Ajker Patrika

অধ্যক্ষসহ ২৫ শিক্ষকের পদ শূন্য, পাঠ ব্যাহত

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
অধ্যক্ষসহ ২৫ শিক্ষকের পদ শূন্য, পাঠ ব্যাহত

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের ৪৬টি শিক্ষক পদের মধ্যে ২৫টি পদ শূন্য। কয়েক মাস ধরে অধ্যক্ষের পদটিও শূন্য। ব্যবস্থাপনা, গণিত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে কোনো শিক্ষক কর্মরত নেই। বেশ কয়েকটি বিভাগ চলছে একজন শিক্ষক দিয়ে। অতিথি শিক্ষকের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে চালানো হচ্ছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে বিপাকে পড়েছেন কলেজে অধ্যয়নরত প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী। তাঁরা বলছেন, শিক্ষকসংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা হচ্ছে না। কর্মরত শিক্ষকেরা বলছেন, অতিরিক্ত ক্লাস নিতে গিয়ে তাঁদের ওপরও চাপ পড়ছে।

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজে মোট ২৫টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপকের এক, সহযোগী অধ্যাপকের চার, সহকারী অধ্যাপকের ৯ এবং প্রভাষকের ১১ ও প্রদর্শকের দুটি পদ শূন্য রয়েছে। হিসাববিজ্ঞান, দর্শন, উদ্ভিদবিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ চলছে একজন শিক্ষক দিয়ে। কলেজে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষাকার্যক্রম চালু আছে।

মোট ১৫টি বিভাগের মধ্যে শুধু পদার্থবিজ্ঞান ও কৃষিবিজ্ঞানে সবকটি পদে শিক্ষক রয়েছেন। ব্যবস্থাপনা বিভাগে এক বছর ধরে কোনো শিক্ষক নেই। এই বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক এবং দুজন প্রভাষকের পদ শূন্য। মাসখানেক আগে শিক্ষকশূন্য হয় গণিত বিভাগ। এই বিভাগে একজন সহকারী অধ্যাপক এবং একজন প্রভাষকের পদ শূন্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মাত্র একজন প্রভাষক ছিলেন। তিনিও সম্প্রতি বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলেন। তাই এই বিভাগও এখন শিক্ষকশূন্য। এ ছাড়া কলেজে অধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে। উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল হাসান অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও এখন প্রশিক্ষণে রয়েছেন। তাই এখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন সহযোগী অধ্যাপক বদরুল হুদা।

কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় তাঁদের নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। অতিথি শিক্ষক দিয়ে কোনোমতে ক্লাস হয়। তাই তাঁদের প্রাইভেট পড়তে হচ্ছে।

কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রবিউল আওয়াল বলেন, ‘আমি দর্শনের শিক্ষক; কিন্তু দর্শনের পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগেও পড়াতে হচ্ছে। এতে আমাদের ওপর চাপ বাড়ছে।

কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী অধ্যাপক ইকরামুল হক বলেন, শিক্ষকসংকটের কারণে কলেজে শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অবিলম্বে এখানকার শিক্ষকসংকটের নিরসন হওয়া দরকার। যেসব বিভাগে শিক্ষক নেই, সেসব বিভাগে স্থানীয়ভাবে অতিথি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দিয়েই চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুল হুদা জানান, ‘প্রতি মাসেই শিক্ষকের শূন্য পদের প্রতিবেদন দেওয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে। আশা করছি শিগগিরই এই সংকট কেটে যাবে।’

এ নিয়ে জানতে গতকাল সোমবার মোবাইল ফোনে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুল্লাহকে কয়েকবার কল করা হয়। ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।

শিক্ষকসংকটের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। এখানকার শিক্ষকসংকট নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের প্রস্তুতি

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত