Ajker Patrika

বাঘায় জমজমাট পাটের হাট

বাঘা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ২৯
বাঘায় জমজমাট পাটের হাট

রাজশাহীর বাঘায় জমে উঠেছে শতবর্ষী পাটের হাট। উপজেলার শত বছরের প্রাচীন দিঘা হাট পাট বিক্রির জন্য সুপরিচিত। মৌসুম এলেই যেন এই হাটে পাট বাজারজাতকরণ জমে ওঠে। চলতি মৌসুমেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। জেলার চার উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে উৎপাদিত ও আশপাশের জেলার পাট বাজারজাতকরণ হচ্ছে এ হাটে।

বাজারে ভালো দাম থাকায় উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। উৎপাদন খরচ বাদে মণপ্রতি পাটে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে কৃষকদের। এমন দাম থাকলে ভবিষ্যতে পাটের আবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বড়াল নদের শাখা মৃতপ্রায় চন্দনা নদীর তীরে জেলার ২০০ বছরের বেশি প্রাচীন দিঘার পাটের হাট ছেয়ে গেছে বিক্রি উপযোগী নানা অঞ্চল থেকে আসা সোনালি আঁশে। কৃষক-পাইকার-ক্রেতাদের হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে বেচাকেনা। সপ্তাহে প্রতি রোববার আর বুধবারে হাট বসে। বর্তমানে প্রতি হাটে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার মণ পাট কেনাবেচা হচ্ছে।

রাজশাহী জেলার চারঘাট, বানেশ্বর ও পুঠিয়া এবং নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া ও লালপুরসহ এ অঞ্চলের উৎপাদিত পাট কেনাবেচা হয় এই হাটে। হাটবারে ভোর থেকে শুরু হয় বেচাকেনা। গত কয়েক বছর ধরে পাটের দর কম থাকলেও গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়েছেন পাটচাষি ও ব্যবসায়ীরা। এবারও বেড়েছে পাটের চাহিদা ও দাম।

মণপ্রতি কৃষকদের খরচ হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকদের। বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পারায় খুশি তারা।

হাটের কৃষক-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে পাট। এবার প্রতি মণে তুলনামূলক বেড়েছে হাজারের বেশি টাকা।

রুস্তম আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, এ বছর এক একর জমিতে পাট লাগিয়েছেন তিনি। তাঁর ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন। আরও কিছু পাট আছে।

উপজেলার দিঘা হাট কমিটির সভাপতি ফজলুর রশিদ বলেন, দিঘার হাটে এ বছর আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার মণ পাটের কেনাবেচা হতে পারে। গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ ট্রাক পাট দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলায় ৩ হাজার ৭ শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পাট। নিজ উপজেলাসহ আশপাশের জেলায় এ বছর পাটের আবাদ ও উৎপাদন ভালো হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকেরাও খুশি। উপজেলায় দিঘা পাটের হাট এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পাটের হাট হিসেবে খ্যাত। পাটের বাজার সম্প্রসারণে সরকার থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাট থেকে তৈরি চটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে পাটের ব্যবহার বাড়বে, ব্যবহার বাড়লে বাজারমূল্যও বাড়বে। বাজারমূল্য বাড়লে কৃষকেরা লাভবান হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পুরোনো রাউটার ফেলে না দিয়ে যে কাজে ব্যবহার করতে পারেন

পাকিস্তানের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার সামনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে ভারত: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

কী লিখেছিলেন মাহফুজ আলম, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ডিলিট করলেন কেন

প্রশাসনিক আদেশে জামায়াত নিষিদ্ধ ভুল, আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধ সঠিক: বিএনপি

প্রথম ভাষণে গাজা প্রসঙ্গে যা বললেন পোপ লিও চতুর্দশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত