সম্পাদকীয়
ব্রিটিশ ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ছিল। ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট ইংরেজ সরকার সে আদেশ তুলে নেয়। ব্রিটিশ সরকারের কোপদৃষ্টি উঠে যাওয়ায় কয়েকজন বিলেতফেরত বামপন্থী ফিরে আসেন দেশে। তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় দেবব্রত বিশ্বাসের। তাঁরা সবাই ছিলেন বয়সে দেবব্রতের চেয়ে ছোট।
তাঁদের একজন বললেন, ‘আপনি রবীন্দ্রসংগীত গান কেন?’
অন্যজন বললেন, ‘রবীন্দ্রসংগীত তো একঘেয়ে প্যানপ্যানানি। প্রাণহীন সব গান!’
রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে কমিউনিস্টদের এক অংশের এই ছিল ধারণা।
তখন ইউরোপে যুদ্ধ চলছে। কলকাতায় মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি, সোভিয়েত সুহৃৎ সমিতির মতো অনেক সমিতির জন্ম হচ্ছে। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি অর্থ সংগ্রহের জন্য একটা গানের অনুষ্ঠান করল কলকাতার ইউনিভির্সিটি ইনস্টিটিউট হলে। সেখানে দেবব্রতকেও গান করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দেবব্রত গাইলেন রবীন্দ্রসংগীত। বিলেতফেরত সেই বামপন্থীদেরও সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গান শোনার পর তাঁরা মুক্তকণ্ঠে বললেন, ‘এত দিন রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা ছিল।’
সেখানে আরেকজন যুবকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল দেবব্রত বিশ্বাসের। নিজেই তিনি এগিয়ে এলেন দেবব্রতর দিকে। বললেন, ‘আমার নাম হেমাঙ্গ বিশ্বাস। শ্রীহট্ট জেলায় আমার বাড়ি। আমি দেশের অন্য অনেক জায়গায় রবীন্দ্রসংগীত শুনেছি, শিখেছি। কিন্তু রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে যে এত প্রাণ আছে, তা আগে জানতাম না।’
তারপর বললেন, ‘জর্জদা, (দেবব্রত বিশ্বাসের ডাক নাম জর্জ) রবীন্দ্রসংগীত যেভাবে আপনি গাইলেন, সেইভাবে যে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া যায়, তা আগে ভাবতেও পারিনি।’
১৯৪৩ সালে বোম্বে শহরে হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস। বামপন্থী সাংস্কৃতিক দলের হয়ে তৃতীয় শ্রেণির কামরায় দেবব্রতও গেলেন সেখানে। এবং সেখানেও গাইলেন রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গান। বোম্বে থেকে ফিরে শহরে গ্রামগঞ্জে হাটবাজারে গণনাট্য সংঘের জন্য রবীন্দ্রনাথের গানই গেয়েছেন দেবব্রত বিশ্বাস। তাঁর রবীন্দ্রসংগীতই তাঁকে শিল্পী হিসেবে বাঁচিয়ে রেখেছে, যদিও তাঁর গান প্রচারে বাধা দিয়ে বিশ্বভারতী তাঁর সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে।
সূত্র: দেবব্রত বিশ্বাস, ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত, পৃষ্ঠা ৫৩-৫৫
ব্রিটিশ ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ছিল। ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট ইংরেজ সরকার সে আদেশ তুলে নেয়। ব্রিটিশ সরকারের কোপদৃষ্টি উঠে যাওয়ায় কয়েকজন বিলেতফেরত বামপন্থী ফিরে আসেন দেশে। তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় দেবব্রত বিশ্বাসের। তাঁরা সবাই ছিলেন বয়সে দেবব্রতের চেয়ে ছোট।
তাঁদের একজন বললেন, ‘আপনি রবীন্দ্রসংগীত গান কেন?’
অন্যজন বললেন, ‘রবীন্দ্রসংগীত তো একঘেয়ে প্যানপ্যানানি। প্রাণহীন সব গান!’
রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে কমিউনিস্টদের এক অংশের এই ছিল ধারণা।
তখন ইউরোপে যুদ্ধ চলছে। কলকাতায় মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি, সোভিয়েত সুহৃৎ সমিতির মতো অনেক সমিতির জন্ম হচ্ছে। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি অর্থ সংগ্রহের জন্য একটা গানের অনুষ্ঠান করল কলকাতার ইউনিভির্সিটি ইনস্টিটিউট হলে। সেখানে দেবব্রতকেও গান করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দেবব্রত গাইলেন রবীন্দ্রসংগীত। বিলেতফেরত সেই বামপন্থীদেরও সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গান শোনার পর তাঁরা মুক্তকণ্ঠে বললেন, ‘এত দিন রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে আমাদের ভুল ধারণা ছিল।’
সেখানে আরেকজন যুবকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল দেবব্রত বিশ্বাসের। নিজেই তিনি এগিয়ে এলেন দেবব্রতর দিকে। বললেন, ‘আমার নাম হেমাঙ্গ বিশ্বাস। শ্রীহট্ট জেলায় আমার বাড়ি। আমি দেশের অন্য অনেক জায়গায় রবীন্দ্রসংগীত শুনেছি, শিখেছি। কিন্তু রবীন্দ্রসংগীতের মধ্যে যে এত প্রাণ আছে, তা আগে জানতাম না।’
তারপর বললেন, ‘জর্জদা, (দেবব্রত বিশ্বাসের ডাক নাম জর্জ) রবীন্দ্রসংগীত যেভাবে আপনি গাইলেন, সেইভাবে যে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া যায়, তা আগে ভাবতেও পারিনি।’
১৯৪৩ সালে বোম্বে শহরে হয়েছিল কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস। বামপন্থী সাংস্কৃতিক দলের হয়ে তৃতীয় শ্রেণির কামরায় দেবব্রতও গেলেন সেখানে। এবং সেখানেও গাইলেন রবীন্দ্রনাথের দেশাত্মবোধক গান। বোম্বে থেকে ফিরে শহরে গ্রামগঞ্জে হাটবাজারে গণনাট্য সংঘের জন্য রবীন্দ্রনাথের গানই গেয়েছেন দেবব্রত বিশ্বাস। তাঁর রবীন্দ্রসংগীতই তাঁকে শিল্পী হিসেবে বাঁচিয়ে রেখেছে, যদিও তাঁর গান প্রচারে বাধা দিয়ে বিশ্বভারতী তাঁর সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে।
সূত্র: দেবব্রত বিশ্বাস, ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত, পৃষ্ঠা ৫৩-৫৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫