Ajker Patrika

মারধরে হাসপাতালে বাইকচালক

মনিরামপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০৭
মারধরে হাসপাতালে বাইকচালক

যশোরের মনিরামপুরে মোটরসাইকেল জব্দ করা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে।

এ সময় তাঁর স্ত্রীকে পুলিশ লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ। মারধরের শিকার মনিরুল ইসলামকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট মেহেদী হাসান মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, ‘আমরা তাঁকে মারধর করিনি। সুন্দরভাবে বুঝাইছি।’

জানা গেছে, যশোর থেকে আসা সার্জেন্ট মেহেদী হাসান গত সোমবার বিকেলে তাহেরপুর চার রাস্তার মোড়ে অবৈধ মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। এ সময় তিনি ও সঙ্গে থাকা লোকজন মোটরসাইকেল চালক মনিরুলকে বেধড়ক মারধর করেন।

আহত মনিরুল ইসলাম মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের সামছুল মোড়লের ছেলে। তিনি পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক।

মারধরের পর মনিরুলের কাছে থাকা ২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে।

মনিরুলের স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, ‘সোমবার বিকেলে আমার স্বামীর মোটরসাইকেলে চড়ে আমরা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলাম। তখন তাহেরপুর চার রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ আমাদের থামায়। তাঁরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার স্বামী দেখান। এরপর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান তাঁরা। আমার স্বামীর ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন করা আছে। সেই কাগজ দেখালে পুলিশ মূল কপি চায়। মূল কাগজ সঙ্গে না থাকায় মামলা দেন।’

শিউলি বেগম আরও বলেন, ‘কাগজ দেখা নিয়ে কথাকাটাকাটি হলে সার্জেন্টর সঙ্গে থাকা লোকজন আমার স্বামীকে পেটাতে থাকেন। আমি ঠেকাতে গেলে আমার হাতে আঘাত লাগে। এরপর তাঁরা আমার স্বামীকে মারতে মারতে মাইক্রো বাসে তুলে মনিরামপুর বাজারের দিকে নিয়ে আসেন। গাড়ির ভেতরে আমার স্বামীকে মারধর কররা হয়। একপর্যায়ে তাঁরা আমার স্বামীকে রাস্তায় ফেলে যান। পরে লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সার্জেন্ট মেহেদী ও তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা মাইক্রোবাসের ভেতরে আমাকে খুব মেরেছে। তাঁরা আমার কাছেথাকা দুই হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে। আবার ৩ হাজার টাকার মামলা দিয়েছে।’

মনিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় আক্তার হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে মনিরুল নামে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর স্যালাইন চলছে।’

জানতে চাইলে সার্জেন্ট মেহেদী হাসান মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘একজন কনস্টেবল ও সঙ্গে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের নিয়ে মনিরামপুরে অভিযানে ছিলাম। মনিরুল খারাপ প্রকৃতির লোক। মামলা দেওয়ার পর তিনি আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আমরা তাঁকে মারধর করিনি। সুন্দরভাবে বুঝাইছি।’

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, ‘শুনেছি ওই মোটরসাইকেল চালক পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত