Ajker Patrika

তদন্ত ঘুরপাক ১৬ বছর আগের হত্যা মামলায়

গনেশ দাস, বগুড়া
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ১৩
তদন্ত ঘুরপাক ১৬ বছর আগের হত্যা মামলায়

বগুড়ায় ‘বাবা হুজুর’ নামে পরিচিত মোজাফ্ফর হোসেন (৬০) হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই দেড় বছরেও। তদন্তভার শাজাহানপুর থানা-পুলিশের হাত ঘুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে গেলেও তদন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে ১৬ বছর আগের একটি হত্যা মামলা ঘিরে। ওই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, মোজাফ্ফর হোসেনের খুনিদের শনাক্ত করতে না পারায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার সুকাশ (নওদাপাড়া) গ্রামের মৃত সায়েদ আলী মণ্ডলের ছেলে মোজাফ্ফর হোসেন ওরফে বাবা হুজুর। ২০১২ সাল থেকে বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে বাস করতেন। সেখানে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসা ছিল তাঁর আধ্যাত্মিক সাধনার আস্তানা। এর আগে তিনি বিভিন্ন মাদ্রাসায় চাকরি করেছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী থাকতেন সুকাশ গ্রামে।

গত বছরের ৪ মে সুকাশ গ্রাম থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বগুড়া শহরের উদ্দেশে বের হন বাবা হুজুর। অটোরিকশায় তিনিসহ ছিলেন পাঁচজন যাত্রী। শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া কৃষি কলেজের সামনে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত অটোরিকশাটির পথরোধ করে। ‘বাবা হুজুরকে লক্ষ্য করে একজন রিভলবার দিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি করে দ্রুত নন্দীগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর অটোরিকশাচালক ও দুজন যাত্রী তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

‘বাবা হুজুর’ খুনের ঘটনায় তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন। থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় সহকারী হাফেজ মাহবুব ও সুকাশ গ্রামের আল আমিন নামের এক যুবককে। পরে হাফেজ মাহবুবকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আল আমিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আল আমিন তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে গ্রাম থেকে অন্যত্র চলে যান। এরপর থানার পুলিশ কোনো ক্লু না পাওয়ায় বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআই বগুড়াকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাবা হুজুরের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, গ্রামের বাড়িতে মসজিদের ১৩ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ২০০৬ সালে তাঁদের ভগ্নিপতি হবিবর রহমান প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। বাবা হুজুর ছিলেন ওই হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী। সেই মামলা বর্তমানে নাটোর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার ১৫ দিন আগে বাবা হুজুর খুন হন। তিনি দাবি করেন, ভগ্নিপতি খুনের মামলার জেরেই তাঁর ভাইকেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে।

মামলাটির বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মালেক বলেন, বাবা হুজুরের গ্রামে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু খুনের কোনো কারণ পাওয়া যাচ্ছে না। আল আমিন বর্তমানে জামিনে আছেন। আর এসব কারণে মামলাটির তদন্তে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদালতের বিচারকাজে বাধা দেওয়ায় আইনজীবীর দণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে গেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

আ. লীগের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিদের বিএনপির সদস্য হতে বাধা নেই: রিজভী

১৫ স্থাপনায় পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আকাশেই ধ্বংসের দাবি ভারতের

লাহোরে পাল্টা আঘাত হেনে পাকিস্তানকে জবাব দিল ভারত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত