Ajker Patrika

পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ে দায় নেই কারও

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৬
পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ে দায় নেই কারও

ফরিদপুরে দুই হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা, লকডাউন বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, ও তরুণীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ের মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বছর। এসব ঘটনার মধ্যে তরুণীর পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই ও এর তদন্ত প্রতিবেদন ছিল আলোচনার শীর্ষে।

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনিরা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণীর পেটে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি রেখেই সেলাই করেন চিকিৎসকেরা। পরে সেলাইয়ের প্রায় দুই বছর পর চিকিৎসকের রেখে দেওয়া কাঁচিটি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার। এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা।

এ ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ২০ ডিসেম্বর হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।

হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান তখন জানান, এ ঘটনার জন্য কে দায়ী তা সুনির্দিষ্টভাবে ওই প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়নি। কিংবা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয়নি।

পরিচালক আরও জানান, বিদেশি কয়েকটি নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে এ জাতীয় ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচারের সময় অধিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।

ওই তদন্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসান। গাইনি বিভাগের অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের মো. কামরুজ্জামান ছিলেন সদস্য।

অস্ত্রোপচার করে কাঁচি বের করা সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কাঁচিটি প্রায় দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হন। কাঁচিটি দীর্ঘদিন ধরে থাকার কারণে মনিরা খাতুনের পেটের নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তাঁর কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরা খাতুনের সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা নিয়ে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ তদন্ত কমিটি কাউকে অভিযুক্ত না করেই প্রতিবেদন দাখিল করে। কাউকে অভিযুক্ত না করেই প্রতিবেদন দেওয়ার ঘটনা নিয়েও সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

ভুক্তভোগী মনিরা খাতুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ঝুটিগ্রামের বাসিন্দা খাইরুল মিয়ার মেয়ে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে তিনি ভর্তি হন। সাত দিন পর তাঁর অপারেশন করা হয়। এ সময় মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত