Ajker Patrika

অবৈধ পথে উপার্জনের শাস্তি

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৩, ২১: ৪২
অবৈধ পথে উপার্জনের শাস্তি

সম্পদের প্রকৃত মালিক মহান আল্লাহ। মানুষ তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কেবল সেগুলো ভোগ করে। জাগতিক জীবনে ধন-সম্পদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। মানুষের অর্থনৈতিক তৎপরতা, উপার্জন এবং উৎপাদনের প্রচেষ্টা করা শুধু প্রশংসনীয়ই নয়, বরং ইসলাম সেটাকে আবশ্যক করেছে। কিন্তু তা হতে হবে হালাল বা বৈধ পথে। তাই ইসলাম হালাল উপার্জনকে ফরজ করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা আমার দেওয়া হালাল ও পূতপবিত্র রিজিক খাও।’ (সুরা বাকারা: ১০২)

পক্ষান্তরে হারাম পথে উপার্জনকারী ব্যক্তির সাজা হবে অত্যন্ত কঠোর। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হারাম সম্পদ দিয়ে গঠিত শরীর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। কারণ যে শরীর হারাম দিয়ে গঠিত, জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মিশকাত) একইভাবে যে বস্তু খাওয়া হারাম, তার মাধ্যমে জীবিকা উপার্জনও হারাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ যখন কোনো জাতির জন্য কোনো বস্তু খাওয়া হারাম করেন, তখন তার বিক্রয়লব্ধ মূল্যও হারাম করেন।’ (আবু দাউদ)

মৃত প্রাণীর গোশত, রক্ত এবং মদ, শরাব, গাঁজা, আফিম, হেরোইনসহ যাবতীয় মাদকদ্রব্য ও পূজার মূর্তি এসব মৌলিকভাবে হারাম। তাই, এগুলোর মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করা মুসলমানদের জন্য হারাম। হারাম খাদ্য খেয়ে ইবাদত করলে তা কবুল হয় না। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দশ দিরহাম দিয়ে একটি কাপড় কিনল, যাতে একটি হারাম দিরহামও ছিল, আল্লাহ তার কোনো নামাজ কবুল করবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ওই কাপড় পরবে।’ (আহমদ) ইসলামের নির্দেশ মোতাবেক হালাল জীবিকা উপার্জন করা এবং সব হারাম ও অবৈধ উপার্জন থেকে বেঁচে থাকা আমাদের সবারই নৈতিক ও ইমানি দায়িত্ব।

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

অপারেশন সিঁদুরে নেতৃত্ব দেওয়া অফিসার হচ্ছেন ভারতের র-এর প্রধান

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাররা জানবেন না কে তাঁর এমপি, এটি বাংলাদেশের জন্য অনুপযুক্ত: সালাহউদ্দিন

নীলফামারীতে 'আটক' কুমিল্লার দুই সাংবাদিক

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের খসল ৮০০ মিলিয়ন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত