তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
সাভারে শিক্ষক হত্যা, নড়াইলে শিক্ষক নির্যাতনসহ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষকদের সঙ্গে অপ্রত্যাশিক একাধিক ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলন হচ্ছে। তেমনি তিন বছর আগের এই দিনে (২ জুলাই) চট্টগ্রামের প্রবীণ অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো দেশকে। কিন্তু সেই ঘটনার এখন পর্যন্ত বিচারই হয়নি। ঘটনায় ২১ জন জড়িত থাকলেও দুজনকে আটক করে দায় সারে পুলিশ।
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছিল খুলশীর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি) ক্যাম্পাসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ বছর শিক্ষকতা করার পর ২০১৬ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন মাসুদ মাহমুদ। পরে বিভাগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়ে বিভাগের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেন তিনি। এর অংশ হিসেবে কিছু শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস না করায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারান।
দক্ষতার প্রশ্ন ওঠায় চাকরিচ্যুত হন কয়েকজন শিক্ষকও। এসবের পেছনে মাসুদ মাহমুদের ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। চাকরি হারানো শিক্ষকদের ইন্ধনে ওই শিক্ষার্থীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের এপ্রিলে আন্দোলনে নামেন। তবে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে আরও পরে একই বছরের ২ জুলাই। প্রথমে নিজের কক্ষ থেকে মাসুদ মাহমুদকে বের করে আনেন শিক্ষার্থী নামধারী দুর্বৃত্তরা। পরে ধাক্কা দিতে দিতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের দিকে নিয়ে যান তাঁরা। একটু পরই কেরোসিন দিয়ে মাসুদ মাহমুদের পুরো শরীর ভিজিয়ে দেন তাঁরা। আশপাশের মানুষ এসে উদ্ধার করেন মাসুদ মাহমুদকে।
সেই ঘটনার পর অপমানে শিক্ষকতাই ছেড়ে দেন মাসুদ মাহমুদ। নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে করে গলা কেঁপে ওঠে মাসুদ মাহমুদের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিন ওই শিক্ষার্থীদের হাতে দেশলাই না থাকায় বেঁচে গিয়েছিলাম। তাঁরা তো চেয়েছিল আমাকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে।’
মামলার বিষয়ে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ বলেছে জড়িতদের খুঁজে পাচ্ছেন না। অথচ সবাই এখনো প্রকাশ্যেই আছেন। আমিও তাই আর কিছু বলছি না। কেননা তাঁরা আবার নতুন করে আমার ওপর হামলা করতে পারে। আসলে আমাদের কপালে দুঃখ ছিল বলেই শিক্ষক হয়েছিলাম। এমন দেশে শিক্ষক হওয়া যায় নাকি!’
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হত্যা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সেসব ঘটনা তুলে ধরে মাসুদ মাহমুদ বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার ঘটনায় যদি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো, তাহলে আজ এমন ঘটনা আর ঘটত না। আমাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে অবলম্বন করেই তো আজ দেশজুড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। তখন যদি দুষ্কৃতকারীদের রাশ টেনে ধরা হতো, তাহলে নতুন করে কেউ চোখ রাঙানোর সাহস করতেন না।’
মামলার বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এত দিনে ঘটনার বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা। তিনি (মাসুদ মাহমুদ) আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তাঁকে সহযোগিতা করব।’
সাভারে শিক্ষক হত্যা, নড়াইলে শিক্ষক নির্যাতনসহ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষকদের সঙ্গে অপ্রত্যাশিক একাধিক ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলন হচ্ছে। তেমনি তিন বছর আগের এই দিনে (২ জুলাই) চট্টগ্রামের প্রবীণ অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে হত্যাচেষ্টার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো দেশকে। কিন্তু সেই ঘটনার এখন পর্যন্ত বিচারই হয়নি। ঘটনায় ২১ জন জড়িত থাকলেও দুজনকে আটক করে দায় সারে পুলিশ।
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছিল খুলশীর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি) ক্যাম্পাসে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ বছর শিক্ষকতা করার পর ২০১৬ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে যোগ দেন মাসুদ মাহমুদ। পরে বিভাগের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়ে বিভাগের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নেন তিনি। এর অংশ হিসেবে কিছু শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাস না করায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারান।
দক্ষতার প্রশ্ন ওঠায় চাকরিচ্যুত হন কয়েকজন শিক্ষকও। এসবের পেছনে মাসুদ মাহমুদের ভূমিকা ছিল বলে মনে করেন ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। চাকরি হারানো শিক্ষকদের ইন্ধনে ওই শিক্ষার্থীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাসুদ মাহমুদের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের এপ্রিলে আন্দোলনে নামেন। তবে ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে আরও পরে একই বছরের ২ জুলাই। প্রথমে নিজের কক্ষ থেকে মাসুদ মাহমুদকে বের করে আনেন শিক্ষার্থী নামধারী দুর্বৃত্তরা। পরে ধাক্কা দিতে দিতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের দিকে নিয়ে যান তাঁরা। একটু পরই কেরোসিন দিয়ে মাসুদ মাহমুদের পুরো শরীর ভিজিয়ে দেন তাঁরা। আশপাশের মানুষ এসে উদ্ধার করেন মাসুদ মাহমুদকে।
সেই ঘটনার পর অপমানে শিক্ষকতাই ছেড়ে দেন মাসুদ মাহমুদ। নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে করে গলা কেঁপে ওঠে মাসুদ মাহমুদের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেদিন ওই শিক্ষার্থীদের হাতে দেশলাই না থাকায় বেঁচে গিয়েছিলাম। তাঁরা তো চেয়েছিল আমাকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে।’
মামলার বিষয়ে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশ বলেছে জড়িতদের খুঁজে পাচ্ছেন না। অথচ সবাই এখনো প্রকাশ্যেই আছেন। আমিও তাই আর কিছু বলছি না। কেননা তাঁরা আবার নতুন করে আমার ওপর হামলা করতে পারে। আসলে আমাদের কপালে দুঃখ ছিল বলেই শিক্ষক হয়েছিলাম। এমন দেশে শিক্ষক হওয়া যায় নাকি!’
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হত্যা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সেসব ঘটনা তুলে ধরে মাসুদ মাহমুদ বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার ঘটনায় যদি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতো, তাহলে আজ এমন ঘটনা আর ঘটত না। আমাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে অবলম্বন করেই তো আজ দেশজুড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। তখন যদি দুষ্কৃতকারীদের রাশ টেনে ধরা হতো, তাহলে নতুন করে কেউ চোখ রাঙানোর সাহস করতেন না।’
মামলার বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এত দিনে ঘটনার বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা। তিনি (মাসুদ মাহমুদ) আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা তাঁকে সহযোগিতা করব।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫