সম্পাদকীয়
চেখভ যখন লিখতেন, তখন তা যেন প্রাণ ধরে টান দিত। গোর্কি সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি ১৯০০ সালে চিঠিতে চেখভকে লিখেছিলেন, ‘বাস্তববাদকে হত্যা করছেন আপনি…আপনার কোনো গল্প পড়ার পর, তা যত তুচ্ছই হোক না কেন, বাকি সবকিছু কর্কশ মনে হয়, আপনি কলমে না-লিখে মুগুর ব্যবহার করছেন।’
চেখভের লেখা পড়ে মনে হতো, তিনি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নিঃসঙ্গতার দিকে। চেখভের দিকে তাকালে ভ্যান গঘকেই কি মনে পড়ে যায় না? তাঁদের কাজ দেখে মনে হয় চলমান জীবন যেন এখানে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের সৃষ্টির মধ্যে ধরা পড়ে গেছে জীবন।
এ যেন স্রোতস্বিনী নদীর একটা ফ্রিজ শট। ভ্যান গঘের আঁকা দাউ দাউ সাইপ্রাস, বিস্তীর্ণ শস্যপ্রান্তর কিংবা অন্ধকার ঘরে আলুভোজীদের দেখে মনে হয় ছবির ফ্রেম যেন অনেকখানি ঢেকে দিয়েছে ছবিকে, নইলে আমরা হয়তো আরও কিছু দেখতে পেতাম। নদীর ফ্রেমে স্তব্ধ হয়েছে নদীর স্রোত, কিন্তু তা যেন ক্রম সঞ্চরমান। ভ্যান গঘের ছবিগুলো দেখলে মনে হয়, বহুদিন ধরেই এদের সঙ্গে যেন আত্মীয়তা তাঁর।
ধরা যাক, কোনো চাষির বাড়িতে সন্ধ্যাবেলা গেছেন গল্প করতে, সেখানে দেখলেন গোটা পরিবারের ডিনারের মেন্যু বাটিভর্তি আলু।অনায়াসে ভ্যান গঘ এঁকে ফেললেন তাঁদের নিয়ে ছবি। কিংবা পরিকল্পনাহীনভাবে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন কোনো নির্জন ক্যাফেতে, নিস্তেজ, নিষ্প্রভ সেই ক্যাফেটাই হয়ে উঠল আঁকার বিষয়। জীবনের আত্মাটাকেই এভাবে ছবির ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন ভ্যান গঘ।
চেখভের গল্পে যেমন নাটকীয় কিছু ঘটে না, জীবন বয়ে যায় কেবল, আর সেটাই ধরা পড়ে গল্পে, তেমনি তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়গুলো হয়ে ওঠে ভ্যান গঘের আঁকার বিষয়। ওই যে আলুভোজীরা, তাঁদের মধ্যে কোনো নাটকীয়তা নেই, কিন্তু সেখানে রয়েছে জীবন। সেই জীবনেরই রূপকার ভ্যান গঘ।
ভ্যান গঘের প্রতিটি তুলির আঁচড়ে লুকিয়ে থাকে জীবনের প্রতি প্রবল সংরাগ। সেটাই তাঁকে মহান করেছে।
সূত্র: অনির্বাণ রায় সম্পাদিত ভিনসেন্ট এক অবিস্মরণীয় জীবন, পৃষ্ঠা ১৭৮-১৭৯
চেখভ যখন লিখতেন, তখন তা যেন প্রাণ ধরে টান দিত। গোর্কি সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি ১৯০০ সালে চিঠিতে চেখভকে লিখেছিলেন, ‘বাস্তববাদকে হত্যা করছেন আপনি…আপনার কোনো গল্প পড়ার পর, তা যত তুচ্ছই হোক না কেন, বাকি সবকিছু কর্কশ মনে হয়, আপনি কলমে না-লিখে মুগুর ব্যবহার করছেন।’
চেখভের লেখা পড়ে মনে হতো, তিনি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নিঃসঙ্গতার দিকে। চেখভের দিকে তাকালে ভ্যান গঘকেই কি মনে পড়ে যায় না? তাঁদের কাজ দেখে মনে হয় চলমান জীবন যেন এখানে এসে থমকে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের সৃষ্টির মধ্যে ধরা পড়ে গেছে জীবন।
এ যেন স্রোতস্বিনী নদীর একটা ফ্রিজ শট। ভ্যান গঘের আঁকা দাউ দাউ সাইপ্রাস, বিস্তীর্ণ শস্যপ্রান্তর কিংবা অন্ধকার ঘরে আলুভোজীদের দেখে মনে হয় ছবির ফ্রেম যেন অনেকখানি ঢেকে দিয়েছে ছবিকে, নইলে আমরা হয়তো আরও কিছু দেখতে পেতাম। নদীর ফ্রেমে স্তব্ধ হয়েছে নদীর স্রোত, কিন্তু তা যেন ক্রম সঞ্চরমান। ভ্যান গঘের ছবিগুলো দেখলে মনে হয়, বহুদিন ধরেই এদের সঙ্গে যেন আত্মীয়তা তাঁর।
ধরা যাক, কোনো চাষির বাড়িতে সন্ধ্যাবেলা গেছেন গল্প করতে, সেখানে দেখলেন গোটা পরিবারের ডিনারের মেন্যু বাটিভর্তি আলু।অনায়াসে ভ্যান গঘ এঁকে ফেললেন তাঁদের নিয়ে ছবি। কিংবা পরিকল্পনাহীনভাবে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলেন কোনো নির্জন ক্যাফেতে, নিস্তেজ, নিষ্প্রভ সেই ক্যাফেটাই হয়ে উঠল আঁকার বিষয়। জীবনের আত্মাটাকেই এভাবে ছবির ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন ভ্যান গঘ।
চেখভের গল্পে যেমন নাটকীয় কিছু ঘটে না, জীবন বয়ে যায় কেবল, আর সেটাই ধরা পড়ে গল্পে, তেমনি তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়গুলো হয়ে ওঠে ভ্যান গঘের আঁকার বিষয়। ওই যে আলুভোজীরা, তাঁদের মধ্যে কোনো নাটকীয়তা নেই, কিন্তু সেখানে রয়েছে জীবন। সেই জীবনেরই রূপকার ভ্যান গঘ।
ভ্যান গঘের প্রতিটি তুলির আঁচড়ে লুকিয়ে থাকে জীবনের প্রতি প্রবল সংরাগ। সেটাই তাঁকে মহান করেছে।
সূত্র: অনির্বাণ রায় সম্পাদিত ভিনসেন্ট এক অবিস্মরণীয় জীবন, পৃষ্ঠা ১৭৮-১৭৯
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫