Ajker Patrika

ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ হাসপাতালে ভিড়

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ১৬
ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ হাসপাতালে ভিড়

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে শীতের শুরুতেই বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি নিয়ে রোগী আসছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যে, প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। তার অর্ধেকের বেশি ঠান্ডাজনিত রোগী। যা আগের মাসের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে ৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।

গতকাল সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, রোগীর চাপ বেশি। তাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। তারা সবাই জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা সামছুনাহার বলেন, ‘ছেলেটি কয়েক দিন ধরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত। তাই তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি।’

ময়না আক্তার নামে এক মা বলেন, ‘মেয়ের কয়েক দিন ধরেই ঠান্ডা-কাশি। সে জন্য আজকে ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’

ফরিদ হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, হঠাৎ করেই শীত নেমেছে। আমার ছেলেটাও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ জন্য দেরি না করে ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা জানান, এখন ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। যদিও হিমশিম খাওয়ার মতো রোগীর চাপ নেই। তারপরও আমরা প্রস্তুত আছি। শিশু রোগীর জন্য আলাদা আইএমসিআই কর্নার আছে। সেখানে একজন শিশু কনসালট্যান্ট, একজন মেডিকেল অফিসার, একজন এসএসএমও ও একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স দায়িত্ব পালন করছেন।

আঞ্জুমান আরা আরও বলেন, শীতের শুরুতে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ একটু বাড়ে। এ জন্য শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। শিশুর যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে মোটা কাপড় পরিধান করাতে হবে। শিশুদের ধুলাবালু থেকে দূরে রাখতে হবে। তাদের খাবার ও খাবারের পাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। পচা-বাসি খাবার খাওয়ানো যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত