এ আর চন্দন, ঢাকা
‘মেঘনা দুস্তর বাধার মতো দাঁড়িয়ে আছে মিত্রবাহিনীর জন্য। হেলিকপ্টার দিয়ে মিত্রবাহিনী পেরুলো মেঘনা। হাজার হাজার গ্রামবাসী ছুটে এলেন। রাশিয়ান ট্যাংকে কাছি দিয়ে বেঁধে টেনে তুললেন ওপারে। এদিকে বিমান আক্রমণে রেডিওর ঢাকা কেন্দ্র স্তব্ধ। স্টিমারে করে পাকবাহিনী বঙ্গোপসাগর দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লো। পাকিস্তানের বাণিজ্য জাহাজও আক্রান্ত হলো।’ একাত্তরের ১০ ডিসেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কবি আসাদ চৌধুরীর ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে।
ভারতীয় বিমান হামলায় এদিন চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অচল হয়ে পড়ে। পাকিস্তানি সেনারা কয়েকটি জাহাজে করে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ে। রণাঙ্গনে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল তত দিনে এতটাই ভেঙে পড়েছিল যে খোদ
লে. জেনারেল নিয়াজিও পালানোর পাঁয়তারা করছিলেন। বিবিসি তা ফাঁস করে দিলে নিয়াজি দুর্বলতা ঢাকার জন্য এদিন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে হাজির হয়ে দম্ভভরে বলেছিলেন, ‘কোথায় বিদেশি সাংবাদিকেরা, আমি তাদের জানাতে চাই, আমি কখনো আমার সেনাবাহিনীকে ছেড়ে যাব না।’
এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দিল্লিতে এক ভাষণে বলেন, ‘শত্রুরা এক ধর্মীয় যুদ্ধের মিথ্যা ও সর্বনাশা জিকির তুলেছে। বাংলাদেশের মানুষ বেশির ভাগই মুসলমান এবং তারা ইসলামাবাদের সামরিক শাসকদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজয় শুধু তখনই সম্ভব হবে, যখন বাংলাদেশ সরকার কায়েম হবে এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত ১ কোটি শরণার্থী নিজেদের ভিটায় ফিরে যেতে পারবে।’ (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, দ্বাদশ খণ্ড)
একাত্তরের এই দিন রাজধানী ছাড়া দেশের বেশির ভাগ এলাকা শত্রুমুক্ত হয়ে যায়। বাংলার দামাল ছেলেরা এদিন হানাদারদের পর্যুদস্ত করে ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, ভোলা, গাইবান্ধা ও নড়াইল মুক্ত করে। যৌথ বাহিনী ঢাকায় চূড়ান্ত হামলা চালিয়ে শত্রুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার লক্ষ্যে এগোতে থাকে। ঢাকায়ও বোমা-রকেট ছুড়ে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয় কুর্মিটোলা বিমানবন্দর। এদিন খবর পাওয়া গেল, রংপুর ও সৈয়দপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনারা ফুলছড়ি ঘাট ফেরি পার হয়ে ঢাকার দিকে পশ্চাদপসরণের চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে যৌথ বাহিনী এগিয়ে গিয়ে ফুলছড়ি ঘাট নিয়ন্ত্রণে নেয়। (সূত্র: লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে)
পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে ফরমান আলীর পরিকল্পনায় পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সূচনা করা হয়। এদিন শেষ রাতে রাজধানীর চামেলীবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে প্রখ্যাত সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় ধরে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। আর ফিরে আসেননি তিনি। লাশও পাওয়া যায়নি। তখনকার পিপিআইয়ের চিফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককেও একই সময়ে তাঁর বাসভবন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও আর ফেরেননি।
‘মেঘনা দুস্তর বাধার মতো দাঁড়িয়ে আছে মিত্রবাহিনীর জন্য। হেলিকপ্টার দিয়ে মিত্রবাহিনী পেরুলো মেঘনা। হাজার হাজার গ্রামবাসী ছুটে এলেন। রাশিয়ান ট্যাংকে কাছি দিয়ে বেঁধে টেনে তুললেন ওপারে। এদিকে বিমান আক্রমণে রেডিওর ঢাকা কেন্দ্র স্তব্ধ। স্টিমারে করে পাকবাহিনী বঙ্গোপসাগর দিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লো। পাকিস্তানের বাণিজ্য জাহাজও আক্রান্ত হলো।’ একাত্তরের ১০ ডিসেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত কবি আসাদ চৌধুরীর ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক গ্রন্থে।
ভারতীয় বিমান হামলায় এদিন চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অচল হয়ে পড়ে। পাকিস্তানি সেনারা কয়েকটি জাহাজে করে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়ে। রণাঙ্গনে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল তত দিনে এতটাই ভেঙে পড়েছিল যে খোদ
লে. জেনারেল নিয়াজিও পালানোর পাঁয়তারা করছিলেন। বিবিসি তা ফাঁস করে দিলে নিয়াজি দুর্বলতা ঢাকার জন্য এদিন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে হাজির হয়ে দম্ভভরে বলেছিলেন, ‘কোথায় বিদেশি সাংবাদিকেরা, আমি তাদের জানাতে চাই, আমি কখনো আমার সেনাবাহিনীকে ছেড়ে যাব না।’
এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দিল্লিতে এক ভাষণে বলেন, ‘শত্রুরা এক ধর্মীয় যুদ্ধের মিথ্যা ও সর্বনাশা জিকির তুলেছে। বাংলাদেশের মানুষ বেশির ভাগই মুসলমান এবং তারা ইসলামাবাদের সামরিক শাসকদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজয় শুধু তখনই সম্ভব হবে, যখন বাংলাদেশ সরকার কায়েম হবে এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত ১ কোটি শরণার্থী নিজেদের ভিটায় ফিরে যেতে পারবে।’ (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, দ্বাদশ খণ্ড)
একাত্তরের এই দিন রাজধানী ছাড়া দেশের বেশির ভাগ এলাকা শত্রুমুক্ত হয়ে যায়। বাংলার দামাল ছেলেরা এদিন হানাদারদের পর্যুদস্ত করে ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, ভোলা, গাইবান্ধা ও নড়াইল মুক্ত করে। যৌথ বাহিনী ঢাকায় চূড়ান্ত হামলা চালিয়ে শত্রুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার লক্ষ্যে এগোতে থাকে। ঢাকায়ও বোমা-রকেট ছুড়ে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয় কুর্মিটোলা বিমানবন্দর। এদিন খবর পাওয়া গেল, রংপুর ও সৈয়দপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনারা ফুলছড়ি ঘাট ফেরি পার হয়ে ঢাকার দিকে পশ্চাদপসরণের চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে যৌথ বাহিনী এগিয়ে গিয়ে ফুলছড়ি ঘাট নিয়ন্ত্রণে নেয়। (সূত্র: লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে)
পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে ফরমান আলীর পরিকল্পনায় পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সূচনা করা হয়। এদিন শেষ রাতে রাজধানীর চামেলীবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে প্রখ্যাত সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে আলবদর বাহিনীর সহযোগিতায় ধরে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। আর ফিরে আসেননি তিনি। লাশও পাওয়া যায়নি। তখনকার পিপিআইয়ের চিফ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককেও একই সময়ে তাঁর বাসভবন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনিও আর ফেরেননি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫