সাজন আহম্মেদ পাপন, কিশোরগঞ্জ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে আছেন কিশোরগঞ্জের মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন তাঁরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে বলে মনে করেন এ দুই শ্রেণির মানুষ।
এসব মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা জানান, দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আয় বাড়ছে না, বাড়ছে ব্যয়। এমন অবস্থায় সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
জেলা শহরের কাচারিবাজার, বড়বাজার, বউবাজারে গিয়ে দেখা যায়, উচ্চবিত্তরা তাঁদের মনমতো বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনছেন খুবই অল্প। যা না কিনলেই নয়।
জানা গেছে, চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৪০ টাকা, চিনির কেজি ৯৫, মসুরি ডালের কেজি ১১০, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০, রসুন ৯০, খাসির মাংস ৯৫০, গরুর মাংস ৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে লাউ প্রতি পিস ৫০-৭০, টমেটো ১০০, শিম ১৫০, কচুর মুখী ৪০, করলা ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এর পেছনে এক শক্তিশালী চক্র। জেলা শহরের বড়বাজারের হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী এ চক্রের নিয়ন্ত্রক। তাঁরাই খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানো-কমানোর মূলে রয়েছেন।
তাঁরা আরও জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা ও জেলা বাজার কর্মকর্তাকে বাজারে দেখা যায় না বললেই চলে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এ চক্রের উৎপত্তি বলেও মন্তব্য করেন।
জেলা শহরের গাইটাল এলাকার আল-আমিন, মুরাদ, আনোয়ার, স্বপন, তৌহিদ জানান, যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালাতে পারছেন না। বাজার মনিটরিং বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হবে।
সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের মইশহালি গ্রামের রিকশাচালক হান্নান বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। দিন আনি, দিন খাই। যেভাবে দাম বাড়ছে, না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।’
সদর উপজেলার বাদে শোলাকিয়া গাছবাজার এলাকার রিকশাচালক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘বাঁইচা যেহেতু থাকতে হইব আমাদের, কম-বেশ খাইতে হইব। তাই অল্প অল্প করে কিনে কোনোরকম খাইয়া বাঁইচা আছি।’
ক্যাবের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু বলেন, ‘সকাল-সন্ধ্যা বাজার মনিটরিং করতে হবে। শক্তিশালী চক্র ভেঙে দিতে হবে। কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করে যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, ‘বাজার মনিটরিং আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করি। আগামী রোববার থেকে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা মাঠে কাজ করব।’
চক্র বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে আছেন কিশোরগঞ্জের মধ্য ও নিম্নবিত্তরা। আয়ের বিপরীতে ব্যয় বেশি হওয়ায় চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন তাঁরা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে বলে মনে করেন এ দুই শ্রেণির মানুষ।
এসব মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা জানান, দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আয় বাড়ছে না, বাড়ছে ব্যয়। এমন অবস্থায় সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।
জেলা শহরের কাচারিবাজার, বড়বাজার, বউবাজারে গিয়ে দেখা যায়, উচ্চবিত্তরা তাঁদের মনমতো বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন। আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনছেন খুবই অল্প। যা না কিনলেই নয়।
জানা গেছে, চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা, প্রতি হালি ডিম ৪০ টাকা, চিনির কেজি ৯৫, মসুরি ডালের কেজি ১১০, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭০, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০, রসুন ৯০, খাসির মাংস ৯৫০, গরুর মাংস ৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে লাউ প্রতি পিস ৫০-৭০, টমেটো ১০০, শিম ১৫০, কচুর মুখী ৪০, করলা ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এর পেছনে এক শক্তিশালী চক্র। জেলা শহরের বড়বাজারের হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী এ চক্রের নিয়ন্ত্রক। তাঁরাই খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানো-কমানোর মূলে রয়েছেন।
তাঁরা আরও জানান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা ও জেলা বাজার কর্মকর্তাকে বাজারে দেখা যায় না বললেই চলে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে এ চক্রের উৎপত্তি বলেও মন্তব্য করেন।
জেলা শহরের গাইটাল এলাকার আল-আমিন, মুরাদ, আনোয়ার, স্বপন, তৌহিদ জানান, যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালাতে পারছেন না। বাজার মনিটরিং বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হবে।
সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের মইশহালি গ্রামের রিকশাচালক হান্নান বলেন, ‘রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। দিন আনি, দিন খাই। যেভাবে দাম বাড়ছে, না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।’
সদর উপজেলার বাদে শোলাকিয়া গাছবাজার এলাকার রিকশাচালক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘বাঁইচা যেহেতু থাকতে হইব আমাদের, কম-বেশ খাইতে হইব। তাই অল্প অল্প করে কিনে কোনোরকম খাইয়া বাঁইচা আছি।’
ক্যাবের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলম সারোয়ার টিটু বলেন, ‘সকাল-সন্ধ্যা বাজার মনিটরিং করতে হবে। শক্তিশালী চক্র ভেঙে দিতে হবে। কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করে যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, ‘বাজার মনিটরিং আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করি। আগামী রোববার থেকে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা মাঠে কাজ করব।’
চক্র বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪