আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
কত রকমভাবেই তো দেখা যায় জীবন। বেশ আগের কথা। একবার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বেড়াতে গেছেন কক্সবাজারে। সেখানে তখন মুক্তধারার বইমেলা চলছে। অনেকের মনে পড়ে যাবে নিশ্চয়ই, সে সময় মুক্তধারার নানা পোস্টার-ফেস্টুনে লেখা থাকত ‘বই পড়ুন’, ‘বই কিনুন’, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’—এ ধরনের অনেক কিছু।
এখন অনেক বড় বড় প্রকাশনালয় হয়েছে, কিন্তু সে সময়টিতে মুক্তধারা ছিল সবচেয়ে বড় প্রকাশনা সংস্থা। রুচিশীল বই প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নান্দনিক মহলে ঠাঁই করে নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। অনেকেরই মনে পড়বে, বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা হয়েছিল মূলত চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কক্সবাজারে পৌঁছে খোঁজ করলেন চিত্তরঞ্জন সাহার। জেনে নিলেন তিনি কোন হোটেলে উঠেছেন। একদিন বিকেলে চলে গেলেন সেখানে। দেখলেন, অন্ধকার ঘরের ম্লান আলোয় বসে কী যেন লিখছেন চিত্তরঞ্জন সাহা। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বললেন, ‘এখন বিকেল, চিত্তদা। সমুদ্রের সৈকতে উদ্দাম হাওয়া আর উত্তাল ঢেউ অলৌকিক পৃথিবী তৈরি করে রেখেছে। এমন সময় আপনি অন্ধকার ঘরে!’চিত্তরঞ্জন সাহা একটি খাতা দেখিয়ে বললেন, ‘দেখুন, এই মাসে এই ৫০০ চিঠি লিখেছি।’
অর্থাৎ সমুদ্রের হাওয়া খেতে চিত্তরঞ্জন সাহা কক্সবাজারে আসেননি। বইমেলা চালানোর পাশাপাশি ব্যবসাটাও চালিয়ে নিচ্ছেন এখান থেকে।কৌতূহলী আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘চিত্তদা, কক্সবাজারের মতো অপার্থিব জায়গায় এসে অন্ধকার ঘরে বসে আপনি এত কাজ করতে পারলেন?’চিত্তরঞ্জন সাহা হেসে বললেন, ‘এ জীবন কর্মময়, মরিলে বিশ্রাম হয়।’
মানলেন না আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বললেন, ‘দাদা, মরেই যদি গেলাম, তবে বিশ্রামটা নেবে কে? আমি মনে করি, এ জীবনেই কর্ম, এ জীবনেই বিশ্রাম।’
বাঁচার দুই রকম মানে আছে, সেটাও পরিষ্কার হয়ে গেল আমাদের কাছে।
সূত্র: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬২
কত রকমভাবেই তো দেখা যায় জীবন। বেশ আগের কথা। একবার আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বেড়াতে গেছেন কক্সবাজারে। সেখানে তখন মুক্তধারার বইমেলা চলছে। অনেকের মনে পড়ে যাবে নিশ্চয়ই, সে সময় মুক্তধারার নানা পোস্টার-ফেস্টুনে লেখা থাকত ‘বই পড়ুন’, ‘বই কিনুন’, ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’—এ ধরনের অনেক কিছু।
এখন অনেক বড় বড় প্রকাশনালয় হয়েছে, কিন্তু সে সময়টিতে মুক্তধারা ছিল সবচেয়ে বড় প্রকাশনা সংস্থা। রুচিশীল বই প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানটি নান্দনিক মহলে ঠাঁই করে নিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। অনেকেরই মনে পড়বে, বাংলা একাডেমিতে বইমেলার সূচনা হয়েছিল মূলত চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কক্সবাজারে পৌঁছে খোঁজ করলেন চিত্তরঞ্জন সাহার। জেনে নিলেন তিনি কোন হোটেলে উঠেছেন। একদিন বিকেলে চলে গেলেন সেখানে। দেখলেন, অন্ধকার ঘরের ম্লান আলোয় বসে কী যেন লিখছেন চিত্তরঞ্জন সাহা। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বললেন, ‘এখন বিকেল, চিত্তদা। সমুদ্রের সৈকতে উদ্দাম হাওয়া আর উত্তাল ঢেউ অলৌকিক পৃথিবী তৈরি করে রেখেছে। এমন সময় আপনি অন্ধকার ঘরে!’চিত্তরঞ্জন সাহা একটি খাতা দেখিয়ে বললেন, ‘দেখুন, এই মাসে এই ৫০০ চিঠি লিখেছি।’
অর্থাৎ সমুদ্রের হাওয়া খেতে চিত্তরঞ্জন সাহা কক্সবাজারে আসেননি। বইমেলা চালানোর পাশাপাশি ব্যবসাটাও চালিয়ে নিচ্ছেন এখান থেকে।কৌতূহলী আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জিজ্ঞেস করলেন, ‘চিত্তদা, কক্সবাজারের মতো অপার্থিব জায়গায় এসে অন্ধকার ঘরে বসে আপনি এত কাজ করতে পারলেন?’চিত্তরঞ্জন সাহা হেসে বললেন, ‘এ জীবন কর্মময়, মরিলে বিশ্রাম হয়।’
মানলেন না আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বললেন, ‘দাদা, মরেই যদি গেলাম, তবে বিশ্রামটা নেবে কে? আমি মনে করি, এ জীবনেই কর্ম, এ জীবনেই বিশ্রাম।’
বাঁচার দুই রকম মানে আছে, সেটাও পরিষ্কার হয়ে গেল আমাদের কাছে।
সূত্র: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সাক্ষাৎকার সংগ্রহ, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫