Ajker Patrika

পেঁয়াজের ফলনে খুশি চাষি, দাম নিয়ে চিন্তা

মতিয়ার রহমান মিঞা, মধুখালী (ফরিদপুর)
আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ৫১
পেঁয়াজের ফলনে খুশি চাষি, দাম নিয়ে চিন্তা

ফরিদপুরের মধুখালীতে এ বছর পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। ফলনে খুশি হলেও পেঁয়াজের বাজারদর কম হওয়ায় লোকসানের চিন্তাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।

দেশের মধ্যে ফরিদপুর পেঁয়াজ চাষে সেরা। ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার মধ্যে মধুখালী দ্বিতীয় অবস্থানে। উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে কম বেশি পেঁয়াজের চাষ হয়ে থাকে। মধুখালীতে সাধারণত হালি, মুড়িকাটা ও দানা পেঁয়াজ চাষ হয়।

উপজেলার রায়পুর, কোরকদি, জাহাপুর, কামালদিয়া, মেগচামী, আড়পাড়া ও ডুমাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পেঁয়াজ চাষের উপযোগী হওয়ায় এসব এলাকায় চাষও বেশি হয়। চাষিরা পেঁয়াজের ফলনে খুশি হলেও দাম কম হওয়ায় দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।

এ বছর পরপর তিন দফায় পেঁয়াজ রোপণ মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ে পেঁয়াজ চাষি। সর্বোপরি পেঁয়াজের ভালো ফলন হলেও দামে অখুশি চাষিরা।

পেঁয়াজ বীজ রোপণ, আবাদ ও ঘর পর্যন্ত আসতে প্রতি মণ পেঁয়াজে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমণ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পেঁয়াজ চাষি রাসেল আহম্মেদ বলেন, এক একর ১০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ২০০ মণের বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন। বীজ ও শ্রমিক বাবদ প্রায় ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে। তিনি লাভের আশা করছেন। নিয়ম মেনে চাষ করলে ফসল ভালো হয়, লাভও হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমানের বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ২৪০ হেক্টর মুড়িকাটা, ১৬০ হেক্টর দানা ও ২ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে হালি জাতের পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৪৪ হাজার ৪৭৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে আশা করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত