সম্পাদকীয়
চকরিয়ায় প্রকল্পের নামে চুরি-মহা চুরির সংবাদটি আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো। আদতে কাজ না করে অর্থবান হওয়ার যে নানা ফন্দি-ফিকির করা হয়, এটা তারই একটি নিদর্শন। পৃথিবীতে এই প্রথম এ রকম একটি মহা অন্যায় ঘটে গেল, এমন নয়। বরং আমরা চুপিসারে এ কথা বলতে পারি, ধান্দাবাজ মানুষেরা পারে না, এমন কিছু নেই। তবে শঙ্কার জায়গা একটাই—আগে এ রকম চুরির ঘটনা ঘটলে চোরেরা লজ্জায় মাথা নিচু করত। দিন পাল্টেছে, এখন চোরেরা মাথা উঁচু করে চলে আর যাদের ওপর চোর ধরার দায়িত্ব, তারা মাথা নিচু করে সব অন্যায় সহ্য করে।
চকরিয়ায় টিআর, কাবিটা, কাবিখার টাকা লোপাট হয়েছে। খবরে দেখা যাচ্ছে, ১৭টি প্রকল্পের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। অথচ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, টাকা ছাড় হয়েছে এবং জানা কথা, সে টাকা কারও না কারও পেটে ঢুকে পড়েছে। দারুণ একটা খবর হলো, যদি অস্তিত্বহীন এসব কর্মকাণ্ডের খোঁজ নিতে যাওয়া হয়, তাহলে প্রকল্পগুলোয় যাঁদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা বেমালুম বলে দিচ্ছেন সভাপতি হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন শুধু, প্রকল্প হলো কি না হলো, তা নিয়ে তাঁরা আর কোনো খোঁজ রাখেননি। তাহলে এ রকম ঠুটো জগন্নাথ সভাপতির কাজ কী? কেন তাঁদের সভাপতি পদটি দেওয়া হলো এবং কী বুঝে তাঁরা স্বাক্ষর দিয়ে দুর্বৃত্তদের টাকা ‘খাওয়ার’ সুযোগ করে দিলেন? কোনো জবাবদিহি কি তাঁদের নিজেদের অন্তরে কাজ করেনি?
মুফতে টাকা উপার্জনের কত ধরনেরই না সুযোগ সৃষ্টি হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রশাসনে চাকরির যে তদবির করা হয়, তার সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে কত খবরই না ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে! বড় শহরগুলোর ফুটপাতে কোনো কারণ ছাড়াই যে ভাসমান দোকানগুলো দিব্যি ব্যবসা করে বেড়াচ্ছে, তাদের কাছে খোঁজ নিলেই জানা যায়, একধরনের ‘জাদুকর’ এসে ভাসমান বিক্রেতাদের দিকে বাড়িয়ে দেয় হাত, এরপর তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ টাকার বিনিময়ে ‘ছুমন্তর ছু’ বলে তাদের সরকারি ফুটপাতে কিংবা রাস্তার কোনো এক অংশে ব্যবসা করতে অনুমতি দিয়ে দেন। এই টাকাটা কাদের পকেটে যায় সে বিষয়ে ভালো অনুসন্ধানী সংবাদ হতে পারে। কেউ কি সে খবর নিতে আগ্রহী হবেন?
চাঁদাবাজির টাকা নাকি বিভিন্ন মহলে অনায়াসে ঢুকে যায়। এই চক্রের মধ্যে অবস্থান করলে নাকি টাকাটা নিয়ে নিতে হয়, নইলে ঘুষের ব্যাপারে ‘অমনোযোগী’ কর্মকর্তাকে সেখান থেকে যেভাবে হোক বের করে দেওয়া হয়। ‘সততা’ শব্দটি দিন দিন তার অর্থ হারিয়ে ফেলছে। শিক্ষার চেয়ে বিত্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলি। সেটা সত্যিই দরকার। বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে একজন নাগরিকের একটি ভোট একটি সত্যিকারের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে মানুষের মনে। কিন্তু এই কাবিখা, কাবিটা, টিআর পর্যায়েই যখন টাকা আত্মসাৎ থামানো যাচ্ছে না, তখন জাতীয় পর্যায়ে মহা চুরি হলে তা রুখবে কে?
চকরিয়ায় প্রকল্পের নামে চুরি-মহা চুরির সংবাদটি আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো। আদতে কাজ না করে অর্থবান হওয়ার যে নানা ফন্দি-ফিকির করা হয়, এটা তারই একটি নিদর্শন। পৃথিবীতে এই প্রথম এ রকম একটি মহা অন্যায় ঘটে গেল, এমন নয়। বরং আমরা চুপিসারে এ কথা বলতে পারি, ধান্দাবাজ মানুষেরা পারে না, এমন কিছু নেই। তবে শঙ্কার জায়গা একটাই—আগে এ রকম চুরির ঘটনা ঘটলে চোরেরা লজ্জায় মাথা নিচু করত। দিন পাল্টেছে, এখন চোরেরা মাথা উঁচু করে চলে আর যাদের ওপর চোর ধরার দায়িত্ব, তারা মাথা নিচু করে সব অন্যায় সহ্য করে।
চকরিয়ায় টিআর, কাবিটা, কাবিখার টাকা লোপাট হয়েছে। খবরে দেখা যাচ্ছে, ১৭টি প্রকল্পের কোনো অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। অথচ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, টাকা ছাড় হয়েছে এবং জানা কথা, সে টাকা কারও না কারও পেটে ঢুকে পড়েছে। দারুণ একটা খবর হলো, যদি অস্তিত্বহীন এসব কর্মকাণ্ডের খোঁজ নিতে যাওয়া হয়, তাহলে প্রকল্পগুলোয় যাঁদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা বেমালুম বলে দিচ্ছেন সভাপতি হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন শুধু, প্রকল্প হলো কি না হলো, তা নিয়ে তাঁরা আর কোনো খোঁজ রাখেননি। তাহলে এ রকম ঠুটো জগন্নাথ সভাপতির কাজ কী? কেন তাঁদের সভাপতি পদটি দেওয়া হলো এবং কী বুঝে তাঁরা স্বাক্ষর দিয়ে দুর্বৃত্তদের টাকা ‘খাওয়ার’ সুযোগ করে দিলেন? কোনো জবাবদিহি কি তাঁদের নিজেদের অন্তরে কাজ করেনি?
মুফতে টাকা উপার্জনের কত ধরনেরই না সুযোগ সৃষ্টি হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রশাসনে চাকরির যে তদবির করা হয়, তার সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে কত খবরই না ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে! বড় শহরগুলোর ফুটপাতে কোনো কারণ ছাড়াই যে ভাসমান দোকানগুলো দিব্যি ব্যবসা করে বেড়াচ্ছে, তাদের কাছে খোঁজ নিলেই জানা যায়, একধরনের ‘জাদুকর’ এসে ভাসমান বিক্রেতাদের দিকে বাড়িয়ে দেয় হাত, এরপর তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে কিছু পরিমাণ টাকার বিনিময়ে ‘ছুমন্তর ছু’ বলে তাদের সরকারি ফুটপাতে কিংবা রাস্তার কোনো এক অংশে ব্যবসা করতে অনুমতি দিয়ে দেন। এই টাকাটা কাদের পকেটে যায় সে বিষয়ে ভালো অনুসন্ধানী সংবাদ হতে পারে। কেউ কি সে খবর নিতে আগ্রহী হবেন?
চাঁদাবাজির টাকা নাকি বিভিন্ন মহলে অনায়াসে ঢুকে যায়। এই চক্রের মধ্যে অবস্থান করলে নাকি টাকাটা নিয়ে নিতে হয়, নইলে ঘুষের ব্যাপারে ‘অমনোযোগী’ কর্মকর্তাকে সেখান থেকে যেভাবে হোক বের করে দেওয়া হয়। ‘সততা’ শব্দটি দিন দিন তার অর্থ হারিয়ে ফেলছে। শিক্ষার চেয়ে বিত্ত প্রভাবশালী হয়ে উঠলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলি। সেটা সত্যিই দরকার। বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে একজন নাগরিকের একটি ভোট একটি সত্যিকারের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে মানুষের মনে। কিন্তু এই কাবিখা, কাবিটা, টিআর পর্যায়েই যখন টাকা আত্মসাৎ থামানো যাচ্ছে না, তখন জাতীয় পর্যায়ে মহা চুরি হলে তা রুখবে কে?
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৮ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৮ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৮ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫