রহুল আমিন মঙ্গলবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ ইটভাটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ে এসব ইটভাটা বন্ধে অভিযান চালানো হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে ইটভাটা। এসব ইটভাটার বেশির ভাগ কৃষিজমি, বসতবাড়ি, বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে। এতে বায়ুদূষণের কারণে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ইট তৈরি করা হচ্ছে। তাই উর্বরতা শক্তি হারাচ্ছে ফসলি জমি। পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮১টি ইটভাটা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পরিবেশগত ছাড়পত্রের ভিত্তিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ ইটভাটার সংখ্যা মাত্র ৮২। স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, ভাটার মালিকেরা বছরের পর বছর ধরে আইন লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ ইটভাটার তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮১টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশগত ছাড়পত্রের ভিত্তিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ ইটভাটার সংখ্যা মাত্র ৮২। লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে ৯৯টি। এর বাইরে বাকি ৩০টি ইটভাটা বিভিন্ন কারণে বন্ধ বা পরিত্যক্ত রয়েছে। তবে তালিকার বাইরে জেলায় আরও ইটভাটা রয়েছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কোনো ইটভাটা চালানো যাবে না। এ ছাড়া ভাটা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসন, বিএসটিআই, স্থানীয় ভূমি অফিস, কৃষি অফিসসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। এসব নিয়ম কাগজে থাকলেও তা মানছেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইটভাটার মালিকেরা।
জেলার প্রতিটি ইটভাটাই ফসলি জমির মাঝখানে স্থাপন করা। প্রতিটি ভাটার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জনবসতিসহ ঘরবাড়ি রয়েছে। রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, ভাটার মালিকেরা বছরের পর বছর ধরে আইন লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসন। ইট প্রস্তুতের মৌসুম শুরুর আগে ভাটার মালিকেরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেন করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ইটভাটার মালিকেরা কোনো নির্দেশনা মানেন না। তাঁরা তাঁদের মতো করে চলেন। কিছু বললে উল্টো হুমকি দেন।
নাসিরনগরের বাসিন্দা আয়েত আলী নামের এক কৃষক বলেন, প্রশাসন কৃষিজমির পাশে কীভাবে ইটভাটার অনুমোদন দেয়, তা বুঝে আসছে
না। ধোঁয়ায় প্রতি মৌসুমে ধানের ফলন কম হচ্ছে।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব মো. নাসির মিয়া বলেন, জমির উর্বরতা শক্তি মাটির উপরিভাগের ১২ থেকে ২০ ইঞ্চির মধ্যে থাকে। তাই ওপরের মাটি বিক্রি করায় জমির উর্বরতা শক্তি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। একশ্রেণির দালাল দরিদ্র কৃষকদের অভাবের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৃষিজমি থেকে ২-৩ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এই মাটি ইট তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমি থেকে মাটি কাটায় উর্বরতা শক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত মাটি দিয়ে ইট তৈরির অনুমতি আছে। এরপর মাটি দিয়ে আর ইট বানানো যাবে না। হঠাৎ করে ইটের ভাটা ভেঙে দিলে মানুষের কষ্ট হবে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। ফলে প্রশাসনের উচিত, যেসব ভাটা পরিবেশের তেমন বেশি ক্ষতি করছে না, তাদের ব্যাপারে সহনশীল হওয়া। আর যেগুলো পরিবেশের বেশি ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে আগামী ৩ বছরের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল আমিন বলেন, গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪১টি ইটভাটাকে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং সেগুলো আংশিকভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২৯টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর ৫টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রহুল আমিন মঙ্গলবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধ ইটভাটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ে এসব ইটভাটা বন্ধে অভিযান চালানো হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪