Ajker Patrika

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৭ সদস্যের যত অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৭ সদস্যের যত অভিযোগ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের সাত ইউপি সদস্য। এ ছাড়া অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েও অভিযোগ দিয়েছেন তাঁরা।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিয়নে উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির ৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দের কাজ নামমাত্র করে ইতিমধ্যে বিল তুলে নিয়েছেন চেয়ারম্যান মারুফ রেজা। ইউনিয়নে বিনা মূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণের ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকার ৬০ ভাগ টাকা আত্মসাৎ করেছেন নিম্নমানের সেলাই মেশিন দিয়ে। ইউনিয়নে বসবাসরত এলাকাবাসীর কাছ থেকে হোল্ডিং নম্বর দেওয়া হবে বলে ৩০০-৫০০ টাকা করে নিয়ে এ খাত থেকেই ১০ লাখ টাকার মতো তুলে নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। কাবিটা ও কাবিখা প্রকল্পে মালোপাড়া সমির মাঝির বাড়ি থেকে নজরুল শেখের বাড়ি পর্যন্ত ১ লাখ এবং চরধলইতলা জামে মসজিদ থেকে হেমায়েত সরদারের বাড়ি পর্যন্ত ২ লাখ টাকার রাস্তা না করে টাকা তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া জন্মনিবন্ধনের সার্টিফিকেটের দেওয়ার নামে ৩০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার টাকা নিচ্ছেন তাঁর লোকজন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন এমন ৩০ জন অসহায় মানুষের কাছ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

জালালাবাদ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান বলেন, ‘চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই তিনি আমাদের প্রায় প্রত্যেক মেম্বার এর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ফান্ডের টাকা পয়সার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন নিজেই। কি ফান্ড আসলো কি কাজে কত টাকা ব্যয় করল আমাদের তা বলেন না।’

অপর এক ইউপি সদস্য মাহফুজ মুন্সি বলেন, ‘চেয়ারম্যান এফ এম মারুফ রেজার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের সরকারি টাকা আত্মসাৎ, মেম্বারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে উৎকোচ গ্রহণসহ নানা অনিয়মের বিষয়টি সত্য। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রাজনৈতিকভাবে হেরে গিয়ে একটি পক্ষ আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করছে।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহসিন উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নানা অনিয়মের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত