Ajker Patrika

পাটে উৎপাদন খরচই উঠছে না চাষিদের

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
পাটে উৎপাদন খরচই উঠছে না চাষিদের

পাট বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকেরা। তাঁরা বলছেন, চলতি মৌসুমে পাট চাষ করতে যা খরচ হয়েছে, বিক্রি করে তার উৎপাদন খরচই উঠছে না। ন্যায্যমূল্য না পেয়ে প্রতিবছরই লোকসান হচ্ছে। ফলে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন তাঁরা।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, পাট উৎপাদনের পরপরই সব কৃষক একসঙ্গে পাট বাজারে তোলেন। তাই বাজারে জোগান বেশি থাকায় দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা।

সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার পাটচাষি জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে গড়ে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এতে পাট উৎপাদন হয় সাধারণত ৯ মণ থেকে ১১ মণ। বাজারে সবচেয়ে ভালো পাটের দাম ২ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি বিঘায় পাট চাষ করে বিঘাপ্রতি ২-৩ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।

আরেক চাষি ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর পাট চাষ করি। গত বছর পাট বিক্রি করেছি, প্রতি মণ তিন হাজার টাকা। এ বছর খরচ আরও বেড়েছে। এতে পাটের দাম আগের বছরের তুলনায় বেশি হওয়া উচিত। সার ও ওষুধের দাম বেড়েছে। বর্তমান বাজারদরে পাট বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।’
কৃষক সাহের আলী জানান, এবার লাভের আশায় বেশি পরিমাণ জমিতে পাট আবাদ করেছেন তিনি। এতে লোকসানের পরিমাণও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

পাট ব্যবসায়ী সুকুমার রায় জানান, গত বছর তিনি ১৫ হাজার মণ পাট কিনেছিলেন। প্রথম অবস্থায় কিছু লাভে বিক্রি করতে পারলেও পরে লোকসানে বিক্রি করেছেন। পাটের চাহিদা কম থাকায় তিনি এবার পাঠ কেনা বন্ধ করেছেন। 

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলার সাতটি উপজেলায় ৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯৮ হাজার ৪১৫ বেল।

জেলা পাট কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মালাকার বলেন, কৃষকেরা যেন পাটের ন্যায্যমূল্য পান, সে বিষয়ে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন,  ভালো দাম পেতে চাষিদের পাট শুকিয়ে ঘরে রেখে পরে বিক্রি করতে হবে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

সরকারের কমিটি পছন্দ হয়নি, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ‎প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত