Ajker Patrika

ঝুঁকি নিয়ে আলু চাষ লাভের মুখে কৃষক

সুজন পোদ্দার, কচুয়া (চাঁদপুর)
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৬: ১১
ঝুঁকি নিয়ে আলু চাষ  লাভের মুখে কৃষক

চাঁদপুরের কচুয়ায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে আলু রোপণের সময় ভারী বর্ষণ হওয়ায় কৃষকেরা নিরুৎসাহিত হলেও যাঁরা আশায় বুক বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে চাষ করেছেন, এখন তাঁরা লাভবান হচ্ছেন। আলু রোপণের পর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদন হয়েছে অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর কচুয়ায় ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ডায়মন্ড জাতের আলু ১ হাজার ৫৮০, মালটা জাতের ২১০, বারি-২৫ (লাল) ১২০ হেক্টরে চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো উপজেলায় আলু উত্তোলনের হিড়িক পড়বে বলে কৃষকেরা জানান।

এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের স্থানীয়ভাবে আলু সংরক্ষণসহ হিমাগারে মজুতের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ১৫ দিনে ভারী বৃষ্টিপাত না হলে কৃষকের প্রত্যাশিত আলু ঘরে উঠবে ও তাঁরা লাভের মুখ দেখবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফায়েল হোসেন।

উপজেলার বুধুন্ডা গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চার একর জমিতে আলু চাষ করেছি, ফলন পেয়েছি প্রায় ১ হাজার ২৫০ মণ। এ আলু ইতিমধ্যে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছি। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৯ থেকে ১০ টাকা। বর্তমানে ১২ থেকে ১৩ টাকা পাইকারি মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে আমি প্রতি কেজি আলুতে অন্তত দেড় থেকে দুই টাকা লাভের মুখ দেখছি। দুই/আড়াই মাস পর সংরক্ষিত আলুর দাম আরও বেড়ে গেলে লাভের অঙ্কও বেড়ে যাবে।’

উপজেলার দোয়াটি গ্রামের রুহি দাস বলেন, ‘১৩০ শতক জমিতে আলু চাষ করেছি। আমার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। প্রতি গণ্ডায় (৬ শতক) অন্তত ২০ মণ করে ফলন পাব আশা করছি। কেজি প্রতি পাইকারি ১৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলেও প্রায় ৭০/৭২ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখব।’

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফায়েল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর উপজেলায় ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আবহাওয়া বিগত বছরের তুলনায় ভালো থাকায় ফলন এ বছর বেশি হয়েছে। আগামী ১৫ দিন ভারী বৃষ্টিপাত না হলে আলুচাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত