Ajker Patrika

নিখোঁজদের আশা ছেড়ে দিয়ে উদ্ধার অভিযান শেষ

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ১৮
নিখোঁজদের আশা ছেড়ে   দিয়ে উদ্ধার অভিযান শেষ

মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় কয়লা বোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে ডুবুরি দল। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে বাকি তিনজনের লাশের আশা ছেড়ে দিয়ে গতকাল বুধবার উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় ডুবুরি দলের প্রতিনিধি মো. আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুজনের লাশ মঙ্গলবার বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইঞ্জিন রুম ছাড়া বাল্কহেডের অন্য কোথাও ঢোকার কোনো সুযোগ নেই। কারণ জাহাজের ধাক্কায় বাল্কহেডটির ব্রিজ ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। সেখানে ঢুকে তল্লাশি চালানোর কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া বাকি নিখোঁজদের লাশ বাল্কহেডের ভেতরে আছে নাকি দুর্ঘটনার রাতে স্রোতের টানে ভেসে গেছে তাও নিশ্চিত নয়। এ কারণে উদ্ধার কাজ স্থগিত করেছে মালিক পক্ষ।

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি এলাকার বাল্কহেড মালিক ফজলুল হক খোকন বলেন, আমি মূলত মানিক নামের এক ব্যক্তির কাছে বাল্কহেডটি ভাড়া দিয়েছি। তার কাছে ভাড়ায় থাকা অবস্থাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বাল্কহেডটি উত্তোলনে ঢাকার সবচেয়ে বড় এবং দক্ষ ডুবুরি দল ভাড়া করা হয়েছে। আশা করছি বৃহস্পতিবার থেকে কয়লা অপসারণের কাজ শুরু করতে পারব।

দুর্ঘটনার পর দুই দিন অতিবাহিত হওয়ায় কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রেখেছেন। তবে ওই এলাকায় তাদের টহল থাকবে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বাল্কহেড সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে ডুবন্ত বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুম থেকে গ্রিজার নুর ইসলাম ও সন্ধ্যায় সুকানি মহিউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় ডুবুরিরা। ওই দুজনের মরদেহ মঙ্গলবার রাতে থানা-পুলিশে হস্তান্তর করার পর তাদের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত