Ajker Patrika

পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে

প্রতিনিধি, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) 
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৩১
পানি কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়া পরিবারগুলো কষ্টে দিন পার করছেন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের বাড়িতে।

বন্যাকবলিত এলাকায় ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।

নদীভাঙনের পর নতুন নতুন সংকট তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলায় খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া, উমারপুর ও স্থলচর এলাকার নিম্নাঞ্চলে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় বর্ষার শুরুতেই তা তলিয়ে যায়। এ সব এলাকার যাতায়াতের রাস্তাগুলো কাঁচা ও নিচু। এ কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে।

উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। যার কারণে এখন পানি নেমে যাওয়ায় নৌকার পথও বন্ধ। তাই হেঁটে চলাচলও অসম্ভব হয়ে গেছে।’

রেহাইপুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বুলবুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘চৌহালী দক্ষিণাঞ্চলে রাস্তার যে অবস্থা, তা সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইলের অন্য কোথাও আছে বলে মনে হয় না। দ্রুত চৌহালীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ ও রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানাই।’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যমুনার তাণ্ডবলীলায় সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে সদিয়াচাদপুর, খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া ও উমারপুরের হাজারো পরিবার। বন্যার কারণে নৌডুবি ও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে এখানে।

উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী জানান, তাঁর ইউনিয়নের বিনানই ও চরসলিমাবাদ গ্রামে প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিলীন হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অনেক বাড়িঘর। আর নদীসংলগ্ন ফসলি জমিতে বালু জমে গেছে, ফলে সেখানে ফসল ফলানো কঠিন হবে। গবাদিপশুর খাদ্যসংকট তীব্র হচ্ছে।

ত্রাণ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার বলেন, ত্রাণসহায়তা তেমন নেই। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) এগিয়ে আসছে না।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মজনু মিয়া জানান, এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকায় চাল বিতরণ করা হয়েছে ২০ মেট্রিক টন। শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অতিরিক্ত ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। গোখাদ্য ও শিশু খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ১০৫ বান্ডিল ঢেউটিন ও নগদ ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ৪ হাজার ৭৮০টি পরিবারে ত্রাণ বিতরণ ও কার্যক্রম চলমান আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত