Ajker Patrika

এক দিনের ব্যবধানে বেড়ে গেল দাম

এম মেহেদী হাসিন, রংপুর
আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১২: ১০
এক দিনের ব্যবধানে বেড়ে গেল দাম

প্রতিবছর পবিত্র রমজান মাসের আগে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম বাড়বে, এটিই যেন নিয়ম। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রংপুরে রোজা ঘিরে এক দিনের ব্যবধানে ইফতারি তৈরির অন্যতম উপকরণ বেগুন, শসা আর ধনেপাতার দাম বেড়ে গেছে।

গতকাল রোববার সিটি বাজারের পাইকারি ও খুচরা অংশ ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।

খুচরা এবং পাইকারি বিক্রেতারাই বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তবে কেন দাম বেশি এ নিয়ে সদুত্তর নেই তাঁদের কাছে। কোনো কারণ ছাড়াই বাড়ছে দাম। বিক্রেতাদের সরল জবাব, রোজা এলে এমনিতেই দাম বাড়ে।

সিটি বাজারের পাইকারি বেগুন বিক্রেতা মোহা. হাবিবুর রহমান জানান, গোল সাদা বেগুন প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। যেটা একদিন আগেও বিক্রি হতো ২০০ টাকার নিচে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। যেটা শুক্রবার ও শনিবার সকালে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা দরে।

আরেক ব্যবসায়ী নুর হোসেন জানান, তিস্তা বেগুন (মোটা) এখন পাঁচ কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ‘খটখটিয়া’ বেগুনে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।

পাইকারি বাজারের এই দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারে প্রভাব ফেলেছে। সবজি বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বেগুন কিনছি ৪৮ টাকা কেজি দরে, বেচতেছি ৬০ টাকা। বেশি দরে কিনছি, তাই বেশি দরে বেচি। দোকানে তো লোক আছে। তাঁদের তো বেতন দিতে হবে।’

নুর ইসলাম নামে আরেক খুচরা বিক্রেতা জানান, দেশি শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। যেটা একদিন আগে বিক্রি হতো ৬০ টাকা দরে। ৪০ টাকা কেজির হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর ৩০ টাকা কেজির ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

নুর ইসলাম বলেন, ‘সকালে যখন কিনবের যাই, তখন মহাজন বলে আগোত টাকা দেও পরে মাল নেও। সব মালের দাম বাড়ছে।’

হঠাৎ করে এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। মো. ইউসুফ আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এসেই এমন আচমকা দাম শুনলে তো মেজাজ ঠিক থাকে না। কেউ কি এগুলো দেখে না? দাম বাড়ার তো একটা কারণ থাকে নাকি? এভাবে কী জীবন চলে?’

ক্রেতা মহসিনা বেগমের মতে, ইফতারিতে বেগুনির বেশ চাহিদা থাকে। সেটার দাম এমন অযৌক্তিকভাবে বাড়লে মানুষ খাবে কী? এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রংপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, ‘আমাদের টিম মূলত তেলের দামটি দেখছে। তাঁরা বাজারে গেছে, কাজ করছে। তেলের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের প্রতিও লক্ষ্য রাখতে বলব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালদূষণকারী কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব পুরস্কার

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

নামের ভুলে বেতন বন্ধ ৫,০০০ শিক্ষক-কর্মচারীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত