আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া ও শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আড়াই হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেছিলেন গঙ্গাচড়ার ছালাপাক গ্রামের সহিদার রহমান। মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ১ লাখ টাকা। জমিতে বীজ থেকে চারাও গজিয়েছিল। কিন্তু তারপরই সব শেষ। সম্প্রতি তিস্তা নদীতে দেখা দেওয়া আকস্মিক ঢলের সঙ্গে নেমে আসা বালুতে চাপা পড়ে গেছে পুরো খেত।
সহিদারের মতো ক্ষতির শিকার হয়েছেন একই গ্রামের কুমড়াচাষি রেয়াজুল ইসলাম, ফারুক মিয়া ও আফতাবুল ইসলামসহ প্রায় ২০০ কৃষক। উপজেলায় বালুচাপা পড়ে তলিয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ কুমড়াখেত। এ ছাড়া পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে অনেক আবাদ।
কৃষকেরা জানান, গঙ্গাচড়ায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমির মিষ্টি কুমড়ার খেত ক্ষতির শিকার হয়েছে। যাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক গ্রামেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির কুমড়াখেত।
সরেজমিনে তিস্তার চর ছালাপাক, কালির চর, চব্বিশ সাল, চর মহিপুর, মধ্য ইচলী, পশ্চিম ইচলী ও বিনবিনা এলাকায় দেখা গেছে ঢলের ধ্বংসলীলা।
কৃষক সহিদার হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘সর্বনাশা তিস্তার ভয়ংকর বন্যায় বালুতে ঢাকা পড়েছে পুরো কুমড়াখেত। এই বালু সরিয়ে নালা কেটে জমিতে আবারও কুমড়া চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ খরচ পুষিয়ে নিতে পারব কি না আল্লাহই জানেন।’
বালুতে কৃষক সহিদারের প্রায় দেড় হেক্টর আমন ধানের খেতও ঢাকা পড়েছে।
ছালাপাক গ্রামের আরেক কৃষক আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘এক একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছিলাম। এর মাত্র তিন দিন পরই তিস্তার প্রলয়ংকরী বন্যায় ডুবে গেল গোটা এলাকা। পানি নেমে যেতেই দেখি কুমড়াখেত বালুতে তলিয়ে গেছে। আবার নতুন করে বীজ রোপণ করতে হবে।’
জমিতে থাকা আমন ধানের ওপর আগাম টাকা নিয়ে এক একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছিলেন একই গ্রামের আবু তালেব। ভেবেছিলেন কুমড়া বিক্রি করে পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিস্তার ঢলে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে বীজ লাগানোর মতো টাকাও নেই। কিন্তু কিছু একটা করতে না পারলে এবার পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হবে।
আবু তালেব জানান, উপজেলার মধ্যে ছালাপাক গ্রামে সবচেয়ে বেশি জমিতে কুমড়ার বীজ বপন করা হয়েছিল। অনেক খেতই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
গজঘণ্টা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, গত সপ্তাহের ঢলে চরের জমিগুলো বালুতে ঢাকা পড়েছে। এতে ছালাপাকের প্রায় ২০০ একর আমনখেত ও ১৫০ একর কুমড়াখেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন, এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহজ শর্তে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা না করলে কৃষকেরা ভীষণ খতির মুখে পড়বেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারি সহায়তা অথবা সহজ কিস্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমড়াখেতের পরিমাণ ১০০ হেক্টর পর্যন্ত হতে পারে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে।
সহজ শর্তে কৃষি ঋণের বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক গঙ্গাচড়া শাখার ব্যবস্থাপক নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণদানের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। তবে আগের নিয়মে কৃষকদের মধ্যে ঋণ দেওয়া কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে আড়াই হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেছিলেন গঙ্গাচড়ার ছালাপাক গ্রামের সহিদার রহমান। মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ১ লাখ টাকা। জমিতে বীজ থেকে চারাও গজিয়েছিল। কিন্তু তারপরই সব শেষ। সম্প্রতি তিস্তা নদীতে দেখা দেওয়া আকস্মিক ঢলের সঙ্গে নেমে আসা বালুতে চাপা পড়ে গেছে পুরো খেত।
সহিদারের মতো ক্ষতির শিকার হয়েছেন একই গ্রামের কুমড়াচাষি রেয়াজুল ইসলাম, ফারুক মিয়া ও আফতাবুল ইসলামসহ প্রায় ২০০ কৃষক। উপজেলায় বালুচাপা পড়ে তলিয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ কুমড়াখেত। এ ছাড়া পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে অনেক আবাদ।
কৃষকেরা জানান, গঙ্গাচড়ায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমির মিষ্টি কুমড়ার খেত ক্ষতির শিকার হয়েছে। যাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কেবল গজঘণ্টা ইউনিয়নের ছালাপাক গ্রামেই ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬০ হেক্টর জমির কুমড়াখেত।
সরেজমিনে তিস্তার চর ছালাপাক, কালির চর, চব্বিশ সাল, চর মহিপুর, মধ্য ইচলী, পশ্চিম ইচলী ও বিনবিনা এলাকায় দেখা গেছে ঢলের ধ্বংসলীলা।
কৃষক সহিদার হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘সর্বনাশা তিস্তার ভয়ংকর বন্যায় বালুতে ঢাকা পড়েছে পুরো কুমড়াখেত। এই বালু সরিয়ে নালা কেটে জমিতে আবারও কুমড়া চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ খরচ পুষিয়ে নিতে পারব কি না আল্লাহই জানেন।’
বালুতে কৃষক সহিদারের প্রায় দেড় হেক্টর আমন ধানের খেতও ঢাকা পড়েছে।
ছালাপাক গ্রামের আরেক কৃষক আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘এক একর জমিতে মিষ্টি কুমড়া লাগিয়েছিলাম। এর মাত্র তিন দিন পরই তিস্তার প্রলয়ংকরী বন্যায় ডুবে গেল গোটা এলাকা। পানি নেমে যেতেই দেখি কুমড়াখেত বালুতে তলিয়ে গেছে। আবার নতুন করে বীজ রোপণ করতে হবে।’
জমিতে থাকা আমন ধানের ওপর আগাম টাকা নিয়ে এক একর জমিতে কুমড়া লাগিয়েছিলেন একই গ্রামের আবু তালেব। ভেবেছিলেন কুমড়া বিক্রি করে পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু তিস্তার ঢলে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে বীজ লাগানোর মতো টাকাও নেই। কিন্তু কিছু একটা করতে না পারলে এবার পরিবার নিয়ে অনাহারে দিন কাটাতে হবে।
আবু তালেব জানান, উপজেলার মধ্যে ছালাপাক গ্রামে সবচেয়ে বেশি জমিতে কুমড়ার বীজ বপন করা হয়েছিল। অনেক খেতই বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
গজঘণ্টা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, গত সপ্তাহের ঢলে চরের জমিগুলো বালুতে ঢাকা পড়েছে। এতে ছালাপাকের প্রায় ২০০ একর আমনখেত ও ১৫০ একর কুমড়াখেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন, এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহজ শর্তে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা না করলে কৃষকেরা ভীষণ খতির মুখে পড়বেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারি সহায়তা অথবা সহজ কিস্তিতে ঋণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কুমড়াখেতের পরিমাণ ১০০ হেক্টর পর্যন্ত হতে পারে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে।
সহজ শর্তে কৃষি ঋণের বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক গঙ্গাচড়া শাখার ব্যবস্থাপক নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণদানের জন্য এ পর্যন্ত সরকারি কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। তবে আগের নিয়মে কৃষকদের মধ্যে ঋণ দেওয়া কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫