সম্পাদকীয়
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের জেলখানায়, তখন তাঁর বাবা আর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পত্রিকায় সে খবর দুটি প্রকাশিত হয়।
তখনকার পিজি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করার দায়িত্ব পান ডা. নুরুল ইসলাম। তিনি দেখলেন, এই যুদ্ধের সময় তাঁরা যদি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান, তাহলে সমস্যায় পড়বেন। তাই তিনি বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে যুদ্ধের পুরো নয় মাস রেখে দিলেন পিজি হাসপাতালে।
পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ঢাকায় ফিরলেন বঙ্গবন্ধু। এর কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো ডা. নুরুল ইসলামের। বঙ্গবন্ধু তত দিনে জেনে গেছেন তাঁর মা-বাবাকে আগলে রেখেছিলেন এই চিকিৎসক। নুরুল ইসলামকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কী চান?’
নুরুল ইসলাম জানতেন, তিনি সে সময় বাড়ি, গাড়ি চাইলে সবকিছুই বঙ্গবন্ধু দিয়ে দিতেন তাঁকে। কিন্তু নুরুল ইসলাম বললেন, ‘আমি কিছুই চাই না, আমি যা চেয়েছি তা পেয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কী চেয়েছেন?’
নুরুল ইসলাম বললেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, আপনি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসুন। আপনি এসে গেছেন। কাজেই আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।’
সেই বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে নিয়েই আরেকটি ঘটনা। একদিন দেখা গেল, বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে পিজি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে নিতে এসেছে। নুরুল ইসলাম ফোন করলেন বঙ্গবন্ধুকে। বললেন, ‘স্যার, আপনার মা-বাবাকে তো হলি ফ্যামিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বললেন, ‘সেটা হোক, কিন্তু আপনি তাঁদের দেখবেন।’
নুরুল ইসলাম বললেন, ‘সেটা কীভাবে সম্ভব? এক হাসপাতালে ডাক্তার অন্য হাসপাতালের রোগী দেখবে কেন? তা ছাড়া লোকজন বলবে, বঙ্গবন্ধু নুরুল ইসলামের ওপর আস্থা হারিয়েছেন।’
এ কথা শুনে বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারলেন সমস্যাটা। তারপর বললেন, ‘রোগী আপনার আন্ডারে যাবে। হলি ফ্যামিলিতে যাবে না। আমি এখনই হলি ফ্যামিলিকে বলে দিচ্ছি।’
সূত্র: বিধানচন্দ্র পাল সম্পাদিত সেতুবন্ধন, পৃষ্ঠা ৭৯-৮০
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের জেলখানায়, তখন তাঁর বাবা আর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পত্রিকায় সে খবর দুটি প্রকাশিত হয়।
তখনকার পিজি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা করার দায়িত্ব পান ডা. নুরুল ইসলাম। তিনি দেখলেন, এই যুদ্ধের সময় তাঁরা যদি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান, তাহলে সমস্যায় পড়বেন। তাই তিনি বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে যুদ্ধের পুরো নয় মাস রেখে দিলেন পিজি হাসপাতালে।
পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন হয়ে ঢাকায় ফিরলেন বঙ্গবন্ধু। এর কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হলো ডা. নুরুল ইসলামের। বঙ্গবন্ধু তত দিনে জেনে গেছেন তাঁর মা-বাবাকে আগলে রেখেছিলেন এই চিকিৎসক। নুরুল ইসলামকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কী চান?’
নুরুল ইসলাম জানতেন, তিনি সে সময় বাড়ি, গাড়ি চাইলে সবকিছুই বঙ্গবন্ধু দিয়ে দিতেন তাঁকে। কিন্তু নুরুল ইসলাম বললেন, ‘আমি কিছুই চাই না, আমি যা চেয়েছি তা পেয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কী চেয়েছেন?’
নুরুল ইসলাম বললেন, ‘আমি চেয়েছিলাম, আপনি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আসুন। আপনি এসে গেছেন। কাজেই আমার আর কিছু চাওয়ার নেই।’
সেই বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে নিয়েই আরেকটি ঘটনা। একদিন দেখা গেল, বঙ্গবন্ধুর মা-বাবাকে পিজি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে নিতে এসেছে। নুরুল ইসলাম ফোন করলেন বঙ্গবন্ধুকে। বললেন, ‘স্যার, আপনার মা-বাবাকে তো হলি ফ্যামিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তিনি বললেন, ‘সেটা হোক, কিন্তু আপনি তাঁদের দেখবেন।’
নুরুল ইসলাম বললেন, ‘সেটা কীভাবে সম্ভব? এক হাসপাতালে ডাক্তার অন্য হাসপাতালের রোগী দেখবে কেন? তা ছাড়া লোকজন বলবে, বঙ্গবন্ধু নুরুল ইসলামের ওপর আস্থা হারিয়েছেন।’
এ কথা শুনে বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারলেন সমস্যাটা। তারপর বললেন, ‘রোগী আপনার আন্ডারে যাবে। হলি ফ্যামিলিতে যাবে না। আমি এখনই হলি ফ্যামিলিকে বলে দিচ্ছি।’
সূত্র: বিধানচন্দ্র পাল সম্পাদিত সেতুবন্ধন, পৃষ্ঠা ৭৯-৮০
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫