নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আরও আগেই। প্রকৃতির বাধায় মিরপুরে পুরোপুরি অনুশীলন করা যায়নি। এরপর আরব আমিরাতে সাত দিনের সফরে অনুশীলনটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি প্রস্তুতির অংশ ভাবলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার চেয়ে ভালো অনুশীলন আর কী হতে পারে!
ভালো অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে টানা দুটি ম্যাচ জয়ে দক্ষতা আর মনস্তাত্ত্বিক— দুভাবেই উপকৃত বাংলাদেশ। কিন্তু এটা কাজে দেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, প্রশ্নটা থেকেই যায়। গত বছর আইসিসির টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি সিরিজ জয় যেমন কোনো কাজেই আসেনি মূল মঞ্চে। সে হিসেবে দুবাইয়ের প্রস্তুতিপর্বও তেমন কাজে আসার কথা নয় অস্ট্রেলিয়ায়। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বললেন, দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, ‘মনে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ। সেখানের কন্ডিশন, উইকেট, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে দলের অনেক ছেলেরই কোনো ধারণা নেই। ওখানের সঙ্গে আরব আমিরাতের কোনো মিল নেই।’ বিসিবি সভাপতি মনে করেন, অচেনা পরিবেশ চিনতে-বুঝতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজই ভরসা, ‘নিউজিল্যান্ডে যে সিরিজ আছে, ওখানে খেললে অবশ্যই কিছুটা সহায়তা করবে।’
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে কিছুটা মিল থাকায় অক্টোবরের ত্রিদেশীয় সিরিজ কিছুটা সহায়তা করলেও বড় মঞ্চের অনেক কিছুই অচেনা থাকছে বাংলাদেশ দলের। এই দলে থাকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান বাদে কারও অস্ট্রেলিয়াতেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশ দল সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে সেই ২০১৫ বিশ্বকাপে। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ যে চারটি ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলবে, এর মধ্যে শুধু অ্যাডিলেডেই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে এ মাঠেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এ মাঠেই এবার বাংলাদেশ খেলবে উপমহাদেশের দুই কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্রিসবেনে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। আর সিডনি, হোবার্টে তো বাংলাদেশের কখনো পা-ই পড়েনি।
অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন, উইকেট, মাঠ নিয়ে ধারণা দিতে সবচেয়ে বড় ভরসা দলের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। অবশ্য তিনিও এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলতে চাননি। বরং বল ঠেলে দিলেন দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের দিকে, ‘অজি কন্ডিশনে কাজ করার ভালো অভিজ্ঞতা আছে প্রধান কোচের (শ্রীরাম)। তবে এখানে মাত্র ক্রিকেট মৌসুম শুরু হবে। এখনই বলতে পারছি না মাঠগুলোর উইকেট কেমন হবে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় সূর্যেরই দেখা মেলেনি।’
আমিরাত থেকে ফিরে এক দিনের বিশ্রাম শেষে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আগামীকাল রওনা দেওয়ার কথা বাংলাদেশের। সেখানেই হয়তো চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবেন সাকিব-সোহানরা। দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কোনো মিল না থাকলেও মরু থেকে বাংলাদেশ ফিরেছে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। পরশু ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন বললেন, এই সাত দিন দেশে কাটালে এত ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব ছিল না। গতকাল ঢাকায় পৌঁছে দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও বললেন একই কথা, ‘গত কিছুদিন আমরা ক্লোজ কিছু ম্যাচ হারছিলাম। এটা ভালো অভ্যাস, আমরা জয়ের ধারায় ফিরেছি। এই আত্মবিশ্বাস নিউজিল্যান্ড ও বিশ্বকাপে কাজে দেবে।’ অচেনা কন্ডিশনে এই মনের জোরটাই বাংলাদেশের বড় ভরসা।
বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আরও আগেই। প্রকৃতির বাধায় মিরপুরে পুরোপুরি অনুশীলন করা যায়নি। এরপর আরব আমিরাতে সাত দিনের সফরে অনুশীলনটা খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি প্রস্তুতির অংশ ভাবলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার চেয়ে ভালো অনুশীলন আর কী হতে পারে!
ভালো অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে টানা দুটি ম্যাচ জয়ে দক্ষতা আর মনস্তাত্ত্বিক— দুভাবেই উপকৃত বাংলাদেশ। কিন্তু এটা কাজে দেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, প্রশ্নটা থেকেই যায়। গত বছর আইসিসির টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি সিরিজ জয় যেমন কোনো কাজেই আসেনি মূল মঞ্চে। সে হিসেবে দুবাইয়ের প্রস্তুতিপর্বও তেমন কাজে আসার কথা নয় অস্ট্রেলিয়ায়। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বললেন, দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে, ‘মনে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশ। সেখানের কন্ডিশন, উইকেট, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে দলের অনেক ছেলেরই কোনো ধারণা নেই। ওখানের সঙ্গে আরব আমিরাতের কোনো মিল নেই।’ বিসিবি সভাপতি মনে করেন, অচেনা পরিবেশ চিনতে-বুঝতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজই ভরসা, ‘নিউজিল্যান্ডে যে সিরিজ আছে, ওখানে খেললে অবশ্যই কিছুটা সহায়তা করবে।’
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে কিছুটা মিল থাকায় অক্টোবরের ত্রিদেশীয় সিরিজ কিছুটা সহায়তা করলেও বড় মঞ্চের অনেক কিছুই অচেনা থাকছে বাংলাদেশ দলের। এই দলে থাকা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান বাদে কারও অস্ট্রেলিয়াতেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। বাংলাদেশ দল সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে সেই ২০১৫ বিশ্বকাপে। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ যে চারটি ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলবে, এর মধ্যে শুধু অ্যাডিলেডেই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে এ মাঠেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এ মাঠেই এবার বাংলাদেশ খেলবে উপমহাদেশের দুই কঠিন প্রতিপক্ষ ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্রিসবেনে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। আর সিডনি, হোবার্টে তো বাংলাদেশের কখনো পা-ই পড়েনি।
অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন, উইকেট, মাঠ নিয়ে ধারণা দিতে সবচেয়ে বড় ভরসা দলের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। অবশ্য তিনিও এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলতে চাননি। বরং বল ঠেলে দিলেন দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের দিকে, ‘অজি কন্ডিশনে কাজ করার ভালো অভিজ্ঞতা আছে প্রধান কোচের (শ্রীরাম)। তবে এখানে মাত্র ক্রিকেট মৌসুম শুরু হবে। এখনই বলতে পারছি না মাঠগুলোর উইকেট কেমন হবে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণের রাজ্যগুলোয় সূর্যেরই দেখা মেলেনি।’
আমিরাত থেকে ফিরে এক দিনের বিশ্রাম শেষে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আগামীকাল রওনা দেওয়ার কথা বাংলাদেশের। সেখানেই হয়তো চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবেন সাকিব-সোহানরা। দুবাইয়ের কন্ডিশনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কোনো মিল না থাকলেও মরু থেকে বাংলাদেশ ফিরেছে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। পরশু ম্যাচ শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন বললেন, এই সাত দিন দেশে কাটালে এত ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব ছিল না। গতকাল ঢাকায় পৌঁছে দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও বললেন একই কথা, ‘গত কিছুদিন আমরা ক্লোজ কিছু ম্যাচ হারছিলাম। এটা ভালো অভ্যাস, আমরা জয়ের ধারায় ফিরেছি। এই আত্মবিশ্বাস নিউজিল্যান্ড ও বিশ্বকাপে কাজে দেবে।’ অচেনা কন্ডিশনে এই মনের জোরটাই বাংলাদেশের বড় ভরসা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪