Ajker Patrika

গ্রামে গ্রামে সর্দি-জ্বর

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৫
গ্রামে গ্রামে সর্দি-জ্বর

শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নড়াইলের কালিয়ার গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি-জ্বরসহ শরীর ব্যথা। প্রতিদিনই বাড়ছে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে উপজেলার অসংখ্য মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

জ্বরাক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলেও তাঁরা করোনা পরীক্ষা করতে নারাজ। আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল মল্লিক। এখন পর্যন্ত উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ প্রাণ হারাননি।

কালিয়া হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দেশে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে উপজেলার গ্রাম গুলোতে সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথায় আক্রান্তদের একটি ক্ষুদ্র অংশ হাসপাতালের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই করোনার পরীক্ষা করাতে রাজি হচ্ছেন না। তবে গত ১০ দিনে ৪৪ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষই স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন।

উপজেলার চাচুড়ী বাজারের পল্লিচিকিৎসক মো. রাজিমুল ইসলাম ও কলাবাড়িয়া বাজারের পল্লিচিকিৎসক এস কে মুফিজুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাঁরা প্রতিদিনই ১০-১৫ জন সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত নতুন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। আর ওই সব রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ রোগীই অল্প সময়ের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।

সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথা থাকা উপজেলার বাঐসোনা গ্রামের কামাল মোল্যাসহ অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরাসহ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া তাদের আশপাশের পরিবারের সদস্যদের কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন। তাঁরা স্থানীয়ভাবে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা পরীক্ষার ঝামেলা এড়াতে তাঁরা হাসপাতালে যাননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল মল্লিক উপজেলার গ্রামগুলোতে সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, সর্দি-জ্বর আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেশির ভাগ রোগী স্থানীয়ভাবে পল্লিচিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অল্পসংখ্যক রোগী হাসপাতালে আসলেও তাঁরা নমুনা পরীক্ষায় রাজি হন না।

তিনি আরও জানান, যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁরা স্থানীয় চিকিৎসায় ৪-৫ দিনের মধ্যেই সেরে উঠছেন। কাজেই বর্তমান চলমান সর্দি-জ্বর ও শরীর ব্যথায় আক্রান্তদের ভয়ের কিছুই নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত