Ajker Patrika

মুলাদীতে খালে পানিসংকট বোরো চাষ ব্যাহত

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০২
মুলাদীতে খালে পানিসংকট বোরো চাষ ব্যাহত

মুলাদীতে উপজেলার বিভিন্ন খালে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে কৃষক ও সেচ ব্যবস্থাপনার কাজে জড়িতরা বিপাকে পড়েছেন। বেশির ভাগ সময় জোয়ার-ভাটা হিসাবে করে সেচকাজ করতে হচ্ছে।

শুকনো মৌসুমে বোরো চাষের জন্য সেচের প্রয়োজন হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বড় নদীতে পাম্প বসানো সম্ভব হয় না। তাই খেতে সেচের জন্য কৃষক ও সেচব্যবস্থাপকেরা খালের ওপর নির্ভরশীল। ছোট খালগুলোতে শীত মৌসুমে পানিসংকট দেখা দেয়। ফলে বোরো চাষ শুরু করে কৃষকদের বিপাকে পড়তে হয়। কেউ কেউ নিজ খরচে খাল কেটে পানি চলাচল কিছুটা সহজ করে নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্র জানায়, বিদ্যুতের সেচ পাম্প ও ডিজেলচালিত পাম্প মিলিয়ে প্রায় ৬২টি ইরি ও বোরো চাষের স্থান (ব্লক) রয়েছে উপজেলায়। এসব ব্লকের অধীনে ১ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে ইরি ও বোরো চাষ হচ্ছে।

উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সেচব্যবস্থাপক মো. রুবেল ব্যাপারী জানান, বানীমর্দন লঞ্চঘাট থেকে বোয়ালিয়া গ্রাম হয়ে বাটামারা জয়ন্তী নদী পর্যন্ত একটি খাল রয়েছে। একই খালের একটি শাখা সফিপুর লঞ্চঘাট এলাকা পর্যন্ত গেছে। খালটির ওপর নির্ভর করে ছয়টি বিলে ইরি ও বোরো চাষ করা হয়। কিন্তু খালটিতে সবসময় পানি পাওয়া যায় না।

রুবেল ব্যাপারী আরও জানান, তাঁর ব্লকে প্রায় ২৮ একর জমিতে ইরি চাষ হচ্ছে। কিন্তু পানিসংকটে জোয়ার-ভাটা হিসাবে করে মর্টার চালাতে হয়। পানি পাওয়ার সুবিধার্থে নিজ উদ্যোগে প্রায় ২০০ ফুট খাল খনন করে নিয়েছেন।

পৌর এলাকার চরডিক্রী গ্রামের সেচব্যবস্থাপক কাওসার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘নয়াভাঙনী খালের ওপর নির্ভর করে প্রায় ২৫ একর জমিতে ইরি চাষ শুরু হয়েছে। খালটিতে পানিসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

সফিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করে খাল খননের বরাদ্দ করা হয়। ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ না করায় বর্ষার এক মৌসুমে খাল ভরাট হয়ে যায়। এতে সেচ ব্যাহত হচ্ছে।

মুলাদী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আশিস কুমার দাস বলেন, ‘পানি নিষ্কাশন এবং সেচ সুবিধার্থে খালগুলো খনন ও পুনর্খনন করা হয়। খালের পানিসংকটের বিষয়টি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. অহিদুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে কম খরচে সেচ পাম্প ভাড়া দিয়ে কৃষক ও সেচব্যবস্থাপকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এতে উপজেলায় ইরি ও বোরো চাষ বেড়েছে। তবে কোথাও পানিসংকটে সেচ ব্যাহত হলে এলজিইডির মাধ্যমে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফোন-ইন্টারনেট ভাতা পাচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের সব কর্মচারী

এস আলমের জামাতার পেটে ৩৭৪৫ কোটি টাকা

ভাড়া বাড়িতে চলা ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

পিপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ৪৯ জন সহকারী পিপির

জোবাইদার নিরাপত্তার নামে প্রতিবেশীদের বিরক্ত না করার নির্দেশ তারেক রহমানের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত