Ajker Patrika

সরিষার বাম্পার ফলনে লাভের আশা কৃষকের

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৫২
সরিষার বাম্পার ফলনে লাভের আশা কৃষকের

শেরপুরে মাঠে মাঠে এখন সরিষা ফুল। কৃষকেরা আমন ধানের আবাদ ঘরে তোলার পরপরই মাঠে সরিষা বুনেছেন। ফলন ভালো হওয়া এখন বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলায়ই সরিষার আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলা এবং নকলা উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষার আবাদ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছরের মধ্যে এবার সরিষার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। দিন দিন জেলায় সরিষার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরাও ঝুঁকছে সরিষা আবাদে। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩৪২ হেক্টর জমিতে।

আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাত হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। ওই বছর দেশে করোনাকালীন নানা সমস্যা এবং চরাঞ্চলে বন্যা ও বৃষ্টির পানি দেরিতে নেমে যাওয়ায় অনেকেই আবাদই করতে পারেনি। চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে এবং ইতিমধ্যে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে।

সরেজমিনে সদর উপজেলার চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, ধলা, চরমুচারিয়া, চরপক্ষীমারী, লছমনপুর, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠে দুচোখ যতদুর যায় শুধু হলুদ আর হলুদ।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, একর প্রতি সরিষা আবাদে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। তারা আশা করছেন, প্রতি একরে সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ। মৌসুমের সময় দাম কিছুটা কম থাকলেও প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যায় ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।

তবে মজুদ করে রেখে বছরের শেষে বিক্রি করলে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা যায় বলে জানান কৃষকেরা। এ ছাড়া সরিষা আবাদ উঠে গেলে ওই জমিতে সরিষা গাছের আগাছা মাটিতে পড়ে প্রচুর জৈব সার তৈরি হয়। ফলে পরবর্তীতে বোরো আবাদে সারের পরিমাণ অনেক কম লাগে। সরিষার খড়ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কৃষকেরা।

সদর উপজেলার ধলা গ্রামের মো. রহুল মিয়া জানান, আমরা আমন আবাদের পর কয়েক মাস পরে থাকা জমিতে এই সরিষার আবাদ করে বাড়তি আয় করি। এবার সোয়া একর জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এ সরিষা উঠিয়ে বোরোর আবাদ করতে অর্থনৈতিক সুবিধা পাবো।

নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের সরিষা চাষি মাহবুবুর রহমান জানান, সরিষা আবাদ খুবই লাভজনক বিধায় এবারও আমি তিন একর জমিতে চাষ করেছি। আশা করছি এবারও বাম্পার ফলন হবে।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. মোহিত কুমার দে জানান, সরকার প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রান্তিক চাষিদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করেছে। প্রণোদনার আওতায় এবার জেলায় মোট ছয় হাজার কৃষককে ছয় হাজার বিঘা জমির জন্য বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বেশ ভালো ফলনের আশা করছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

কোটি টাকা ‘ভর্তুকি’র জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ যা পেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত