Ajker Patrika

ঝুঁকিতে তিন বিপণিবিতান

খান রফিক, বরিশাল
আপডেট : ০৭ জুন ২০২২, ১০: ১৪
ঝুঁকিতে তিন বিপণিবিতান

বরিশাল নগরে ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়ের বিপরীতেই গড়ে উঠেছে গরিবের বাজারখ্যাত পোশাকের হাজি মো. মহসিন বিপণিবিতান। এ মার্কেটে তিন শতাধিক ছোট-বড় দোকান রয়েছে। গায়ে গায়ে লেগে থাকা দোকানগুলোর কোনোটা কাঠের, আবার কোনোটা টিনশেডের। এ মার্কেটে নেই তেমন একটা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

ফায়ার সার্ভিস মহসিন মার্কেটের মতো নগরের চকবাজার, কাটপট্টির কয়েকটি মার্কেট নিয়ে চিন্তিত। জানা গেছে, নগরের অধিকাংশ মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, আগেভাগে সতর্ক না হলে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বরিশাল নগরেও।

হাজি মো. মহসিন মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস দাবি করেন, মার্কেটে দুই শতাধিক পোশাকের দোকান আছে। এর চারপাশে কয়েকটি রেস্তোরাঁও গড়ে উঠেছে। এগুলো নিয়ে তাঁরা আগুন-আতঙ্কে থাকেন। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফায়ার সার্ভিসকেও অবহিত করেছেন। শেখর জানান, কোটি কোটি টাকার শীত ও গরমের পোশাক নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছে। দোকানগুলোতে কতটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র আছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৬০ ভাগ দোকানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা নেই।

কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহসিন মার্কেটের ভেতর ও চারপাশ ঘিরে তিন শতাধিক ছোট-বড় দোকান গড়ে উঠেছে। কাঠের কিংবা টিনশেডের এসব ছোট দোকানঘর একটার সঙ্গে আরেকটা গড়ে উঠেছে। মহসিন মার্কেটের একাধিক কর্মচারী বলেছেন, মার্কেটের উন্নয়নে কেউ নেই, চাঁদাবাজিতে আছে। এর চারপাশে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে, এগুলোর কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ফায়ার সার্ভিসের বরিশালের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আব্বাস উদ্দিন বলেন, ১৫৪টি দাহ্যবস্তুর যেকোনোটি মজুত করলেই অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স নিতে হবে। তিনি বলেন, বরিশাল জেলায় এ ধরনের ১ হাজার ২০০-এর মতো দোকানের অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স আছে। তবে তা যথেষ্ট নয় বলে তিনি মনে করেন। পরিদর্শক আব্বাস জানান, তাঁরা মহসিন মার্কেট নিয়ে বেশ চিন্তিত। দ্রুত এ মার্কেট ভেঙে ভবন না করা হলে আগুনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আব্বাস উদ্দিন বলেন, চকবাজারের কাপড়ের ও জুতার দোকান আলাদা করা উচিত। কাটপট্টিতে গাদাগাদি করে থাকা স্বর্ণের দোকানগুলো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কেননা, সোনায় সালফিউরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়।

গতকাল সোমবার নগরের চকবাজার ও কাটপট্টি ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে জুতার দোকানের পাশে পোশাকের দোকান। জুয়েলারি কারখানার পাশে স্টেশনারি দোকান। অধিকাংশ দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র।

এ প্রসঙ্গে পরিদর্শক আব্বাস বলেন, অগ্নিপ্রতিরোধ ও নিরূপণ আইন, ২০০৩-এর ১৭, ১৮ ধারায় অগ্নিনির্বাপণ লাইসেন্স না নেওয়া কিংবা এর শর্ত ভঙ্গ করলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। লাইসেন্সের বিশেষ শর্ত হচ্ছে প্রতি ৫০০ বর্গফুট পরপর অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বরিশালের সমন্বয়ক মো. রফিকুল আলম বলেন, মহসীন মার্কেটের মতো ঘনবসতি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণে নিয়মিত মহড়া দেওয়া দরকার। লাইসেন্স আছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। এ ছাড়া কাটপট্টির জুয়েলারিতে যে অ্যাসিড পোড়ানো হয়, তা ভয়াবহ। এখন থেকেই সতর্ক না হলে সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির মতো কিছু একটা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত