Ajker Patrika

গরিবের অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ, সেবা ব্যাহত

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯: ৫২
গরিবের অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ, সেবা ব্যাহত

নাটোরের লালপুরে ফোন করলেই ২৪ ঘণ্টা সেবায় বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হতো অ্যাম্বুলেন্স। দূরত্ব অনুসারে পরিবহন খরচ নির্ধারিত হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ভাড়ার টাকায় চালকের বেতন-মেরামত খরচ বাদে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হতো। কম খরচে দ্রুত সেবা পাওয়ায় একে বলা হয় ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’।

কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় আর চলে না ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’। নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ‘ইউনিয়ন কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স’ অচল হয়ে যাওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারো মানুষ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দ্বিতীয় লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ‘কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স’ হিসেবে দেওয়া হয়। প্রতিটিতে ব্যয় হয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন নাটোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. খলিলুর রহমান।

সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ও চালকের বাড়ির আঙিনায় পড়ে আছে বিকল অ্যাম্বুলেন্সগুলো। অযত্নে চাকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দিনমজুর আকবর আলী বলেন, তাঁর বর্তমানে আয়-উপার্জন নেই। রোগ-শোকে মরে যাচ্ছেন তিনি। গরিবের অ্যাম্বুলেন্স চলাকালীন অল্প খরচে হাসপাতালে আসতে পারতেন তিনি।

হাসপাতালে আসা আরেক রোগী মো. হাদম আলী (৬২) বলেন, আগে রাতে কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো। এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগী পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।

নাজমা খাতুন (৬৬) বলেন, হঠাৎ তিনি গত মাসে অসুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আশপাশের মানুষ অনেক চেষ্টা করেও গাড়ি আনতে পারেননি। গ্রামীণ রাস্তা হওয়ায় বড় গাড়ি আসে না। তাই তাঁর ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

লালপুরের অ্যাম্বুলেন্সের চালক দফাদার এস্কেন্দার আলী বলেন, সচল অবস্থায় গরিব রোগীদের সেবা দিতে মনে অনেক আনন্দ লাগত।

বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় বিকলহয়ে আছে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে দেওয়া ছিল। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে সেগুলো চলাচল উপযোগী করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত