অর্থবছরের ছয় মাস শেষ হয়ে গেছে। এ সময়ে মোট রাজস্বের অর্ধেক আদায় ধরলেও ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করার কথা এনবিআরের। অথচ এ সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের মোট রাজস্ব থেকে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে সংস্থাটি। দিন যত বাড়ছে, ঘাটতির অঙ্কও বড় হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অবশ্য রাজস্ব বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সময়ের সঙ্গে ঘাটতি কমে আসবে।
করোনা সহনীয় মাত্রায় আসার পর অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করেছিল। স্বাভাবিক হচ্ছিল প্রায় সবকিছু। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায় রাজস্ব আয়ে। আশা করা হয়, দিন যত এগোবে, রাজস্ব আয়ের এ ধারা আরও শক্তিশালী হবে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, এরই মধ্যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে গেছে এনবিআর। করোনা নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে। ওমিক্রন সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিধিনিষেধ বাড়াচ্ছে প্রতিটি দেশ। বাংলাদেশও সতর্কতা জারি করছে। সর্বত্র উৎকণ্ঠা–উদ্বেগ বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে কড়াকড়ি আরোপের কথা শোনা যাচ্ছে। যদি পরিস্থিতির অবনতি হয়, তাহলে আবারও অর্থনীতিতে স্থবিরতা হানা দেয় কি না, আবারও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয় কি না, আবারও দেশ লকডাউনের মতো কঠিন কর্মসূচির কবলে পড়ে কি না—এমন আশঙ্কা সবার মনে। যদি পরিস্থিতি সেদিকে যায়, তাহলে রাজস্ব আয়ের ওপর বড় আঘাত আসবে বলে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে।
যেভাবে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি বাড়ছে, ধারণা করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে তা আরও বাড়বে। এনবিআরের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ছয় মাসে রাজস্ব আহরণের প্রধান তিন খাত আয়কর, ভ্যাট ও আমদানি-রপ্তানি শুল্ক—কোনো খাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এনবিআরের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা অবশ্য আরও কম। সেখানেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এনবিআরের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ হিসাবেও এনবিআরের ঘাটতি ১৭ হাজার ৮১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এনবিআর বলছে, ছয় মাসে তাদের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। জানা যায়, রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় খাত ভ্যাট বা মূসক। এ খাতে সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে আছে ৫ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার বেশি। সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাত। এ খাতে সাড়ে ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে ঘাটতি ৭ হাজার ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সবচেয়ে কম ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। এ খাতে ঘাটতি প্রায় ৪ হাজার ৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ। এসব তথ্য সংস্থাটির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে। মোট রাজস্বের হিসাবে ঘাটতি আরও অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে এনবিআরের ভ্যাট নীতির সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি মোটামুটি ইতিবাচক। তবে করোনার সংক্রমণ বাড়লে বিধিনিষেধ বাড়ালে, হোটেল–রেস্তোরাঁ বন্ধ হলে ভ্যাটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে শেষ পর্যন্ত রাজস্ব আয়ের ধারা একেবারেই খারাপ হবে না বলে মনে করেন তিনি।
অর্থবছরের ছয় মাস শেষ হয়ে গেছে। এ সময়ে মোট রাজস্বের অর্ধেক আদায় ধরলেও ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা আদায় করার কথা এনবিআরের। অথচ এ সময় পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের মোট রাজস্ব থেকে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে সংস্থাটি। দিন যত বাড়ছে, ঘাটতির অঙ্কও বড় হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অবশ্য রাজস্ব বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সময়ের সঙ্গে ঘাটতি কমে আসবে।
করোনা সহনীয় মাত্রায় আসার পর অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করেছিল। স্বাভাবিক হচ্ছিল প্রায় সবকিছু। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা যায় রাজস্ব আয়ে। আশা করা হয়, দিন যত এগোবে, রাজস্ব আয়ের এ ধারা আরও শক্তিশালী হবে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, এরই মধ্যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে গেছে এনবিআর। করোনা নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে। ওমিক্রন সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিধিনিষেধ বাড়াচ্ছে প্রতিটি দেশ। বাংলাদেশও সতর্কতা জারি করছে। সর্বত্র উৎকণ্ঠা–উদ্বেগ বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে কড়াকড়ি আরোপের কথা শোনা যাচ্ছে। যদি পরিস্থিতির অবনতি হয়, তাহলে আবারও অর্থনীতিতে স্থবিরতা হানা দেয় কি না, আবারও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয় কি না, আবারও দেশ লকডাউনের মতো কঠিন কর্মসূচির কবলে পড়ে কি না—এমন আশঙ্কা সবার মনে। যদি পরিস্থিতি সেদিকে যায়, তাহলে রাজস্ব আয়ের ওপর বড় আঘাত আসবে বলে আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ছে।
যেভাবে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি বাড়ছে, ধারণা করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে তা আরও বাড়বে। এনবিআরের সবশেষ পরিসংখ্যান বলছে, ছয় মাসে রাজস্ব আহরণের প্রধান তিন খাত আয়কর, ভ্যাট ও আমদানি-রপ্তানি শুল্ক—কোনো খাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এনবিআরের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা অবশ্য আরও কম। সেখানেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এনবিআরের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৯০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ হিসাবেও এনবিআরের ঘাটতি ১৭ হাজার ৮১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এনবিআর বলছে, ছয় মাসে তাদের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশ। জানা যায়, রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে বড় খাত ভ্যাট বা মূসক। এ খাতে সাড়ে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও রাজস্ব আহরণে পিছিয়ে আছে ৫ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার বেশি। সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক খাত। এ খাতে সাড়ে ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে ঘাটতি ৭ হাজার ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সবচেয়ে কম ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। এ খাতে ঘাটতি প্রায় ৪ হাজার ৯১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ। এসব তথ্য সংস্থাটির কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার হিসাবে। মোট রাজস্বের হিসাবে ঘাটতি আরও অনেক বেশি।
এ ব্যাপারে এনবিআরের ভ্যাট নীতির সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি মোটামুটি ইতিবাচক। তবে করোনার সংক্রমণ বাড়লে বিধিনিষেধ বাড়ালে, হোটেল–রেস্তোরাঁ বন্ধ হলে ভ্যাটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে শেষ পর্যন্ত রাজস্ব আয়ের ধারা একেবারেই খারাপ হবে না বলে মনে করেন তিনি।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৭ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৭ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫