জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরে মাঠে মাঠে এখন সরিষা ফুল। কৃষকেরা আমন ধানের আবাদ ঘরে তোলার পরপরই মাঠে সরিষা বুনেছেন। ফলন ভালো হওয়া এখন বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলায়ই সরিষার আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলা এবং নকলা উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরের মধ্যে এবার সরিষার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। দিন দিন জেলায় সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরাও ঝুঁকছে সরিষা আবাদে। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে।
আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাত হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ওই বছর দেশে করোনাকালীন নানা সমস্যা এবং চরাঞ্চলে বন্যা ও বৃষ্টির পানি দেরিতে নেমে যাওয়ায় অনেকেই আবাদই করতে পারেনি। চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবং ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, ধলা, চরমুচারিয়া, চরপক্ষীমারী, লছমনপুর, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠে দুচোখ যতদুর যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, একর প্রতি সরিষা আবাদে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তারা আশা করছেন, প্রতি একরে সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ। মৌসুমের সময় দাম কিছুটা কম থাকলেও প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে মজুদ করে রেখে বছরের শেষে বিক্রি করলে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা যায় বলে জানান কৃষকেরা। এ ছাড়া সরিষা আবাদ উঠে গেলে ওই জমিতে সরিষা গাছের আগাছা মাটিতে পড়ে প্রচুর জৈব সার তৈরি হয়। ফলে পরবর্তীতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ অনেক কম লাগে। সরিষার খড়ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার ধলা গ্রামের মো. রহুল মিয়া জানান, আমরা আমন আবাদের পর কয়েক মাস পরে থাকা জমিতে এই সরিষার আবাদ করে বাড়তি আয় করি। এবার সোয়া একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এ সরিষা উঠিয়ে বোরোর আবাদ করতে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবো।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের সরিষা চাষি মাহবুবুর রহমান জানান, সরিষা আবাদ খুবই লাভজনক বিধায় এবারও আমি তিন একর জমিতে চাষ করেছি। আশা করছি এবারও বাম্পার ফলন হবে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. মোহিত কুমার দে জানান, সরকার প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রান্তিক চাষিদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করেছে। প্রণোদনার আওতায় এবার জেলায় মোট ছয় হাজার কৃষককে ছয় হাজার বিঘা জমির জন্য বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বেশ ভালো ফলনের আশা করছি।
শেরপুরে মাঠে মাঠে এখন সরিষা ফুল। কৃষকেরা আমন ধানের আবাদ ঘরে তোলার পরপরই মাঠে সরিষা বুনেছেন। ফলন ভালো হওয়া এখন বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলায়ই সরিষার আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলা এবং নকলা উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরের মধ্যে এবার সরিষার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। দিন দিন জেলায় সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরাও ঝুঁকছে সরিষা আবাদে। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে।
আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাত হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ওই বছর দেশে করোনাকালীন নানা সমস্যা এবং চরাঞ্চলে বন্যা ও বৃষ্টির পানি দেরিতে নেমে যাওয়ায় অনেকেই আবাদই করতে পারেনি। চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবং ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, ধলা, চরমুচারিয়া, চরপক্ষীমারী, লছমনপুর, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠে দুচোখ যতদুর যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, একর প্রতি সরিষা আবাদে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তারা আশা করছেন, প্রতি একরে সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ। মৌসুমের সময় দাম কিছুটা কম থাকলেও প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে মজুদ করে রেখে বছরের শেষে বিক্রি করলে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা যায় বলে জানান কৃষকেরা। এ ছাড়া সরিষা আবাদ উঠে গেলে ওই জমিতে সরিষা গাছের আগাছা মাটিতে পড়ে প্রচুর জৈব সার তৈরি হয়। ফলে পরবর্তীতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ অনেক কম লাগে। সরিষার খড়ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কৃষকেরা।
সদর উপজেলার ধলা গ্রামের মো. রহুল মিয়া জানান, আমরা আমন আবাদের পর কয়েক মাস পরে থাকা জমিতে এই সরিষার আবাদ করে বাড়তি আয় করি। এবার সোয়া একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এ সরিষা উঠিয়ে বোরোর আবাদ করতে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবো।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের সরিষা চাষি মাহবুবুর রহমান জানান, সরিষা আবাদ খুবই লাভজনক বিধায় এবারও আমি তিন একর জমিতে চাষ করেছি। আশা করছি এবারও বাম্পার ফলন হবে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. মোহিত কুমার দে জানান, সরকার প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রান্তিক চাষিদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করেছে। প্রণোদনার আওতায় এবার জেলায় মোট ছয় হাজার কৃষককে ছয় হাজার বিঘা জমির জন্য বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বেশ ভালো ফলনের আশা করছি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪