Ajker Patrika

বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণে এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা

ভূঞাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ৩৭
বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণে  এগিয়ে যাচ্ছেন নারীরা

রূপচর্চা ও প্রসাধনের জন্য বিউটি পারলারে যান না, এমন ফ্যাশন অসচেতন নারী পাওয়া দূরূহ। শুধু তাই নয়, নারীদের বড় একটি কাজের স্থানজুড়ে আছে বিউটি পারলার। পারলারের জনপ্রিয়তা দিন-দিন বেড়েই চলেছে। সীমিত আকারে হলেও ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে। বাঙালি নারীদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীরাও বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিয়ে পারলারের কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কাউকে পরিপাটিভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার মাধ্যমে গৃহবধূ কিংবা কলেজপড়ুয়া ছাত্রীরাও হতে পারছেন স্বাবলম্বী। তাইতো ভূঞাপুরে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয়ের অধীনে নারীদের বিনা মূল্যে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জুন শুরু হয়ে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জাইকার সহযোগিতায় বিনা মূল্যে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এ প্রশিক্ষণে দুজন প্রশিক্ষক ২০ নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদপত্র ও সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কেউ পড়াশোনা করছেন, কেউ আবার গৃহিণী।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কার্যালয় থেকে ৬ মাস আগে বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নেন নুসরাত জাহান। বর্তমানে তিনি অন্যদের বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে যেসব নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ হোম পারলার বা পারলারের দোকানে কাজ করছেন।

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া নারীরা জানান, ‘প্রশিক্ষণটি একজন নারীর জন্য খুবই দরকার। কর্মক্ষেত্রে না হোক নিজে বা পরিবারের নারীদের রূপচর্চা ও প্রসাধনের বিষয়ে কাজে লাগবে। এ ছাড়া এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। প্রশিক্ষণে অনেক কিছু জানতে এবং শিখেছেন তাঁরা। তবে প্রশিক্ষণটি মাসব্যাপী হলে ভালো হতো আরও অনেক কিছু জানা যেত।

প্রশিক্ষক নুসরাত জাহান বলেন, ‘আমি নিজেও এখান থেকে বিউটিফিকেশনের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। এখন আমি নিজেই প্রশিক্ষক। আমার মতে অনেকেই এখান থেকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই হোম পারলারের কাজ করছেন।’

প্রশিক্ষক সাদিকুন নাহার প্রিমা বলেন, বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণে রূপচর্চাসংশ্লিষ্ট উপকরণ সম্পর্কে যেমন ফেসিয়াল, ব্লিচ, ম্যানিকিউর, পেডিকিউর, চুল কাটা, ভ্রু প্লাক, মুখ ম্যাসেজ, হেয়ার স্টাইল, বউ সাজানো ইত্যাদি কাজে দক্ষতার জন্য প্রশিক্ষণ করানো হচ্ছে। তাঁরা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারবেন। যেকোনো অনুষ্ঠানে তাঁরা সাজানোর কাজ করতে পারবেন। তবে প্রশিক্ষণটির মেয়াদ বাড়ানো হলে অনেক কিছু জানতে পারতেন তাঁরা।

উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কনিকা মল্লিক বলেন, জাপানি সংস্থা জাইকার সহায়তায় নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১২ দিনের বিউটিশিয়ানের প্রশিক্ষণ হয়েছে। এতে প্রশিক্ষণার্থীরা সনদের পাশাপাশি সম্মানী ভাতা পাবেন। এ ছাড়া এই প্রশিক্ষণ গ্রহণে নারীরা তাঁদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত