Ajker Patrika

খাবারের খরচ জোগাতে সঞ্চয় ভাঙছে মধ্যবিত্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৩: ৩৬
খাবারের খরচ জোগাতে সঞ্চয় ভাঙছে মধ্যবিত্ত

হু হু করে বাড়ছে খাদ্য ও জ্বালানির দাম। কম যায় না নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে তাপমাত্রা। এতে মাঠে ফসলের উৎপাদন বেশ কমে গেছে। করোনা মহামারি পণ্য ও শ্রমিকের ঘাটতি এনে হাজির করেছে। এরই মধ্যে ইউরোপে শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধ। রাশিয়া ও ইউক্রেনের এ যুদ্ধের কারণে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বেড়ে গেছে সারের দাম। গমসহ বিভিন্ন পণ্যে দেখা দিয়েছে ঘাটতি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার এ আগ্রাসন বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণ হতে পারে বলে এরই মধ্যে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। জীবনযাত্রার খরচ এভাবে বেড়ে যাওয়ায় টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে অনেকের জন্য। কেমন আছে বিশ্ববাসী? পাঁচটি দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জীবনযাত্রার সংকট ও এর প্রভাব নিয়ে এক প্রতিবেদনে সে কথাই বলেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মাঠ পরিপূর্ণ কিন্তু ফ্রিজ খালি

গত বছরই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও পরিষেবায় দ্বিগুণ মূল্যস্ফীতি দেখেছে ব্রাজিল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মাঠে নেই ফসলের বাম্পার ফলন। সার কিনতেই খরচ হয়ে যাচ্ছে অনেক। এর সঙ্গে ছিল মহামারির প্রভাব। কৃষকের এ সংকটের প্রভাব পড়েছে প্রাত্যহিক জীবনে। দেশটিকে ‘এগ্রিকালচারাল পাওয়ার হাউস’ বলা হলেও প্রতি চারজনের মধ্যে একজন পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না। গত কয়েক মাস ধরে খাদ্যের দাম বাড়ছেই। কিন্তু বেতন আর বাড়ছে না।

ছাড়তে হচ্ছে নিজের দেশ

নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে কে না থাকতে চায়। এখানে থাকার খরচও কম ছিল এত দিন। কিন্তু বাসাভাড়া গত কয়েক বছরে বেশ বেড়েছে। গত বছরই বেড়েছে ১২ শতাংশ। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও পেট্রোলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে দেশ ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছেন পাশের দেশ অস্ট্রেলিয়ায়। নিউজিল্যান্ড সরকার জ্বালানির ভর্তুকি এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের খরচ অর্ধেক করার মতো কিছু স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু অনেকের জন্য এটি যথেষ্ট নয়।

বিল হয়েছে দ্বিগুণ

‘বিদ্যুতের বিষয়ে আমরা সম্প্রতি অন্য সবার মতো ভুগছি। আমাদের বিল দ্বিগুণ হয়েছে। যদিও আমরা কখনোই বাড়িতে থাকি না। আমাদের এখন বিস্তর হিসেব করে খরচ করতে হচ্ছে। অনেক সঞ্চয় করার পরিবর্তে কম সঞ্চয়ের দিকে যেতে হচ্ছে।’—এভাবেই বলছিলেন ইতালির ব্রেসিয়ার বাসিন্দা মিরেলা।

পানিতে বেড়েছে খরচ

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এমনিতেই থাকে বিশুদ্ধ পানির অভাব। এরই মধ্যে ঘানায় এবার এ পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও পরিষেবায় খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। এর মধ্যে রয়েছে চালও। কয়েক মাস আগেও একটি সংসারে প্রতি সপ্তাহে যে খরচ ছিল, তা এখন কয়েক গুন বেড়ে গেছে। পানির সরবরাহকারীরা বলছেন, গ্রাহকদের কাছে পানি পৌঁছে দিতে তাঁদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। এমনিতেই ঘানায় সব সময় জীবনযাত্রার সংকট লেগেই থাকে। এবার তা আরও প্রকট হচ্ছে।

হুমকিতে চাল রপ্তানি

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় থাইল্যান্ডের চালের বেশ সুনাম রয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে এসব অঞ্চলে এ চালের রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিশেষ সার ব্যবহার করেন দেশটির কৃষকেরা। কিন্তু গত এপ্রিলে সারের যে দাম ছিল, তা এখন কয়েক গুন বেড়েছে। অনেকে চাল উৎপাদনই বন্ধ করে দিয়েছেন। সংকটে পড়েছে রপ্তানি খাত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত