লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে ফোন করলেই ২৪ ঘণ্টা সেবায় বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হতো অ্যাম্বুলেন্স। দূরত্ব অনুসারে পরিবহন খরচ নির্ধারিত হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ভাড়ার টাকায় চালকের বেতন-মেরামত খরচ বাদে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হতো। কম খরচে দ্রুত সেবা পাওয়ায় একে বলা হয় ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’।
কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় আর চলে না ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’। নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ‘ইউনিয়ন কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স’ অচল হয়ে যাওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারো মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দ্বিতীয় লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ‘কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স’ হিসেবে দেওয়া হয়। প্রতিটিতে ব্যয় হয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন নাটোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. খলিলুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ও চালকের বাড়ির আঙিনায় পড়ে আছে বিকল অ্যাম্বুলেন্সগুলো। অযত্নে চাকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দিনমজুর আকবর আলী বলেন, তাঁর বর্তমানে আয়-উপার্জন নেই। রোগ-শোকে মরে যাচ্ছেন তিনি। গরিবের অ্যাম্বুলেন্স চলাকালীন অল্প খরচে হাসপাতালে আসতে পারতেন তিনি।
হাসপাতালে আসা আরেক রোগী মো. হাদম আলী (৬২) বলেন, আগে রাতে কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো। এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগী পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
নাজমা খাতুন (৬৬) বলেন, হঠাৎ তিনি গত মাসে অসুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আশপাশের মানুষ অনেক চেষ্টা করেও গাড়ি আনতে পারেননি। গ্রামীণ রাস্তা হওয়ায় বড় গাড়ি আসে না। তাই তাঁর ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
লালপুরের অ্যাম্বুলেন্সের চালক দফাদার এস্কেন্দার আলী বলেন, সচল অবস্থায় গরিব রোগীদের সেবা দিতে মনে অনেক আনন্দ লাগত।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় বিকলহয়ে আছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে দেওয়া ছিল। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে সেগুলো চলাচল উপযোগী করা হবে।
নাটোরের লালপুরে ফোন করলেই ২৪ ঘণ্টা সেবায় বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হতো অ্যাম্বুলেন্স। দূরত্ব অনুসারে পরিবহন খরচ নির্ধারিত হয় ৫০ থেকে ১০০ টাকা। ভাড়ার টাকায় চালকের বেতন-মেরামত খরচ বাদে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা হতো। কম খরচে দ্রুত সেবা পাওয়ায় একে বলা হয় ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’।
কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় আর চলে না ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’। নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ‘ইউনিয়ন কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স’ অচল হয়ে যাওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হাজারো মানুষ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের রোগীদের দ্রুত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে দ্বিতীয় লোকাল গভর্নেন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট এলজিএসপি-২ প্রকল্পের আওতায় একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ‘কমিউনিটি অ্যাম্বুলেন্স’ হিসেবে দেওয়া হয়। প্রতিটিতে ব্যয় হয় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন নাটোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. খলিলুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ও চালকের বাড়ির আঙিনায় পড়ে আছে বিকল অ্যাম্বুলেন্সগুলো। অযত্নে চাকাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দিনমজুর আকবর আলী বলেন, তাঁর বর্তমানে আয়-উপার্জন নেই। রোগ-শোকে মরে যাচ্ছেন তিনি। গরিবের অ্যাম্বুলেন্স চলাকালীন অল্প খরচে হাসপাতালে আসতে পারতেন তিনি।
হাসপাতালে আসা আরেক রোগী মো. হাদম আলী (৬২) বলেন, আগে রাতে কেউ অসুস্থ হলে গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল এই অ্যাম্বুলেন্সগুলো। এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগী পরিবহন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
নাজমা খাতুন (৬৬) বলেন, হঠাৎ তিনি গত মাসে অসুস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আশপাশের মানুষ অনেক চেষ্টা করেও গাড়ি আনতে পারেননি। গ্রামীণ রাস্তা হওয়ায় বড় গাড়ি আসে না। তাই তাঁর ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
লালপুরের অ্যাম্বুলেন্সের চালক দফাদার এস্কেন্দার আলী বলেন, সচল অবস্থায় গরিব রোগীদের সেবা দিতে মনে অনেক আনন্দ লাগত।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাটারি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় বিকলহয়ে আছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে দেওয়া ছিল। চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে সেগুলো চলাচল উপযোগী করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪