বাঘা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় জমে উঠেছে শতবর্ষী পাটের হাট। উপজেলার শত বছরের প্রাচীন দিঘা হাট পাট বিক্রির জন্য সুপরিচিত। মৌসুম এলেই যেন এই হাটে পাট বাজারজাতকরণ জমে ওঠে। চলতি মৌসুমেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। জেলার চার উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে উৎপাদিত ও আশপাশের জেলার পাট বাজারজাতকরণ হচ্ছে এ হাটে।
বাজারে ভালো দাম থাকায় উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। উৎপাদন খরচ বাদে মণপ্রতি পাটে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে কৃষকদের। এমন দাম থাকলে ভবিষ্যতে পাটের আবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বড়াল নদের শাখা মৃতপ্রায় চন্দনা নদীর তীরে জেলার ২০০ বছরের বেশি প্রাচীন দিঘার পাটের হাট ছেয়ে গেছে বিক্রি উপযোগী নানা অঞ্চল থেকে আসা সোনালি আঁশে। কৃষক-পাইকার-ক্রেতাদের হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে বেচাকেনা। সপ্তাহে প্রতি রোববার আর বুধবারে হাট বসে। বর্তমানে প্রতি হাটে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার মণ পাট কেনাবেচা হচ্ছে।
রাজশাহী জেলার চারঘাট, বানেশ্বর ও পুঠিয়া এবং নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া ও লালপুরসহ এ অঞ্চলের উৎপাদিত পাট কেনাবেচা হয় এই হাটে। হাটবারে ভোর থেকে শুরু হয় বেচাকেনা। গত কয়েক বছর ধরে পাটের দর কম থাকলেও গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়েছেন পাটচাষি ও ব্যবসায়ীরা। এবারও বেড়েছে পাটের চাহিদা ও দাম।
মণপ্রতি কৃষকদের খরচ হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকদের। বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পারায় খুশি তারা।
হাটের কৃষক-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে পাট। এবার প্রতি মণে তুলনামূলক বেড়েছে হাজারের বেশি টাকা।
রুস্তম আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, এ বছর এক একর জমিতে পাট লাগিয়েছেন তিনি। তাঁর ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন। আরও কিছু পাট আছে।
উপজেলার দিঘা হাট কমিটির সভাপতি ফজলুর রশিদ বলেন, দিঘার হাটে এ বছর আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার মণ পাটের কেনাবেচা হতে পারে। গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ ট্রাক পাট দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলায় ৩ হাজার ৭ শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পাট। নিজ উপজেলাসহ আশপাশের জেলায় এ বছর পাটের আবাদ ও উৎপাদন ভালো হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকেরাও খুশি। উপজেলায় দিঘা পাটের হাট এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পাটের হাট হিসেবে খ্যাত। পাটের বাজার সম্প্রসারণে সরকার থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাট থেকে তৈরি চটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে পাটের ব্যবহার বাড়বে, ব্যবহার বাড়লে বাজারমূল্যও বাড়বে। বাজারমূল্য বাড়লে কৃষকেরা লাভবান হবে।
রাজশাহীর বাঘায় জমে উঠেছে শতবর্ষী পাটের হাট। উপজেলার শত বছরের প্রাচীন দিঘা হাট পাট বিক্রির জন্য সুপরিচিত। মৌসুম এলেই যেন এই হাটে পাট বাজারজাতকরণ জমে ওঠে। চলতি মৌসুমেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। জেলার চার উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে উৎপাদিত ও আশপাশের জেলার পাট বাজারজাতকরণ হচ্ছে এ হাটে।
বাজারে ভালো দাম থাকায় উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। উৎপাদন খরচ বাদে মণপ্রতি পাটে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হচ্ছে কৃষকদের। এমন দাম থাকলে ভবিষ্যতে পাটের আবাদ বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বড়াল নদের শাখা মৃতপ্রায় চন্দনা নদীর তীরে জেলার ২০০ বছরের বেশি প্রাচীন দিঘার পাটের হাট ছেয়ে গেছে বিক্রি উপযোগী নানা অঞ্চল থেকে আসা সোনালি আঁশে। কৃষক-পাইকার-ক্রেতাদের হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে বেচাকেনা। সপ্তাহে প্রতি রোববার আর বুধবারে হাট বসে। বর্তমানে প্রতি হাটে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার মণ পাট কেনাবেচা হচ্ছে।
রাজশাহী জেলার চারঘাট, বানেশ্বর ও পুঠিয়া এবং নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া ও লালপুরসহ এ অঞ্চলের উৎপাদিত পাট কেনাবেচা হয় এই হাটে। হাটবারে ভোর থেকে শুরু হয় বেচাকেনা। গত কয়েক বছর ধরে পাটের দর কম থাকলেও গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়েছেন পাটচাষি ও ব্যবসায়ীরা। এবারও বেড়েছে পাটের চাহিদা ও দাম।
মণপ্রতি কৃষকদের খরচ হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। পাট বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকদের। বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পারায় খুশি তারা।
হাটের কৃষক-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে পাট। এবার প্রতি মণে তুলনামূলক বেড়েছে হাজারের বেশি টাকা।
রুস্তম আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, এ বছর এক একর জমিতে পাট লাগিয়েছেন তিনি। তাঁর ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছেন। আরও কিছু পাট আছে।
উপজেলার দিঘা হাট কমিটির সভাপতি ফজলুর রশিদ বলেন, দিঘার হাটে এ বছর আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার মণ পাটের কেনাবেচা হতে পারে। গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ ট্রাক পাট দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ বলেন, উপজেলায় ৩ হাজার ৭ শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে পাট। নিজ উপজেলাসহ আশপাশের জেলায় এ বছর পাটের আবাদ ও উৎপাদন ভালো হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকেরাও খুশি। উপজেলায় দিঘা পাটের হাট এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পাটের হাট হিসেবে খ্যাত। পাটের বাজার সম্প্রসারণে সরকার থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাট থেকে তৈরি চটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে পাটের ব্যবহার বাড়বে, ব্যবহার বাড়লে বাজারমূল্যও বাড়বে। বাজারমূল্য বাড়লে কৃষকেরা লাভবান হবে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৪ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৪ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫