হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ সরিষা দেশেই চাষাবাদ হয়। কিন্তু এরপরও দেশের বাজারে এই তেলের দাম এখন বাড়ছে। এক মাস আগে এক লিটার সুরেশ সরিষার তেল বিক্রি হয়েছিল ৩২০ টাকায়। এখন ওই তেল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৮০ টাকা।
মুদি দোকানিরা বলছেন, সুরেশ সরিষার তেল নয়, এক মাসের ব্যবধানে বাজারে এখন সব ব্র্যান্ডের সরিষার তেলের দামই বেড়েছে। ব্র্যান্ডভেদে প্রতি লিটারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সরিষা তেলের দাম।
দেশে উৎপাদিত একটি পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সয়াবিন, পাম অয়েলের দাম বাড়িয়ে একটি পক্ষ সুবিধা পেলেও তাদের কোনো জবাবদিহি করতে হয়নি। তাই অন্যরা দাম বাড়াতে এখন উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। না হয়, কোনো কারণ ছাড়া দেশে উৎপাদিত একটি পণ্যের দাম কেন বাড়বে?
খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মার্চ মাসে প্রতিমণ সরিষা বিক্রি হয় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ সরিষার বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এই হিসাবে গত তিন মাসে মণপ্রতি সরিষার দাম বেড়েছে ৫৫০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যেখানে প্রতি কেজিতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। সেখানে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা।
পাহাড়তলী এলাকার কেআরসি বাবা অয়েল মিলের ম্যানেজার এ বি এম ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন সরিষার দাম বেশি। সে কারণে তেলের দাম বাড়ছে। রমজানের আগে প্রতিমণ সরিষার দাম ছিল ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। ওই সরিষা এখন প্রতিমণ কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৭৮০ টাকায়। আমদানি করা সরিষা প্রতিমণ ৩ হাজার ৬৫০ টাকা। সরিষার দাম বেড়ে যাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে।
উদ্ভিদ সংঘনিরোধ (চট্টগ্রাম বন্দর) কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে মোট ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬২ মেট্রিক টন সরিষা আমদানি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৫৮ হেক্টর জমিতে ৯৩২ দশমিক ৩৪ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৬৫ হেক্টর জমিতে ৯৪১ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়। উপজেলা পর্যায় থেকে উৎপাদনের তথ্য না পাওয়ায় এবার কী পরিমাণ সরিষা উৎপাদন হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ সম্পর্কে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. সুরজিত সাহা রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্য তেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে সয়াবিন, পাম তেলের চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। দেশে সরিষা তেলের যে পরিমাণ চাহিদা আছে, তার ৭০ শতাংশের বেশি দেশীয় সরিষা থেকেই মেটানো হয়।
চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ সরিষা দেশেই চাষাবাদ হয়। কিন্তু এরপরও দেশের বাজারে এই তেলের দাম এখন বাড়ছে। এক মাস আগে এক লিটার সুরেশ সরিষার তেল বিক্রি হয়েছিল ৩২০ টাকায়। এখন ওই তেল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৮০ টাকা।
মুদি দোকানিরা বলছেন, সুরেশ সরিষার তেল নয়, এক মাসের ব্যবধানে বাজারে এখন সব ব্র্যান্ডের সরিষার তেলের দামই বেড়েছে। ব্র্যান্ডভেদে প্রতি লিটারে ৫০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সরিষা তেলের দাম।
দেশে উৎপাদিত একটি পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সয়াবিন, পাম অয়েলের দাম বাড়িয়ে একটি পক্ষ সুবিধা পেলেও তাদের কোনো জবাবদিহি করতে হয়নি। তাই অন্যরা দাম বাড়াতে এখন উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। না হয়, কোনো কারণ ছাড়া দেশে উৎপাদিত একটি পণ্যের দাম কেন বাড়বে?
খাতুনগঞ্জের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মার্চ মাসে প্রতিমণ সরিষা বিক্রি হয় ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ সরিষার বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এই হিসাবে গত তিন মাসে মণপ্রতি সরিষার দাম বেড়েছে ৫৫০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যেখানে প্রতি কেজিতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। সেখানে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা।
পাহাড়তলী এলাকার কেআরসি বাবা অয়েল মিলের ম্যানেজার এ বি এম ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন সরিষার দাম বেশি। সে কারণে তেলের দাম বাড়ছে। রমজানের আগে প্রতিমণ সরিষার দাম ছিল ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। ওই সরিষা এখন প্রতিমণ কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৭৮০ টাকায়। আমদানি করা সরিষা প্রতিমণ ৩ হাজার ৬৫০ টাকা। সরিষার দাম বেড়ে যাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে।
উদ্ভিদ সংঘনিরোধ (চট্টগ্রাম বন্দর) কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে মোট ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬২ মেট্রিক টন সরিষা আমদানি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৫৮ হেক্টর জমিতে ৯৩২ দশমিক ৩৪ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭৬৫ হেক্টর জমিতে ৯৪১ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়। উপজেলা পর্যায় থেকে উৎপাদনের তথ্য না পাওয়ায় এবার কী পরিমাণ সরিষা উৎপাদন হয়েছে তা জানা যায়নি।
এ সম্পর্কে কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. সুরজিত সাহা রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে ২৩ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্য তেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে সয়াবিন, পাম তেলের চাহিদা ২০ লাখ মেট্রিক টনের মতো। দেশে সরিষা তেলের যে পরিমাণ চাহিদা আছে, তার ৭০ শতাংশের বেশি দেশীয় সরিষা থেকেই মেটানো হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪