Ajker Patrika

জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ০৯: ৫৮
জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রমের নিয়োগে অনিয়ম এবং প্রশিক্ষণে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আবেদন কম হওয়ায় শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ৯ আগস্ট উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা কামরুন নেছা স্বাক্ষরিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস। সেই নিয়োগে বলা হয়, তথ্য সংগ্রহকারীকে কোটা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মৌজা বা গ্রামের হতে হবে এবং ১ জুলাই ২০২১ বয়স হতে হবে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে। কিন্তু নিয়ম না মেনে মালখানগর ইউনিয়নে বাসাইল ইউনিয়নের হাতেম আলীর ছেলে ৩৬ বছর বয়সী ইমরান হোসেন, ইছাপুরা গ্রামের অরুণ কুমার ভট্টাচার্যের ছেলে অভিজিৎ ভট্টাচার্য ও বয়রাগাদী ইউনিয়নের মুনশুর আলী গাজীর ছেলে গাজী মাহাবুবকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

গাজী মাহাবুব রহমানের জন্মসনদের বিষয়ে মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আমিনুর রহমান বলেন, ‘এ জন্মনিবন্ধন আমাদের ইউনিয়নের না।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাসাইল ইউনিয়নের হাতেম আলীর ছেলে ইমরান হোসেনের বয়স ৩৬ বছর।

গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, ট্রেনিংয়ের সময় অযথা হেনস্তা করতে ৫-১০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখেন উপজেলার ৫ নম্বর জোনাল অফিসার আসাদুজ্জামান খান সজিব।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান সজিব বলেন, ‘মালখানগর ইউনিয়নে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল ছিলেন, তাঁদের দাঁড় করিয়ে রেখে সবার ট্রেইনিং যাতে সুন্দর হয়, সে ব্যবস্থা করেছি।’

উপজেলা পরিসংখ্যান (ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব) কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, ‘তখন আমি ছিলাম না। তবে আবেদনকরী খুব কম ছিল। তাই বোর্ডে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কিছু নিয়োগ বিধি শিথিল করেছিলেন বলে জেনেছি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, ‘এ বিষয়টি জানতাম না, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত