Ajker Patrika

৭৫১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন, স্বস্তি মানুষের

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ৫২
৭৫১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন, স্বস্তি মানুষের

বরগুনার আমতলী উপজেলার ৭৫১ কোটি টাকার আমতলী-সুবন্ধি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চাওড়া-সুবন্ধি খালপাড়ে বসবাসরত লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। এ কারণে প্রকল্প অনুমোদনের খবর পেয়ে খালপাড়ের বাসিন্দারা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে আমতলীর চাওড়া ও পায়রা নদীর ভাঙনের হাত থেকে আমতলী শহর রক্ষায় আমতলী চৌরাস্তায় পাউবো বাঁধ নির্মাণ করে। চাওড়া নদী ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২০০ মিটার প্রস্থ। সুবন্ধি অংশে বাঁশবুনিয়া নদী, ঘুঘুমারী অংশে টিয়াখালী ও আমতলী অংশে পায়রা নদীর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও লবণাক্ততার হাত থেকে মানুষ ও সম্পদ রক্ষায় ২০০৯ সালে বাঁশবুনিয়া নদীর একাংশ সুবন্ধি এলাকায় পাউবো বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এতে পানিপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়। ২০১৫ সালে চাওড়া ও সুবন্ধি নদীর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সুবন্ধি বাঁধে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এদিকে ১৯৬৭ সালে জুলেখা ও উত্তর টিয়াখালী খালে এবং ঘুঘুমারিতে স্লুইসগেট নির্মাণ করে পাউবো। সুবন্ধির তিনটি স্লুইসগেটে পানি নিষ্কাশনের কারণে নদীর ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিক প্রবাহ রয়েছে। কিন্তু উত্তর টিয়াখালী ও ঘুঘুমারী খালের স্লুইসগেট এবং জুলেখা খালের লক্ষ্মী এলাকায় তিনটি, উত্তর টিয়াখালী স্লুইসগেট ও আউরা বৈরাগী এলাকায়সহ খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন প্রভাবশালীরা।

এদিকে সুবন্ধি নদীসংলগ্ন নাচনাপাড়া ও আমতলী খালসহ ১০টি খাল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করছেন। এতে নদীর পশ্চিম, দক্ষিণ ও পূর্বদিকের পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় ২০ কিলোমিটারে কচুরিপানা আটকে আছে ও তা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের জিয়া উদ্দিন জুয়েল ও আউয়াল বলেন, ‘১২ বছর ধরে খালের পচা পানির দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। এখন খাল থেকে কচুরিপানা উত্তোলন ও খনন করলে আর এই সমস্যা থাকবে না। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞা জানাই।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ৭৫১ কোটি টাকার এত বড় প্রকল্প বরগুনা জেলায় আর হয়নি। আমতলী-তালতলী উপজেলা হলো প্রধানমন্ত্রীর নিজের নির্বাচনী এলাকা।’

পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কাইছার আলম বলেন, প্রকল্পে ৬১ কিলোমিটার খাল খনন এবং পায়রা নদীর ভাঙন রোধে ৫ কিলোমিটার ব্লক নির্মাণ, পানিপ্রবাহ নিশ্চিত ও জমি চাষাবাদ সুগম করতে ১৮টি রেগুলেটর নির্মাণ করা হবে। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

শান্ত যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে, মিরাজ কেন নেই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত