Ajker Patrika

টিউবারকুলোসিস নিরাময়যোগ্য রোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
টিউবারকুলোসিস নিরাময়যোগ্য রোগ

প্রশ্ন: আমার মায়ের টিবি হয়েছে। প্রায় প্রতিবছর একই সময়ে সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিবছরই ইনজেকশন ও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। এ কারণে মানসিকভাবেও তিনি খুব ভেঙে পড়েছেন। যতই বোঝাই, কিন্তু মা কোনোভাবেই মানসিকভাবে স্বাভাবিক হতে পারছেন না। তার কি প্যালিয়েটিভ কেয়ার দরকার?

আদিল, ঢাকা 

টিউবারকুলোসিস বা টিবি একটি নিরাময়যোগ্য রোগ। সঠিক চিকিৎসা হলে এ রোগ ভালো হয়ে যায়। কিন্তু আপনি বলছেন যে প্রতিবছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাঁর ইনজেকশন বা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয়, সেটি কিসের জন্য, তা ঠিক বোধগম্য হলো না। তিনি যদি নিরাময় অযোগ্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে শরীরের পাশাপাশি মানসিক চাপ বা বিষণ্নতার জন্য উনি প্যালিয়েটিভ কেয়ারের শরণাপন্ন হতে পারেন। অবস্থার সঠিক বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনে উনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আউটডোরের ৫১১ নম্বর রুমে যোগাযোগ করতে পারেন।

ডা. মোস্তফা কামাল চৌধুরী আদিল, সহকারী অধ্যাপক, প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

প্রশ্ন: আমার প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ইদানীং মলদ্বারে চুলকানি হচ্ছে। মাঝে মাঝে গরম পানিতে লবণ দিয়ে ব্যবহার করি। কাঁচা হলুদও খাচ্ছি। সহজ কোনো সমাধান আছে?

নাহিদ আহমেদ, পিরোজপুর

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য মলদ্বার ফেটে যেতে পারে। আর এ কারণে চুলকানি হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রচুর শাকসবজি, পানি, ইসবগুলের ভুসি খেতে হবে। পায়খানা শক্ত হলে চার চামচ করে দিনে দুইবার অ্যাভোলাক-জাতীয় সিরাপ খেতে পারেন। এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে এবং চুলকানিও কমে যেতে পারে। চুলকানি যদি কৃমির জন্য হয়, তাহলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতে হবে। আবার যদি অ্যানাল ফিশারের জন্য হয়, তাহলে অ্যানুস্টেট মলম ব্যবহার করতে হবে। এতেও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে একজন কলোরেক্টাল সার্জন দেখিয়ে ওষুধ খেতে হবে।  

ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম, জেনারেল ও কোলোরেক্টাল সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

প্রশ্ন: হঠাৎ করেই মুটিয়ে যাচ্ছি। রোজ সকালে খালি পেটে লেবু ও মধু মেশানো কুসুম গরম পানি পান করি। তবুও কোনো লাভ হচ্ছে না। অথচ খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম আমার। এটা শারীরিক কোনো কন্ডিশনের কারণে হচ্ছে কি না, বুঝতে পারছি না। কী করণীয়? আমার বয়স ৩৪ বছর। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছি বলে দুই মাস ধরে ফলিসন খাচ্ছি। এ ছাড়া কোনো ওষুধ খাচ্ছি না।

সাজেদা বেগম, চৌদ্দগ্রাম

থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মুটিয়ে যাওয়ার প্রবণতা হতে পারে। এ ছাড়া শারীরিক কাজের তুলনায় অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণও কারণ হতে পারে। হরমোন বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শও নিতে পারেন। 

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম,হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত