জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে পড়ার সুবিধাসহ বাসায় নিয়ে পড়ার সুবিধা থাকায় পাঠকদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। তবে লাইব্রেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে পাঠকেরা আরও উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সূত্রে জানা গেছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় জেলায় একটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গত ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে পাঠকদের সেবা দিয়ে আসছে। একটি মিনিট্রাকে স্থাপিত এ লাইব্রেরি বর্তমানে জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার ৪৭টি স্পটে যাচ্ছে। প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি ছয় দিন রুটিন অনুযায়ী জেলার ৪৭টি স্থানে এ লাইব্রেরি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বই পাঠের জন্য সেবা দিয়ে আসছে।
এ লাইব্রেরি প্রতি শুক্রবার, সোম ও বুধবার শেরপুর সদর উপজেলা, শনিবার নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর ও তিনআনী বাজার এলাকা, রোববার নকলা উপজেলা এবং বৃহস্পতিবার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নির্ধারিত স্পটে অবস্থান করে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত বছরের নভেম্বর থেকে আবারও চালু করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক, গত ছয় মাস আগে এ লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা ছিল এক হাজার ১০৯ জন। বর্তমানে পাঠক সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪০৯ জন। প্রতি মাসেই পাঠক সংখ্যা গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন করে বাড়ছে।
লাইব্রেরিতে চার ধরনের সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ, বিশেষ, অগ্রবর্তী ও বিশেষ অগ্রবর্তী সদস্য।
এসব সদস্য হওয়ার জন্য ক্যাটাগরিভেদে ১০০ থেকে ৮০০ টাকা হারে ফেরতযোগ্য জামানতসহ প্রতি মাসের ফি বাবদ ১০ টাকা হারে ছয় মাসের ৬০ টাকা জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সদস্য হতে হয়।
এরপর সদস্যরা নিজ নিজ পছন্দের বই প্রথমে সাত দিনের জন্য বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। পরবর্তী সপ্তাহে আগের বই ফেরত দিয়ে আবার নতুন করে বই নেওয়া যায়। তবে কেউ যদি এক সপ্তাহে কোন বই পড়ে শেষ করতে না পারেন, তবে তা ফের অনুমতি নিয়ে আরও কয়েক দিন নিজের কাছে রাখতে পারেন।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য শিক্ষার্থী তাসফিয়া নারজিস ফাইজা, মরিয়ম আক্তার মীম, আবরার মুহতাসিন, তৌসিফ আহনাদ, মাহফিয়া বিনতে হাসানসহ কয়েকজন পাঠক জানায়, এ লাইব্রেরিতে বিভিন্ন রকমের বই রয়েছে। পাঠ্যবই পড়ার ফাঁকে অবসরে তারা এখান থেকে তাদের পছন্দমতো বই বাড়িতে নিয়ে পড়েন।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শেরপুর ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজে আলোকিত মানুষ বেরিয়ে আসবে-এ প্রত্যাশা আমাদের। দিন দিন লাইব্রেরিতে পাঠক সংখ্যা বাড়ছে, এটি অবশ্যই খুশির বিষয়।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক মো. সাজ্জাদুল করিম বলেন, শিশু-কিশোরদের বই পাঠে আগ্রহী করতে সৃজনশীল বই পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসন, শিক্ষা অফিস ও গণগ্রন্থাগারের সম্মিলিত প্রয়াসে নিয়মিত বই পড়া কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হলে আগামী প্রজন্ম কাগজের বই পড়ার প্রতি আরও উৎসাহিত হবে।
শেরপুরে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াচ্ছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে পড়ার সুবিধাসহ বাসায় নিয়ে পড়ার সুবিধা থাকায় পাঠকদের কাছে দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। তবে লাইব্রেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে পাঠকেরা আরও উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি সূত্রে জানা গেছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পের আওতায় জেলায় একটি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি গত ২০১৯ সালের জুন মাস থেকে পাঠকদের সেবা দিয়ে আসছে। একটি মিনিট্রাকে স্থাপিত এ লাইব্রেরি বর্তমানে জেলা সদরসহ পাঁচ উপজেলার ৪৭টি স্পটে যাচ্ছে। প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া বাকি ছয় দিন রুটিন অনুযায়ী জেলার ৪৭টি স্থানে এ লাইব্রেরি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বই পাঠের জন্য সেবা দিয়ে আসছে।
এ লাইব্রেরি প্রতি শুক্রবার, সোম ও বুধবার শেরপুর সদর উপজেলা, শনিবার নালিতাবাড়ী উপজেলা সদর ও তিনআনী বাজার এলাকা, রোববার নকলা উপজেলা এবং বৃহস্পতিবার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নির্ধারিত স্পটে অবস্থান করে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন এ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত বছরের নভেম্বর থেকে আবারও চালু করা হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মোতাবেক, গত ছয় মাস আগে এ লাইব্রেরির পাঠক সংখ্যা ছিল এক হাজার ১০৯ জন। বর্তমানে পাঠক সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪০৯ জন। প্রতি মাসেই পাঠক সংখ্যা গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন করে বাড়ছে।
লাইব্রেরিতে চার ধরনের সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ, বিশেষ, অগ্রবর্তী ও বিশেষ অগ্রবর্তী সদস্য।
এসব সদস্য হওয়ার জন্য ক্যাটাগরিভেদে ১০০ থেকে ৮০০ টাকা হারে ফেরতযোগ্য জামানতসহ প্রতি মাসের ফি বাবদ ১০ টাকা হারে ছয় মাসের ৬০ টাকা জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সদস্য হতে হয়।
এরপর সদস্যরা নিজ নিজ পছন্দের বই প্রথমে সাত দিনের জন্য বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। পরবর্তী সপ্তাহে আগের বই ফেরত দিয়ে আবার নতুন করে বই নেওয়া যায়। তবে কেউ যদি এক সপ্তাহে কোন বই পড়ে শেষ করতে না পারেন, তবে তা ফের অনুমতি নিয়ে আরও কয়েক দিন নিজের কাছে রাখতে পারেন।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির সদস্য শিক্ষার্থী তাসফিয়া নারজিস ফাইজা, মরিয়ম আক্তার মীম, আবরার মুহতাসিন, তৌসিফ আহনাদ, মাহফিয়া বিনতে হাসানসহ কয়েকজন পাঠক জানায়, এ লাইব্রেরিতে বিভিন্ন রকমের বই রয়েছে। পাঠ্যবই পড়ার ফাঁকে অবসরে তারা এখান থেকে তাদের পছন্দমতো বই বাড়িতে নিয়ে পড়েন।
ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির শেরপুর ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিই আমাদের মূল লক্ষ্য। বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের সমাজে আলোকিত মানুষ বেরিয়ে আসবে-এ প্রত্যাশা আমাদের। দিন দিন লাইব্রেরিতে পাঠক সংখ্যা বাড়ছে, এটি অবশ্যই খুশির বিষয়।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক মো. সাজ্জাদুল করিম বলেন, শিশু-কিশোরদের বই পাঠে আগ্রহী করতে সৃজনশীল বই পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করা ও তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসন, শিক্ষা অফিস ও গণগ্রন্থাগারের সম্মিলিত প্রয়াসে নিয়মিত বই পড়া কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হলে আগামী প্রজন্ম কাগজের বই পড়ার প্রতি আরও উৎসাহিত হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫